ফাটা দাগ দূর করার সহজ উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক :

বাড়তি ওজনের কারণে শরীরে স্ট্রেচ বা ফাটা দাগ দেখা যায়। শরীরের আয়তন যখন বেড়ে যায়, ত্বক তখন স্ট্রেচ করে বাড়তি আয়তনকে ঢাকতে। ফলে তৈরি হয় এই দাগ।

আবার গর্ভধারণ পরবর্তী সময়ে নারীদের তলপেটে চামড়ার টানজনিত কারণে এই ধরনের দাগ হয়ে থাকে। শারীরিক ধকল এবং শরীরে পানি ঘাটতির কারণেও হতে পারে এ ধরনের সমস্যা।

শরীরের ফাটা দাগ নির্মূলে লেবুর একটি টুকরা নিয়ে দাগের উপর ১৫ মিনিট ধরে ম্যাসেজ করুন। এতে বেশ উপকার পাওয়া যাবে।

ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার করুন। দিনে ৩ বার ফাটা দাগের উপর ম্যাসেজ করুন। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ক্রিম না পেলে সাপ্লিমেন্টও নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্টটি দিনে ৩ বার খেতে হবে।

 

চিনি, লেবুর রস ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে তা প্রতিদিন ফাটা দাগের উপর প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট ম্যাসেজ করুন।

গ্লাইকলিক অ্যাসিডযুক্ত বিভিন্ন বিউটি পণ্য যেমন টোনার, ক্লিনজার ও ময়শ্চারাইজার ইত্যাদি ব্যবহার করুন। এই অ্যাসিড ফাটা দাগ নির্মূলে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

ফাটা দাগ নির্মূলে বিভিন্ন ধরণের তেল মিশিয়ে দাগের উপর প্রতিদিন ১০ মিনিট ম্যাসেজ করুন। উপকার পাওয়া যাবে।

ঘৃতকুমারির পাতা নিয়ে এর ভেতর থেকে জেলী সদৃশ অংশটি বের করে দাগের উপরে লাগিয়ে ২ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এর জন্য আরেকটি প্রসেজ এ্যাপ্লাই করতে পারেন। এটি হল একটি আলু নিয়ে তা মোটা করে ২ টুকরা করে ফাটা দাগের উপরে কিছুক্ষণ ম্যাসেজ করুন। এর রস ভালো মত লাগলে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন স্থানটি।

 

প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন মাছ, ডিমের সাদা অংশ, দই, বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, তরমুজের বীজ খাবেন। এগুলো আপনার ত্বককে জলযোয়িত রাখবে। শরীরের ফাটা দাগ নির্মূলে সহায়তা করবে।

এপ্রিকট ফলের বিচি ফেলে দিয়ে পেস্ট বানিয়ে দাগের উপর ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন প্রতিদিন ২ বার।

পেট থেকে গর্ভকালীন ফাটা দাগ দূর করার সহজ ৫টি উপায়

গর্ভকালীন ফাটা দাগ- মা হওয়ার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। ছোট একটি শিশুর আগমণে পুরো জীবন পরিবর্তন হয়ে যায় মায়ের। কিছু কিছু পরিবর্তন অবশ্য অনাকাঙ্ক্ষিত।

কোনো নারীই তার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাক এমনটা চান না। গর্ভধারণের কারণে মায়ের পেটে কিছু দাগ পড়তে পারে। অধিকাংশ মায়েদের পেটেই এই দাগ পড়তে দেখা যায়। ইংরেজিতে এই দাগকে স্ট্রেচমার্কস বলে। নামে বোঝা যাচ্ছে, মানুষের ত্বকে কোনো কারণে টান পড়লে এ ধরনের দাগ পড়ে।

gif maker

গর্ভাবস্থায় এই ধরণের দাগ হওয়া অনিবার্য। ক্রমবর্ধমান ভ্রুনের জন্য জায়গা তৈরি করতে জরায়ু বড় হতে থাকে এবং এতে পেটের চারপাশের ত্বক প্রসারিত হয়। ত্বকের এরকম প্রসারণের ফলে ত্বকে ফাটল সৃষ্টি হওয়ার প্রবণতা দেখা যায় এবং ত্বকের কোলাজেন এই ফাটলকে পূর্ণ করতে পারেনা যার ফলে লম্বা দাগের সৃষ্টি হয়।

কিছু হরমোন ত্বকে টান পড়লেও যেন ত্বক ফেটে না যায় তার জন্য কাজ করে, শরীরে সেসব হরমোনের উৎপাদন কম থাকলেও এই দাগগুলো পড়ে। শুধুমাত্র মোটা মানুষের এ দাগ পড়ে বা নারীদেরই পড়ে তা কিন্তু নয়।

অনেক হালকা পাতলা মানুষেরও এ দাগ হতে পারে। পুরুষদেরও হতে পারে। এতে পেটে প্রথমে লালভাব, নীল সবশেষ ফাটা দাগ দেখা দেয় ৷ এই দাগ শিশুর জন্মের আগে পেট, ঊরু ও নিতম্বে হয় ৷ তবে এর পেছনে কিছুটা বংশগত কারণও থাকতে পারে ৷

স্ট্রেচমার্কস বা ফাটা দাগ কাদের বেশী হয়?

স্ট্রেচমার্কস বা পেটে ফাটা দাগ কাদের হবে বা বেশী হবে এটা কোনভাবেই বলা যায়না। প্রায় ৫০ ভাগ মায়দের গর্ভাবস্থায় ফাটা দাগ হতে পারে। তবে কিছু কিছু বিষয় এর সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। গবেষণা বলে এর পেছনে বংশগত কারণ থাকতে পারে। যদি মায়ের বা বোনের গর্ভাবস্থায় ফাটা দাগ হয় তবে আপনারও তা হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

এছারাও গর্ভাবস্থায় আপনার চামড়া যত বেশী এবং যত দ্রুত প্রসারিত হবে তত বেশী আপনার স্ত্রেচ মার্কস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ কারণে নিচের বিষয়গুলো হলে আপনার স্ত্রেচ মার্কস হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকবে।

যদি গর্ভাবস্থায় ওজন খুব তাড়াতাড়ি এবং বেশী বেড়ে যায়।
যদি গর্ভে যমজ শিশু থাকে।
গর্ভের সন্তান যদি আকারে বড় হয়।
অ্যামনিওটিক ফ্লুইডের পরিমান যদি বেশী থাকে।

গর্ভাবস্থায় স্ট্রেচ মার্কস কখন ও কোথায় দেখা দেয়?

গর্ভাবস্থার সাধারনত ৬ থেকে ৭ মাসের দিকে স্ট্রেচ মার্কস দেখা দেয় তবে অনেকের পেট বাড়তে থাকার সাথে সাথে দেখা যেতে পারে। যাদের গায়ের রঙ ফর্সা তাদের ক্ষেত্রে প্রথমে স্ট্রেচ মার্কসের রঙ থাকে হালকা গোলাপি আর শ্যামলা বর্ণের হলে এগুলো আশপাশের চামড়ার চাইতে হালকা বর্ণের হয়।

প্রথম দিকে ফাটা দাগ হালকা গোলাপি বর্ণের থাকে এবং এতে চুলকানি থাকতে পারে। এ দাগের আশপাশের চামড়া চ্যাপ্টা ও পাতলা দেখা যায়। আস্তে আস্তে দাগ গুলোর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ বাড়তে থাকে এবং লাল বা বেগুনী রঙ ধারন করে। প্রসবের পর এগুলো ধীরে ধীরে বিবর্ণ হয়ে যায় এবং ধুসর সাদা বা সিলভার কালারের হয়ে যায়।

বেশীরভাগ মহিলাদের সাধারণত পেটে ফাটা দাগ হয় তবে স্তন, উরু, কোমর এবং নিতম্বে দেখা যাওয়াটাও স্বাভাবিক। এগুলো শরীরের যে কোন জায়গাই দেখা দিতে পারে তবে যে সব অংশ বেশী চর্বি জমা থাকে সেসব অংশে বেশী দেখা যায়।

স্ট্রেচ মার্কস বা ফাটা দাগ কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়?

স্ট্রেচ মার্কস প্রতিরোধের তেমন কোন উপায় নেই। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ওজন না বাড়া এবং ধীরে ধীরে ওজন বাড়ানোর মাধ্যমে এর ঝুঁকি কমানো যায়। কোন ক্রীম বা লোশন এর মাধ্যমে এর প্রতিরোধ করা যায় এমন কোন প্রমান পাওয়া যায়নি।

তাই কোন ক্রীম বা লোশন কোম্পানি যদি এমন দাবী করে যে তাদের পণ্য ব্যাবহারে আপনার ফাটা দাগ পুরোপুরি মিলিয়ে যাবে তবে তা ভুল। তাই এসবের পেছনে অযথা টাকা অপচয় করবেন না।

তবে ত্বকে সুন্দর এবং মসৃণ দেখাতে, হাইড্রেটেড রাখতে এবং গর্ভাবস্থায় দেখা দেয়া চুলকানির উপশম করতে লোশন বা ক্রীম ব্যাবহার করতে পারেন। গর্ভকালীন শরীরের ফাটা দাগ নির্মূল করার তেমন কোনো স্থায়ী উপায় নেই।

তবে গর্ভকালীন সময়ে চিকিৎসকরা গর্ভবতী মায়েদের কিছু ক্রিম ও তেল সাজেস্ট করে থাকেন। এক্ষেত্রে আপনি একজন গাইনী বিশেষজ্ঞের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে এগুলোর নাম জেনে নিতে পারেন।

তবে গর্ভাবস্থায় স্ট্রেচ মার্কস পুরোপুরি প্রতিরোধ করা না গেলেও কিছু কিছু উপায়ে আপনি তা নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারেন।

ম্যাসাজ ও ময়েশ্চারাইজিং

গর্ভের শিশুর বেড়ে উঠার সাথে সাথে পেটে, এর চারপাশে, নীচের দিকে, উরুতে ও পায়ে চাপ পড়ে বলে এই জায়গা গুলোতে স্ট্রেচ মার্ক পড়ার প্রবণতা দেখা যায়। তাই এই স্থান গুলোতে পর্যাপ্ত ময়েশ্চারাইজার দিতে হবে।

স্ট্রেচ মার্ক হওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন স্থানগুলোতে আস্তে আস্তে মালিশ করুন দিনে দুইবার। মনে রাখবেন খুব বেশি চাপ দেয়ার প্রয়োজন নেই, ধীরে ধীরে ঘষুন তেল মিলিয়ে যাওয়া পর্যন্ত।

ভিটামিন

ভিটামিন এ, ই ও সি ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারি। ভিটামিন এ ত্বকের টিস্যুকে মেরামতে সাহায্য করে, ভিটামিন ই ত্বকের ঝিল্লিকে অক্ষত রাখতে সাহায্য করে, কোলাজেনের উৎপাদনে সাহায্য করে ভিটামিন সি।

কোলাজেন ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের কোষের পুনর্জন্ম হতে সাহায্য করে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবারও আপনার খাওয়া উচিৎ কারণ এটি শুধু আপনার ত্বকের পর্দাকে স্বাস্থ্যবান করেনা বরং আপনার ত্বককে প্রাকৃতিক, স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বলতা দান করে।

পানি

পানি শরীরকে বিষ মুক্ত হতে সাহায্য করে এবং আপনার ত্বককে স্ট্রেচের চাপকে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে। তাই গর্ভাবস্থায় অবশ্যই ৬-৮ গ্লাস পানি পান করুন।

ব্যায়াম

সাধারণত মনে করা হয় যে গর্ভবতী নারীর ব্যায়াম করা ঠিক নয় এবং তারা শুধু বিশ্রাম করবে। কিন্তু এটি ঠিক নয়। গর্ভবতী নারীর ব্যায়াম করা প্রয়োজনীয়। ব্যায়াম করলে অভ্যন্তরীণ জন্ম প্রক্রিয়াটি সহজ হয় এবং লেবার পেইন ম্যানেজ করতে সাহায্য করে।

ব্যায়াম করলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় থাকে, শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং অনেক বেশি অক্সিজেন গ্রহণে সাহায্য করে। অধিক অক্সিজেন ও অধিক রক্তচলাচল ত্বককে টান টান হতে সাহায্য করে যার ফলে দাগ সৃষ্টি হয়না।

যদি আপনি প্রেগনেন্সির সময় ব্যায়াম করতে চান তাহলে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর শুরু করুন। হাঁটা, সাঁতার কাটা, এরোবিকস ও কার্ডিওভাস্কুলার ব্যায়ামগুলো প্রেগনেন্সির সময় অনায়াসেই করা যায়। তবে পিঠে চাপ পড়ে বা বেশিক্ষণ দম বন্ধ করে রাখতে হয় এমন ব্যায়ামগুলো প্রেগনেন্সির সময় করা যাবেনা।

সুসংবাদ হোল বাচ্চার জন্মের ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে এর প্রখরতা অনেক কমে আসে। আস্তে আস্তে এর রঙ মলিন হতে থাকে এবং সাধারনত শরীরের অন্যান্য অংশের চামড়ার চাইতে হালকা বর্ণ ধারন করে।

প্রসবের পরে ফাটা দাগ দূর করতে কি করা যেতে পারে?

স্ট্রেচ মার্কস পুরোপুরি দূর করা সম্ভব নাও হতে পারে। যদি দাগ নিয়ে বেশী সমস্যা হয় তবে একজন ডার্মাটোলজিস্টের সাথে কথা বলতে পারেন। বেশ কিছু ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে দাগ কমিয়ে আনা যেতে পারে।

0.১ % ট্রেটনইন ক্রিম , লোশন , ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এটি গর্ভাবস্থায় ব্যাবহার নিরাপদ নয়। আর এটি ব্যাবহারের ফলে বুকের দুধ খাওয়ানো বাচ্চার কোন ক্ষতি হয় কিনা তা এখনো বোঝা যায়নি। তাই বুকের দুধ খাওয়ালে এসব ব্যাবহার না করায় ভালো।

লেজার থেরাপি অনেকের ক্ষেত্রেই ভালো কাজ করে। কিন্তু নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে ভালো একজন ডার্মাটলজিস্ট দেখাতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ব্যাতিত কিছুই করা যাবে না। মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ার কিছু নেই।

নিজেকে বোঝাবেন এটি খুবি স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। সকল মায়েদেরই এটি হয়। দেখতে খারাপ লাগলেও এই নিয়ে চিন্তা করবেন না।

উপরোক্ত নিয়মে যদি ফাটা দাগ দূর না হয়। তাহলে যোগাযোগ করে ঔষধ নিতে পারেন। ঔষধ পেতে নিম্নে বর্ণিত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে আপনি সরাসরি অথবা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে কোনো জেলায় ঔষধ গ্রহণ করতে পারবেন।

রোগীর অবস্থা শুনে ও দেখে সারাদেশের যে কোনো জেলায় বিশ্বস্ততার সাথে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

 

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম ডা. মিজানুর রহমান

(বিএসএস, ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।

ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার

একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

চিকিৎসকের মুঠোফোন : 

01762240650

( ইমো, হোয়াটস অ্যাপ)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : মেহ-প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের প্রতিকার

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

Loading

শেয়ার করুন

Leave a Reply