থাইরয়েড সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে করনীয়!

থাইরয়েডের সমস্যা যে বড় একটা সোজা সমস্যা নয়, সে আপনারা যারা ভুক্তভোগী সবাই জানেন। থাইরয়েডকে অনেকসময় সাইলেন্ট কিলারও বলা হয়। ‘অ্যামেরিকান থাইরয়েড অ্যাসোসিয়েশনে’র মতে প্রায় ২০ লক্ষ অ্যামেরিকানই থাইরয়েডের সমস্যায় ভোগেন, যাদের মধ্যে ৬০%-ই বোঝেন না যে তাঁদের থাইরয়েড হয়েছে।

থাইরয়েড ধরা পড়লে ওষুধ তো খেলেনই। তবে এমন অনেক খাবারই আছে যেগুলোর মধ্যে থাকা নিউট্রিয়েন্টস আপনার শরীরে থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যকে নষ্ট করে দেয়। ফলে তখন ওষুধ খেলেও কোনো কাজ হয় না।

দেখে নিন থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে কোন কোন খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত-

১) সয়াবিন-
সয়াবিন যত প্রিয়ই হোক না কেন, থাইরয়েড থাকলে কিন্তু এটা খাওয়া বন্ধ করতেই হবে। সয়াবিনে থাকা আইসোফ্ল্যাভিন থাইরয়েডের ক্ষেত্রে সমস্যার কারণ হতে পারে। আপনি যদি রোজ আপনার ডায়েটে সয়াবিন রাখেন, তাহলে কিন্তু আপনার থাইরয়েডের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যেতে পারে।

২) ফুলকপি-
ফুলকপি খাওয়া যে স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো তা তো আপনারা জানেনই। কিন্তু থাইরয়েড থাকলে ব্রকোলি আর ফুলকপি না খাওয়াই ভালো। ব্রকোলি আর ফুলকপিতে থাকা ফাইবার আর অন্যান্য নিউট্রিয়েন্টস থাইরয়েড হরমোনের সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই আপনার থাইরয়েড ধরা পড়লে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকোলি, শালগম খাওয়া বন্ধ করুন।

৩) পাউরুটি-
‘অ্যাকাডেমি অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিক্সে’র বিশেষজ্ঞ রুথ ফ্রেচম্যানের মতে থাইরয়েড ধরা পড়লে পাউরুটি, পাস্তা, ভাত বা কোনো গ্রেন অ্যাভয়েড করাই ভালো। কারণ এতে থাকা গ্লুটেন নামক প্রোটিন ক্ষুদ্রান্ত্রে সমস্যার কারণ হতে পারে, যা থাইরয়েড হরমোন রিপ্লেসমেন্ট মেডিসিনের অ্যাবসর্ভে বাধা দেয়।

৪) মিষ্টি খাবার-
মিষ্টি খেতে খুব ভালবাসেন, কিন্তু আপনার যদি থাইরয়েড থাকে, তাহলে মিষ্টি খাওয়া বন্ধ করতেই হবে। কারণ থাইরয়েড আমাদের শরীরের মেটাবলিজমকে স্লো করে দেয়। ফলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। আর মিষ্টি খাবার খেলে কোনো পুষ্টিগুণ তো শরীরে যায়ই না, উল্টে বাড়তি ক্যালোরি ঢুকে ওজন বাড়তে শুরু করে।

৫) কফি-
কফিতে থাকা ক্যাফেইন কিন্তু থাইরয়েড রিপ্লেসমেন্ট হরমোন মেডিসিনের কাজে বাধা দেয়। তাই যারা নিয়ম করে থাইরয়েডের ওষুধ খান, বা যাদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে তাঁরা কফি এড়িয়ে চলুন। কারণ কফি অনেকসময় থাইরয়েডকে কন্ট্রোলের বাইরে নিয়ে গিয়ে বিপদও ডেকে আনে।

৬) অ্যালকোহল-
অ্যালকোহল কিন্তু আপনার শরীরে থাইরয়েড হরমোনের সামঞ্জস্যকে একদম নষ্ট করে দিতে পারে। শরীরে স্বাভাবিক থাইরয়েড উৎপাদনকেও ব্যহত করে অ্যালকোহল। তাই অ্যালকোহলের নেশা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।

থাইরয়েড সমস্যা প্রতিকারের সাধারণ উপায়

থাইরয়েড একটি ছোট্ট গ্ল্যান্ড যা আমাদের গলার মাঝামাঝি ও নিচের অংশে থাকে। এই অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ গ্রন্থি থেকে থাইরক্সিন নামের হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, হার্টের গতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই হরমোন তাঁদের দেহের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। বিভিন্ন কারণে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড এর সমস্যা হতে পারে। যেমন-

– আয়োডিন ও সেলেনিয়াম এর ঘাতটি

– খাদ্য এর অ্যালার্জি

– রেডিয়েশন ও ভারী ধাতুর বিষক্রিয়া

– হরমোনের অসামঞ্জস্যতা ইত্যাদি।

থাইরয়েড-এর সমস্যা দুই ধরণের হয়, হাইপো থাইরয়েডিজম ও হাইপার থাইরয়েডিজম। যখন থাইরয়েড গ্ল্যান্ড থেকে হরমোন নিঃসরণ কম হয় তখন তাকে হাইপো থাইরয়েডিজম বলে। এটা হলে- ক্লান্ত লাগা, বিষণ্ণতা, ভুলে যাওয়া এবং ওজন বৃদ্ধি পাওয়া এই সমস্যা গুলো হয়ে থাকে।

আর যখন হরমোন নিঃসরণ অনেক বেশি হয় তখন তাকে হাইপার থাইরয়েডিজম বলে। এটা হলে- বিরক্ত লাগা, নার্ভাসনেস, মাংসপেশির দুর্বলতা, চোখের সমস্যা, ঘুমের সমস্যা ও অস্বাভাবিক ওজন কমে যাওয়া এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকে।

থাইরয়েড এর এই সমস্যা গুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করা যায়। যেমন –

১। বেশি করে ভিটামিন এ গ্রহণ করতে হবে

থাইরয়েড এর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হল বেশি বেশি ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। এর জন্য প্রচুর গাজর, হলুদ ও গাঢ় সবুজ শাকসবজি ও ডিম খেতে হবে।

২। নারিকেল তেল

নারিকেল তেলে যে ফ্যাটি এসিড আছে তা থাইরয়েড এর কাজকে ত্বরান্বিত করে, এছাড়াও বিপাকে সহায়তা করে ও এনার্জি প্রদান করে। এটা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে যা হাইপো থাইরয়েডিজম এর রোগী দের জন্য ভালো।

– রান্নার জন্য এক্সট্রা ভার্জিন অর্গানিক নারিকেল তেল ব্যবহার করুন।

– সকালের নাস্তার সময় দুধের সাথে ২ চামচ নারিকেল তেল মিশিয়ে খেতে পারেন।

৩। আপেল সাইডার ভিনেগার

থাইরয়েড-এর সমস্যায় আপেল সিডার ভিনেগার অনেক কার্যকরী। এটা এসিড ও ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করে, শরীর কে বিষ মুক্ত করে, ওজন কমতে সাহায্য করে এবং হরমোনের নিঃসরণে সহায়তা করে।

– ১ গ্লাস উষ্ণ পানিতে ২ চামচ অর্গানিক আপেল সাইডার ভিনেগার মিশান

– এর সাথে কিছুটা মধু যোগ করুন

– এই মিশ্রণটি প্রতিদিন খাওয়ার চেষ্টা করুন

টিপস:

· আপনার খাদ্য তালিকায় বাদাম, শিমের বীজ, পনির সহ প্রচুর ফল ও শাকসবজি রাখুন

· প্রতিদিন কিছু সময় ব্যায়াম করুন বা আপনার শারীরিক কার্যক্রম বাড়িয়ে দিন।এর ফলে শরীরে এমনকি থাইরয়েড গ্রন্থিতে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি পায়

· আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন- পেঁয়াজ, ভুট্টা, আনারস, টমেটো, রসূন, বাঁধাকপি ও স্ট্রবেরি খান

· অনেক পানি পান করুন

· হাই ক্যালরি যুক্ত খাবার বর্জন করুন। ভাঁজা পোড়া খাবার কম খান

· বেশি করে খনিজ লবণ সমৃদ্ধ খাবার খান

· ভিটামিন ডি গ্রহণ করুন

· কার্বোহাইড্রেট কম গ্রহণ করুন

যদি থাইরয়েড গ্রন্থিতে ব্যাথা হয় ও ফুলে যায় তাহলে দ্রুত ডাক্তার দেখান।

মহিলাদের থাইরয়েড সমস্যা :
মহিলাদের থাইরয়েড সমস্যা বেশি হয়। থাইরয়েড হরমোনজনিত সমস্যা মেয়েদের বেশি হওয়ার কারণ কি? এর লক্ষণসমূহ কি কি? এবং তা কিভাবে প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্ভব।
থাইরয়েড গ্রন্থি একটি নালীবিহীন গ্রন্থি; যা শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। থাইরয়েড শব্দটি গ্রীক শব্দ যার অর্থ বর্ম। এটি গলার সামনে নিচের দিকে ও দু’পাশে থাকে। দেখতে প্রজাপ্রতির মত। এ হরমোন শরীরের বিপাক ক্রিয়া, শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি, ক্যালসিয়াম-এর বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
বাংলাদেশ আয়োডিনের অভাবজনিত এলাকা, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের জেলাসমূহে আয়োডিনের অভাব বেশি, সর্বশেষ জাতীয় পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ লোক থাইরয়েডের বিভিন্ন রোগে ভুগছে।
এ সমস্যাটিকে আয়োডিন ডিফিসিয়েন্সি গয়টার বলা হয়। এই সমস্যার কারণে মেয়েদের ওজন বেড়ে যেতে থাকে, শীত অসহ্য লাগে, শরীরে ব্যথা হতে পারে, চুল পড়ে যেতে পারে, প্রচণ্ড দুর্বলতা অনুভব হয়। মাসিক অনিয়মিত হবে, গলা ফুলে যাবে এবং পরবর্তী সময়ে বাচ্চা উত্পাদন ক্ষমতা হ্রাস পাতে পারে, বার বার গর্ভপাতের মত বিষয়ও হতে পারে, মেয়েটির মানসিক ও শারীরিক ভারসাম্যহীন হয়ে যেতে পারে, বৃদ্ধি হ্রাস পেতে পারে, বুদ্ধিমত্তা হ্রাস পেতে পারে।
উপরোক্ত থাইরয়েড সমস্যাসমূহ খুব সহজেই প্রতিরোধ ও প্রতিকার করা সম্ভব, প্রতিরোধের উপায় হলো যেসব তরল খাদ্যে বেশি পরিমাণ আয়োডিন থাকে তা খাওয়া। যেমন পানীয় জল, সামুদ্রিক মাছ, দুধ, কর্ড লিভার অয়েল, আয়োডিন যুক্ত লবণ। রুটি, বিস্কুট, বাঁধাকপি ও ফুলকপি না খাওয়া।
হাইপোথাইরয়েডের চিকিৎসা খুবই সহজ। আপনি ডাক্তারের পরামর্শ ক্রমে থাইরয়েড হরমোনের ঔষধ নিয়মিত সেবন করলে এবং নির্দিষ্ট সময় পর পর চেকআপ করলে সারাজীবন সুন্থ জীবন-যাপন করা সম্ভব।

শারীরিক অক্ষমতার কারণ ও প্রতিকার

পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতা অথবা পুরু/ষত্ব হীনতা আজকাল প্রকট আকার ধারণ করছে। একদম তরুণ থেকে শুরু করে যে কোন বয়সী পুরুষের মাঝে দেখা যাচ্ছে এমন যৌ/ন সমস্যা।

অনেক পুরুষ অকালেই হারিয়ে ফেলছেন নিজের সক্ষমতা, উঠতি বয়সের যুবকরা রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়ছেন। বাড়ছে দাম্পত্যে অশান্তি, সন্তানহীনতার হার এবং সত্যি বলতে কি বাড়ছে ডিভোর্সও।

কিন্তু কারণ কি পুরুষদের এই ক্রমশ শারীরিকভাবে অক্ষম বা দুর্বল হয়ে যাওয়ার পেছনে? কারণ লুকিয়ে আছে আমাদের বর্তমানের আধুনিক জীবনযাত্রার মাঝেই।

হ্যাঁ, আপনার প্রতিদিনের স্ট্রেসভরা অস্বাস্থ্যকর জীবন, আপনার নিজের কোনও একটা ভুলই হয়তো আপনাকে ক্রমশ ঠেলে দিচ্ছে পুরুষত্বহীনতার দিকে। অথবা হতে পারে আপনার শরীরে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে যৌ/ন হরমোনের পরিমাণ, যা আপনার সংসারকে করছে অশান্তিময়।

কেন এমন হচ্ছে সেটা জানার আগে জানতে হবে পুরুষের একান্ত দুর্বলতাগুলো কী কী বা কেমন হতে পারে। তা জেনে নিলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, আপনার সমস্যাটা কোথায়।

শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতার বিষয়টিকে মোটামুটি ৩ ভাগে ভাগ করা যেতে পারে-

১. ইরেকশন ফেইলিউর : পুরুষ লি/ঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা। এতে করে লিং/গের উত্থানে সমস্যা তৈরি, যাতে করে দীর্ঘদিন যাবত লিং/গ গরম হয় না এবং সহ/বাসের উপযোগী হয় না।

২. পেনিট্রেশন ফেইলিউর : লি/ঙ্গের যো/নিদ্বার ছেদনে ব্যর্থতা, বা যো/নিতে প্রবেশের মত পর্যাপ্ত উথিত না হওয়া। এতে করে মাঝে মাঝে লিং/গ উত্থিত বা গরম হয় আবার গরম হয়েও শীতল হয়ে যায়। আবার গরম হলেও স্ত্রী যো/নীতে প্রবেশ করা মাত্রই তা নরম হয় যায়, ফলে সংসারে বাড়ে অশান্তি। বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়তে থাকে।

৩. প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন : সহ/বাসে দ্রুত বী/র্য-স্খলন, তথা স্থায়িত্বের অভাব। এতে করে পুরুষের লিং/গ গরম হলেও তা খুব দ্রুতই পতন হয় বা বী/র্য আউট হয়ে যায়। তাতে নারী এবং কেউ পরম সুখলাভ করতে পারে না।

এ সমস্যার জন্য নাইট কিং পাউডার ও সিরাপ বেশ কার্যকরী ঔষধ। এই ঔষধ সেবনে উপরোক্ত সমস্যার সমাধান হবে, ইনশাল্লাহ।

কারণগুলি কি কি হতে পারে ?

প্রাকৃতিক বা শারীরিক কারণগুলোর মাঝে মুখ্য হলো-

১. ডায়াবেটিস,

২. লি/ঙ্গে জন্মগত কোনওপ্রকার ত্রুটি,

৩. সে/ক্স হরমোনের ভারসাম্যহীনতা,

৪. গনোরিয়া বা সিফিলিসের মত যৌ/নরোগ ইত্যাদি।

তাছাড়াও প্রাকৃতিক শারীরিক সমস্যা ছাড়াও প্রচণ্ড কাজের চাপ, মানসিক অশান্তি, দূষিত পরিবেশ, ভেজাল খাওয়া দাওয়া, কম বিশ্রাম ও ব্যায়াম ছাড়া অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ইত্যাদি অনেক কারণই আছে ক্রমশ যৌ/ন সক্ষমতা হারিয়ে ফেলার পেছনে।

আবার অতিরিক্ত যৌ/ন সম্পর্কে যাওয়া, অতিরিক্ত মা/স্টার/বেট বা হ/স্তমৈ/থুন করা, যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য হাবিজাবি ওষুধ সেবন ইত্যাদি কারণকে অবহেলা করলেও চলবে না।

এছাড়া বয়স জনিত অসুস্থতা, সঙ্গিনীর সাথে বয়সের পার্থক্য বা সঙ্গিনীকে পছন্দ না করা, এইডসভীতি, পর্যাপ্ত যৌ/ন জ্ঞানের অভাব, ত্রুটিপূর্ণ যৌ/নাসনও অক্ষমতা বা দুর্বলতার জন্য দায়ী হতে পারে।

কী কি করবেন ?
প্রথমেই যা করবেন, সেটা হলো নিম্নোক্ত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। লজ্জা না করে নিজের সমস্ত সমস্যা খুলে বলুন ও ডাক্তারের পরামর্শ মত প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা নিন।

এতে লজ্জার কিছুই নেই। একটাই জীবন। লজ্জার চাইতে নিজেকে সুস্থ ও সক্ষম রাখা জরুরী। তাই দ্বিধাহীন চিত্তে যোগাযোগ করুন। আপনার সমস্যা অনুসারে আপনাকে ট্রিটমেন্ট দেওয়া হবে।

আপনার ডায়াবেটিস থাকলে প্রয়োজনীয় সকল নিয়ম কানুন মেনে চলুন।
নিজের জীবনধারাকে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনে বদলে ফেলুন। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খান, ব্যায়াম করুন, রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান, চেষ্টা করে কাজের চাপের মাঝেও বিশ্রাম নিতে। আপনার শরীর যখন সুস্থ ও সক্ষম থাকবে, যৌনজীবনও থাকবে সুন্দর।

সঙ্গীর সাথে রোমান্টিক জীবনের উন্নতি করুন। এক ঘেয়ে যৌ/ন জীবনে নানান রকমের চমক ও আনন্দ নিয়ে আসুন। তাঁকেও বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন যে নতুন চমক এলে আপনার মানসিকভাবে সাহায্য হবে। রোমান্টিক বেডরুম, আকর্ষণীয় অন্তর্বাস, সে/ক্স টয় ইত্যাদি এসব ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে।

যদি সঙ্গীকে অপছন্দ করার কারণে সমস্যা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে চেষ্টা করুন সঙ্গীকে ভালবাসতে। তার সাথে দূরে কোথাও নিরিবিলি বেড়াতে যান, তাঁকে গভীর ভাবে জানার চেষ্টা করুন। আস্তে আস্তে তার প্রেমে পড়ার চেষ্টা করুন।

মানসিকভাবে প্রেমে পরলে শরীরটাও সাড়া দেবে। একটা জিনিষ মনে রাখবেন, বাস্তবের নারীর সাথে সিনেমার নায়িকা বা প/র্ণ স্টারদের মিল খুঁজতে যাবেন না। নিজের দিকে তাকান, নিজের সাধারণত্ব দেখুন। দেখবেন, সঙ্গীকেও আর খারাপ লাগছে না।

কী করা উচিত নয় ?
অতিরিক্ত মাস্টারবেট করার অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করুন। আর যাদের স্ত্রী আছে তাঁরা স্ত্রীর সাথেই যৌ/নজীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন।

বাজারে সাময়িকভাবে যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু ওষুধ পাওয়া যায়, যেগুলো সেবনে ২৪ ঘণ্টার জন্য যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ে। এইধরনের ওষুধ মোটেও ব্যবহার করবেন না। এতে সাময়িক ক্ষমতা বাড়লেও, ক্রমশ আসলে ক্ষমতা কমতেই থাকবে।

যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

যৌ/ন রোগ কয়েক প্রকার হতে পারে। তাই প্রথমেই আমাদেরকে বুঝতে হবে যৌ/ন রোগ কী?

যৌ/ন রোগ কয়েক প্রকার হতে পারে। যেমন :

১. সহ/বাসে অসমার্থতা।

২. দ্রু/ত বী/র্যপাত।

৩. অসময়ে বী/র্যপাত।

৪. সহ/বাসের আগেই বী/র্যপাত। অর্থাৎ নারীদেহ কল্পনা করলেই বী/র্যপাত হয়ে যাওয়া।

৫. প্রস্রাবের সাথে বী/র্যপাত।

৬. প্রস্রাবের বেগ হলেই বী/র্যপাত। স্বপ্নদোষ। মেহ রোগ।

৭. যৌ/নবাহিত রোগ। যেমন. গনোরিয়া, ক্লামিডিয়া, হার্পিস ইত্যাদি।

ওপরের ছয় নম্বর পর্যন্ত রোগের চিকিৎসা এক প্রকারের। আর তা হচ্ছে : নাইট কিং নিয়মিত সেবন করা। কয়েক মাস সেবন করলেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

নাইট কিং খুব ভালো মানের ঔষধ। যা সেবন আপনি দ্রুত বী/র্যপাত থেকে মুক্তি পাবেন। আর সাত নম্বর রোগগুলো থেকে মুক্তি পেতে হলে দীর্ঘদিন যাবত ঔষধ সেবন করতে হবে।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

ডা.হাকীম মিজানুর রহমান 
(ডিইউএমএস)
হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন
স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।
মুঠোফোন: 
চিকিৎসক) 
01762240650

(সকাল দশটা থেকে রাত্র দশটা।

নামাজের সময় কল দিবেন না।)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

Loading

শেয়ার করুন

Leave a Reply