টানা বর্ষণে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প বেড়ীবাঁধের ভেতর ব্যাপক জলাবদ্ধতা
গোলাম নবী খোকনঃ
মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প বেড়ীবাঁধের ভিতর তিন-চার দিনের টানা বর্ষনে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এখন বাংলা শ্রাবন মাস, ইংরেজী ৭ আগষ্ট ২০২৩ ইং। আমন ধানের চারা রোপন করার পুরো মৌসুম। কিছু দিন পূর্বে, অতি খড়া। বৃষ্টি নাই, কৃষকরা আমন মৌসুমে ধান চারা রোপন করার জন্য চারা (জ্বালা) তৈরী করে রেখেছে। বৃষ্টি নাই, যদিও ফাক ফোকরে সামান্য বৃষ্টি হয়, ঐ বৃষ্টির পানি দিয়ে কৃষক জমি তৈরী করে রেখেছে।
এর পর পুরোদমে খড়া আর খড়া। কৃষকের জমি ফেটে চৌচির। কৃষক বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা কর্মচারী, পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সভাপতি -সাধারণ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হাসান এর নিকট ক্যানেলে পানি /সেচ কার্য্যক্রম চালু রাখার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্তুপাল ও পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সদস্যবৃন্দ চলতি আমন মৌসুমে ক্যানেলে সেচ দেওয়ার প্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
দেখা গেছে কিছু দিন পর ওয়েদার খারাপ হতে চলছে। কৃষকের পুরো দমে আমন ধানের চারা রোপন করার প্রস্তুতি, জমি তৈরী করছে, কেহ চারা রোপন শুরু করেছে, তার মাঝেই বৃষ্টি শরু। গত ৪ আগষ্ট থেকে বৃষ্টি, আস্তে আস্তে বেড়েই চলছে গত ৫, ৬ ও ৭ আগষ্ট পুরোদমে বৃষ্টি। মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের ভিতর প্রায় নীচু বিল গুলি বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছে কৃষকরা।
জলাবদ্ধতার কারন হিসাবে জানা যায় প্রকল্পের ভিতর প্রত্যেক এলাকাতেই পানি নিষ্কাশন এর খাল, নালা গুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে, অনেক এলাকাতেই পানি নিষ্কাশন এর খাল গুলি বন্ধ হয়ে গেছে, কিছু কিছু স্বার্থনেশ্বী মহল, কৃষক ও অনেক প্রভাব শালী ব্যাক্তি দ্বারা খালে বাঁধ দিয়ে মাছের চাষ, জমি বাড়ানোর জন্য মাটি দিয়ে খালের প্রসস্থ কমিয়ে ফেলছে এবং কি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়ে খালের পারে জঙ্গল করে রেখেছে, অনেকেই দোকান, বাড়ি ঘর নির্মান করে খাল গুলি বন্ধ করে ফেলেছে।
৭ আগষ্ট বিকালে ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের ফতেপুর, ঠেটালীয়া ও সিপাই কান্দি ঘুরে দেখা যায় জলাবদ্ধতা আর জলাবদ্ধতা মনে হয় যেন সাগর হয়ে আছে। আর ও লক্ষ্য করা গেছে দক্ষিণ ঠেটালীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ছুঁই ছুঁই ও সিপাই কান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পানি থৈ থৈ করছে। প্রত্যেক এলাকার পানি নিষ্কাশন খাল গুলি সংস্কারের দাবি জানান প্রকল্পের জনসাধারণ।