কোল্ড অ্যালার্জির উপসর্গ ও বাঁচার উপায় কি?

আর কয়েক মাস পরই আসছে শীত। তবে গরমের বিদায়ক্ষণ আর শীত আসার এই মাঝামাঝি সময়টাতে অনেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিভিন্ন কারণে। এসব অসুস্থতার মধ্যে অন্যতম হলো কোল্ড অ্যালার্জি। কোল্ড অ্যালার্জির সমস্যাতে আপনি যেকোনো সময়েই ভুগতে পারেন। তবে শীত আসার এই পরিবর্তিত সময়তে মানুষ এমন অ্যালার্জিতে বেশি আক্রান্ত হয়ে পড়ে। আর তাই আপনিও এই রোগে আক্রান্ত কিনা তা চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে নিজেই কিছু উপসর্গ বা লক্ষণ দেখে বুঝে নিতে পারেন।

যদি আপনি পরিবর্তিত আবহাওয়ার জন্য অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন তবে এ সময় আপনি ত্বকে কিছু পরিবর্তন লক্ষণ করবেন।

ত্বকের শুষ্কতার পাশাপাশি অনুভব করবেন চুলকানিও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতে সর্দি-কাশির পাশাপাশি বাড়ে অ্যালার্জির সমস্যাও। এসময় ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া আর ধূলিকণার কারণে অ্যালার্জির পাশাপাশি আপনার হতে পারে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও।

অ্যালার্জি বা কোল্ড অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হলে আপনার মধ্যে আরো যে উপসর্গগুলো দেখা যাবে সেগুলো হলো- ঘন ঘন হাঁচি, গলা খুসখুস করা, নাক দিয়ে পানি পড়া, কানে অস্বস্তি, চোখে জ্বালা ভাব, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, হালকা জ্বর, ত্বকে সংক্রমণ ইত্যাদি।

হঠাৎই এ সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে গেলে লাইফস্টাইলে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। শরীরে অ্যালার্জি বেড়ে যায় এমন খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। বেশি সময় ধরে গোসল করা যাবে না।

কোল্ড অ্যালার্জিতে স্বাভাবিক পানিতে গোসল করার পরও শরীরের অনেক অংশ লাল বর্ণ হতে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে পানিতে হালকা একটু গরম পানি মিশিয়ে নিতে পারেন। পানিতে দীর্ঘ সময় হাত ডুবিয়ে রাখতে পারবেন এবং হালকা আরাম অনুভব করবেন এমন হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে।

খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস থাকলে তা বদলে ফেলুন। হাঁচি, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়ার মতো সমস্যায় বাজারে একাধিক কার্যকরী ওষুধ ও ড্রপ রয়েছে। অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তা ব্যবহার করুন।

বাড়ির ভেতর যতটা সম্ভব খোলামেলা রাখার চেষ্টা করুন। ঘরে রোদ বা সূর্যের আলো ঢোকার সুযোগ না পেলে অ্যালার্জির সমস্যা আরও বেড়ে যায় রোগীর। বাড়িতে রাখা কার্পেট, পোষ্যর লোম থেকেও অ্যাালর্জি হতে পারে। তাই সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

ধুলাবালি কিংবা ঘরে কীট পতঙ্গের উপদ্রব বেশি থাকলে সেগুলো উপদ্রব বন্ধ করতে চেষ্টা করতে হবে। শীতের পোশাক বা কম্বল , লেপ এ জাতীয় পোশাক আলমারি থেকে বের করেই ব্যবহার করতে শুরু করবেন না।

এতে ত্বক সংক্রমণ হয়ে অ্যালার্জির সংক্রমণ আরো বেড়ে যায়। তাই এসব পোশাক ব্যবহার করার আগে ভালো করে রোদে গরম করে ব্যাকটেরিয়া দূর করে তবেই ব্যবহার করুন। এসব নিয়ম এখন থেকেই মেনে চললে এই শীতেও আপনি থাকতে পারবেন অ্যালার্জিমুক্ত।

যদি কোল্ড ও ডাস্ট অ্যালার্জি খুব বেশি হয়, তাহলে গোসলের সময়ও পানিতে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। পাশাপাশি অবশ্যই রাতে শুতে যাওয়ার আগে একবার করে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েলের ভাপ নিন। খাবারে তিতাজাতীয় খাবার বাড়িয়ে তুলন। নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখুন করলা ও নিমপাতা ভাজা

করণীয়

শীতের হাঁচি ও সর্দির সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া খুবই সহজ। যে কারণে সমস্যাটি হচ্ছে তা এড়িয়ে চলতে পারলেই সমস্যা অনেকাংশ কমে আসবে।

সকালে বিছানা ছেড়ে ওঠার পর ঠান্ডা ফ্লোরে কিংবা মাটিতে কোনো অবস্থাতেই খালি পায়ে হাঁটা ঠিক হবে না। বিশেষ করে যারা খালি পায়ে হেঁটে অভ্যস্ত নন এবং ঠাণ্ডা পরিবেশে কম গেছেন,তাদের বেলায় এ সমস্যা বেশি হয়। বাচ্চাদের শীতের সকালে গরম কাপড়ের সঙ্গে মাথায় ক্যাপ ও পায়ে মোজা পরাতে পারেন।

সর্দির জন্য এ সময়ে অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ, যেমন- হিস্টাসিন, হিস্টাল, এভিল , এক্সপিলিন ইত্যাদি ট্যাবলেট তাৎক্ষণিকভাবে খেয়ে নেওয়া যায়। এ ছাড়া এ কারণে নাক বন্ধের জন্য নাকের ড্রপ, যেমন- এন্টাজল, রাইনোজল, নোভিন ইত্যাদি দুই-তিন ফোঁটা করে দিনে তিনবার নাকের ছিদ্রপথে ব্যবহার করতে পারেন। তবে যেকোনো ওষুধ ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।

প্রতিদিনই সমস্যা হতে থাকলে সে ক্ষেত্রে রাতে ট্যাবলেট এভিল রিটার্ড একটি করে খেয়ে নিতে পারেন।

যারা সকালবেলা জগিং করেন তারা নাক-মুখ ঢেকে নিলেই ভালো করবেন।এ ছাড়া প্রকৃতির এই পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে খাপখাইয়ে নিতে মানসিকভাবে প্রস্তুতি রাখতে হবে। প্রয়োজনে নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।

এলার্জি হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না?
যখন লক্ষণগুলি গুরুতর হয়, তখন তাকে অনাফিল্যাক্সিস বলা হয়। খাদ্যে অসহিষ্ণুতা এবং খাদ্যে বিষাক্ততা পৃথক অবস্থা এবং সেগুলো ইমিউন প্রতিক্রিয়া দ্বারা সৃষ্টি হয় না। সাধারণত গরুর দুধ, চিনাবাদাম, ডিম, শেলফিশ, মাছ, গাছ বাদাম, সয়া, গম, চাল এবং ফল এর দ্বারা খাদ্যে এলার্জি হতে পারে।

প্রকাশিত : রোব বার, ১৪ জুলাই ২০২৪

স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?

ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

পাইলস ফিস্টুলা রোগের কারণ ও প্রতিকার

Loading

শেয়ার করুন