মতলব উত্তরে প্রতারক শুভ বিয়ে করে স্ত্রীকে অস্বীকার : স্বামীর অধিকার পেতে স্ত্রী রাবেয়ার আকুতি
সফিকুল ইসলাম রানা
বছরের পর বছর ভালোবাসার সম্পর্ককে স্থায়ী রূপ দিতে কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করেছিলেন মতলব উত্তর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের শহিদ উল্ল্যাহ বেপারী ছেলে মেহেদী হাসান শুভ (২৭) ও বাগানবাড়ি নয়াকান্দি গ্রামের রমিজ সরকারের মেয়ে রাবেয়া আক্তার প্রিয়া (২৫)।
জানা যায়, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহরে ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক তাদের বিয়ে হয়। এক বছর বিষয়টি গোপনও ছিল। পরে বিষয়টি জানা জানি হলে রাবেয়াকে বাড়িতে নিয়ে আসে মেহেদী হাসান শুভ। তখন শুভ’র পরিবার মেনে নেন। কয়েক মাস অতিবাহিত হওয়ার পর রাবেয়াকে তার বাবার বাড়িতে পাঠায় মেহেদী হাসান শুভ।
এরপর শুভ ঢাকা গিয়ে স্ত্রীকে অস্বীকার করে আত্মগোপন করে। রাবেয়া কয়েক মাস অপেক্ষা করে গত ১১ মে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি চেয়ে শুভ’র বাড়িতে গেলে এখন তার বাবা-মা ও অস্বীকার করছে। সরেজমিনে গিয়ে রাবেয়াকে তার শশুর বাড়িতে দেখা যায়।
রাবেয়া জানান, একটি বেসরকারি ব্যাংকে একসাথে চাকরি করায় শুভ’র সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে কাজীর মাধ্যমে গোপনে তারা বিয়ে করেন। এরপর থেকে শুভ’র সঙ্গে তার গোপনে যোগাযোগ ও সম্পর্ক চলতে থাকে। কিছুকাল তাদের দাম্পত্য জীবন ভালই কাটছিল। হঠাৎ করে কোথায় থেকে যেন চিলের মতো ছো-মেরে কেরে নিল সেই সুখ।
রাবেয়া আরও বলেন, আমি চাকরি করার কারনে আমার কাছে কিছু টাকা ছিল। বিয়ের পর সে বিভিন্ন বাহানা দিয়ে আমার কাছ থেকে তিন লাখ টাকাও নিয়েছে। আমি শশুর বাড়ি থাকা অবস্থায় আমার গর্ভে সাড়ে ৩ মাসের সন্তান ছিল। আমাকে মিথ্যা কথা বলে ঔষধ পান করিয়ে ঐ শিশুকে হত্যা করেছে। বিষয়টি প্রথম আমি বুঝতে পাড়িনি। পরে ডাক্তারের কাছে গিয়ে নিশ্চিত হয়েছি। এই বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে আমাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে সে আত্মগোপন করে।
স্বামীর বাড়িতে স্ত্রী হিসেবে থাকতে চাই বলায়, এখন তার বাবা মা ও অস্বীকার করছে। শুধু তাই নয় আমার বিরোদ্ধে কোর্টে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমি কোন মামলা মোকদ্দমা করিনি, কারন আমি স্বামীর সংসার করতে চাই। বর্তমানে আমার গর্ভে মেহেদী হাসান শুভ’র সন্তান রয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাবেয়া শুভ’র স্ত্রী। কারন সেই শুভ’র ঘরে শশুর শাশুড়ী নিয়ে কয়েক মাস ঘর-সংসার করেছে।
এবিষয়ে শুভ’র বাবা-মা বলেন, শুভ কোথায় আছে আমরা জানিনা, তার সাথে যোগাযোগও নেই। সে আসলে এর ফয়সালা হবে।
অভিযুক্ত মেহেদী হাসান শুভ কে তার বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি এমনকি তার মোবাইল নাম্বারও পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য নাছির মিয়া বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি, কিন্তু মেহেদী হাসান শুভ পলাতক থাকায় এটি মিমাংশা করা সম্ভব হয়নি।