গোপনে স্কুল ঘর বিক্রির অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

সফিকুল ইসলাম রানা :  চাঁদপুরের মতলব উত্তরে গোপনে সরকারি প্রাথমিক স্কুলের পুরোনো টিনের ঘর বিক্রির অভিযোগ উঠেছে (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের সুগন্ধি গ্রামবাসী। সুগন্ধী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সুগন্ধী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের আগে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য আধা পাকা টিন শেডের ক্লাসরুম তৈরি করা হয়। নতুন ভবনের কাজ শেষ হওয়ায় টিনের তৈরি ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিনা আক্তার গোপনে এবং বিধি বহির্ভূতভাবে আধা পাকা ঘর বিক্রি করে দেন। পরে জানাজানি হলে প্রধান শিক্ষক নিজেকে বাঁচাতে কতিপয় প্রভাবশালীর যোগসাজশে বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

স্কুলের পুরোনো ঢেউটিন দিয়ে আধা পাকা ঘর প্রধান শিক্ষক বিক্রি করেছেন সুগন্ধী গ্রামের মো. ফারুক হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছে। সুগন্ধী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরোনো ঘর ২২ হাজার টাকায় কিনেছেন বলে স্বীকার করেন সুগন্ধী গ্রামের মো. ফারুক হোসেন।

তিনি জানান, এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমার কাছে পুরোনো একটা ঘর বিক্রি করেছেন এখন কি যেন সমস্যা হয়েছে তিনি আমাকে ঘর দিবেন না বলে জানিয়েছেন।

আমাকে যদি প্রধান শিক্ষক ঘর না দেয় তাহলে আমার কাছ থেকে ঘর বিক্রির কথা বলে যেই টাকা নিয়েছে তা দিয়ে দিবে। কিন্তু ওনি ঘরও দিচ্ছেন না আবার আমার টাকাও ফেরত দিচ্ছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, ‘শিশুদের লেখাপড়ার স্বার্থে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। নতুন ভবন নির্মাণ হওয়ার পর পুরোনো আধা পাকা টিনের ঘরটি টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করার কথা ছিল প্রধান শিক্ষকের। পরে আমরা জানতে পারলাম, গোপনে স্কুলের ঘর বিক্রি করা হয়েছে।’

তারা আরও বলেন, আমরা স্কুলের অভিভাবক হিসেবে স্কুলের মূল্যবান মালামাল বিক্রি করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে বিচারের দাবি করছি।’

তবে অভিযুক্ত (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক শিরিনা আক্তার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘এগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট। এটি একটি বিশেষ মহলের ষড়যন্ত্র।’ তিনি কোনো অনিয়ম করেন নাই। স্কুলের পুরোনো টিনের ঘরটি তিনি বিক্রি করেন নাই। পুরোনো ঘরের টিন দিয়ে স্কুলের গেইট বানিয়েছেন আরো কিছু টিনের বেড়া স্কুলের পাশেই আছে বলে জানান।

এসএমসির বর্তমান সভাপতি মো. শাহজালাল জানান, সম্প্রতি তাকে স্কুলের সভাপতি করা হয়েছে। তিনি সভাপতি হওয়ার পরে শুনেছেন স্কুলের পুরোনো টিনের ঘরটি নিয়ে কি যেন সমস্যা আছে, পূর্বের কমিটির লোকজন স্কুলের পুরোনো ঘর বিক্রি অথবা কি যেন সমস্যা করেছেন এর বেশি কিছু জানেন না বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সফিকুল ইসলাম সরকার জানান, আমি এ উপজেলায় ৮মাস হবে যোগদান করেছি, সুগন্ধী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোন পুরোনো ঘর আছে আমি জানি না। তবে গেজেট ঘোষণার পর স্কুলের জমি, ভবন ও মালামাল সবকিছুর মালিক সরকার। সেখানে পরিত্যক্ত ঘর বা অন্য কোনো মালামাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে টেন্ডার ছাড়া বিক্রি করা যাবে না। যদি কোনো শিক্ষক গোপনে স্কুলের মালামাল বিক্রি করে তদন্তে তা প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪


স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?

ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

পাইলস ফিস্টুলা রোগের কারণ ও প্রতিকার

Loading

শেয়ার করুন