ডাকাত আতঙ্কে চাঁদপুরের জনজীবন : নির্ঘুম রাতে দলবেঁধে পাহারা

নিউজ ডেস্ক : আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুপস্থিতিতে একের পর এক হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় নির্ঘুম রাত কাটছে চাঁদপুরবাসীর। ডাকাত আতঙ্কে গত কয়েকদিন ধরে চাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা লাঠি হাতে সারারাত রাস্তায় পাহারায় দিতে নেমে পড়েছেন। সরকার পতনে পুলিশ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার পর এই আতঙ্কে আছেন বলে জানান অনেকেই।

চাঁদপুরের আট উপজেলার শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ আতঙ্ক ছড়িয়েছে। রাতভর ফেইসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট লিখে, লাইভ করে নিজেদের নিরাপত্তা চেয়েছেন আতঙ্কিত বাসিন্দারা।

আবার অনেক এলাকায় দল বেঁধেও পাহারা দিচ্ছেন এলাকাবাসী। সেই সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির পাহারায় রয়েছেন অনেকে। লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রতি রাতেই এলাকায় টহল দিয়ে সকালে বাড়ি ফেরেন তারা। জানা গেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রুপ খুলে সমন্বয় করে এলাকাভিত্তিক টহল টিম করে পাহারার কাজটি করছেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিক। ডাকাতির বিষয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মসজিদ থেকে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে, সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানানো হচ্ছে। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ডাকাতির অভিযোগ জানিয়ে সেনাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সাহায্য চাইছেন।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) দিবাগত রাতে চাঁদপুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় ডাকাত ঢুকেছে বলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে এলাকার মসজিদে মসজিদে মাইকিং করে সতর্ক করে দেয়া হয়। এছাড়াও মোবাইলে কল করে পাড়া প্রতিবেশি কিংবা বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনকে জানিয়ে সজাগ করে দেন অনেকে।

অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও সতর্কতামূলক পোস্ট করে জানিয়ে দেয়া হয়। অনেকে আবার সেনাবাহিনীর সঙ্গেও যোগাযোগ করে সহযোগিতা চেয়েছেন বলে জানা যায়। তবে গত কয়েকদিনে জেলার কয়েকটি এলাকায় ডাকাত সন্দেহে কিছু ব্যক্তিকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।

চাঁদপুর সদর উপজেলার মহামায়া বাজারের একজন ব্যবসায়ী সফিউল্যাহ। তিনি জানান, আমাকে একজন রাত প্রায় পৌনে ২টার দিকে রামপুর ইউনিয়নের আলগী থেকে ফোন করে জানায় ওদিকে নাকি ডাকাত ঢুকেছে। পরে প্রতিবেশিদেরও আমি কল দিয়ে জানিয়ে দেই। কিছুক্ষণ পরেই নিজ এলাকা সহ দূর দূরান্তের মসজিদের মাইকেও একই কথা শুনতে পাই। নাসির হাজী নামে এক যুবদল নেতা এ প্রতিবেদককে জানান, আমরা গত কয়েকদিন যাবত ডাকাত আতঙ্কে আছি।

তাই দলীয় নির্দেশনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির রক্ষায় রাত জেগে পাহারা দিচ্ছি। জুয়েল হাজী নামে এক সমাজকর্মী বলেন, পুলিশ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার পর ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে আমাদের। গত কয়েকদিনেই জেলার কোথাও না কোথাও এ ঘটনা ঘটছে। শুক্রবার দিবাগত রাতেও আমাদের এলাকা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ডাকাত আতঙ্কে রাত জেগে থাকতে হয়েছে এলাকাবাসীকে।

হাজীগঞ্জ উপজেলার রামপুর এলাকার ক’জন বাসিন্দা জানান, রামপুর বাজারে প্রতিদিনই হামলা, হুমকি ধমকির ঘটনা ঘটছে। ব্যবসায়ীদের দোকান খুলতে বাধা দিচ্ছে, চাঁদা দাবি করছে, তাই  তারা বেশ  নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে,  একদিকে রাতে চোর ডাকাত, অন্য দিকে দিনের বেলায় হামলার ভয়ভীতি কাজ করছে।  এ অবস্থায় হাজীগঞ্জ উপজেলার রামপুর বাজারে নিয়মিত সেনা টহল চাইছেন তারা।

শনিবার, ১০ আগস্ট ২০২৪

স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?

ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায়

Loading

শেয়ার করুন