কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তির উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য অনেকে মল নরম করার বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, সিরাপ এবং মলদ্বারের ভেতরে দেওয়ার ওষুধ প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকেন, যা মোটেও উচিত নয়।
নিয়মিত এসব ওষুধ ব্যবহার করলে সেটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। এ কারণে মলদ্বারের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা আর থাকে না। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সঠিক কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা করা উচিত।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় কী?
প্রতিদিন প্রচুর পানি ও তরল এবং যথেষ্ট আঁশযুক্ত খাবার খান। গোটা শস্য, শাকসবজি, ফলমূল যেমন বেল, পেঁপে ইত্যাদি হলো আঁশযুক্ত খাবার। কিছু কিছু ওষুধ কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দায়ী (যেমন নিয়মিত আইবুপ্রোফেন জাতীয় ব্যথানাশক ওষুধ সেবন, আয়রন বা ক্যালসিয়াম বড়ি)।
বেশি করে শাকসবজি ও আঁশযুক্ত খাবার খান। বেশি করে পানি পান করুন। দুশ্চিন্তা দূর করুন। যাঁরা সারা দিন বসে কাজ করেন, তাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
আরো পড়ুন : মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়ার হোমিও চিকিৎসা
চিপস, ভাজাপোড়া, চিজ, কফি, চকলেট এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। যেসব খাবার তৈরিতে অনেক চিনি ব্যবহার করা হয়, সেসব খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য তৈরি করে।
এ সময় জাম্বুরা ও অন্যান্য ফলমূল বেশি করে খান। এসব নিয়ম মেনে চলার পরও যদি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর না হয়, তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
আরো পড়ুন : জেনে নিন যৌন রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে মল ধরে রাখার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পাইলস, এনালফিসার, মলদ্বার বাইরে বেরিয়ে আসার সমস্যা, মানসিক অশান্তি, প্রস্রাবের সমস্যা, খাদ্যনালিতে প্যাঁচ লাগা, খাদ্যনালিতে আলসার বা খাদ্যনালি ছিদ্র হয়ে যেতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যারা ভুগছেন, তারা যে ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে পারেন: * দুধ: দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার (যেমন: পনির, আইসক্রিম ইত্যাদি) কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়াতে পারে অনেকের। এ ধরনের খাবারে আঁশের পরিমাণ কম। ছোট শিশু যারা শুধু কৌটার দুধ খায়, তাদের এ সমস্যা বেশি। তবে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় দুধ থাকা উচিত। টক দই হজমে সহায়ক।
* মাংস: লাল মাংসে (গরু ও খাসির) চর্বি বেশি থাকে। এটা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। এই খাবার অন্ত্রে অনেকক্ষণ থাকে। মাংসের সঙ্গে পাতে যেন প্রচুর সবজি ও সালাদ থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
* চিপস: স্ন্যাকস বা নাশতা হিসেবে পটেটো চিপসজাতীয় খাবার ভালো নয়। এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়িয়ে দেবে।
* হিমায়িত খাবার: সংরক্ষিত বা প্রক্রিয়াজাত খাবারে পানি শুকিয়ে ফেলা হয় ও লবণ বেশি থাকে। ফলে এ ধরনের খাবারে কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়বে।
* বেকারি পণ্য: বেকারি পণ্য যেমনবিস্কুট, ক্র্যাকার্স, ডোনাট, পেস্ট্রিজাতীয় খাবারে চর্বি বেশি, জলীয় অংশ কম, আঁশও কম। এর ফলে যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে, তাঁদের জন্য এগুলো বর্জনীয়। ফল খাওয়াটা তাঁদের জন্য ভালো।
* কাঁচকলা: কাঁচকলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, এটা ঠিক। তবে পাকা কলায় যথেষ্ট আঁশ আছে। তাই ওটা খাওয়া যাবে।
আরো পড়ুন : শ্বেতির সাদা দাগ দূর করার সহজ কিছু উপায়
* ভাজাপোড়া: ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন ফ্রাই, বিস্কুটের গুঁড়া ও ব্রেড ক্রাম্বে ভাজা যত খাবার আছে, সেগুলো অন্ত্রের চলন কমিয়ে দেয় ও কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ায়।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে কিছু খাবার
কলা কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অনেক সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া কলা পটাশিয়াম বৃহদান্ত্র ও ক্ষুদ্রান্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে কলার অবদান অপরিসিম।
কফি কফি একটি জনপ্রিয় পানীয়। এটা আজকাল সবাই খেয়ে থাকে। যখন শরীর থেকে ঘুমের ভাব কাটানোর দরকার হয় তখন বেশিরভাগ মানুষ কফি পান করেন, কিন্তু এটা অন্যান্য কারণেও উপকারি। কারো কারো ক্ষেত্রে এই কফি পেট নরম করতে সাহায্য করে থাকে। তবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে গিয়ে অতিরিক্ত কফি পান করে বসবেন না যেন, এতে ডায়রিয়া হয়ে যেতে পারে। ২-৩ কাপের বেশি পান না করাই ভালো।
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।
ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :
হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)
হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।
মুঠোফোন : 01742-057854 (সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)
ইমো/হোয়াটস অ্যাপ : 01762-240650
শ্বেতীরোগ, একজিমা, যৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।