ঢাকার চেয়ে চাঁদপুরে ইলিশের দাম বেশি কেন?

নিজস্ব প্রতিনিধি :  চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীর ইলিশের সুখ্যাতি বিশ্বজুড়ে। দেশের জাতীয় এই মাছটি এখানে ভরা মৌসুমেও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ইলিশের ক্রেতাদের অভিযোগ, দাম সাধ্যের বাইরে। এখানে দাম ঢাকার চেয়েও বেশি। দাম বৃদ্ধির ছুতোটাও কাঙ্খিত, সেটা হলো মাছের সরবরাহ কম।

শুক্রবার দুপুরে সরেজমিন, চাঁদপুরের মাছ ঘাটে খুচরা ও পাইকারিতে ইলিশের জমজমাট বিক্রিবাট্টা দেখা গেছে। তবে ঘাটে পাইকারির চাইতে খুচরা ইলিশের ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেশি।

ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন এই ঘাটে প্রতিদিনই ইলিশ কিনতে আসেন। ঘাটের পাশেই পর্যটন কেন্দ্র তিন নদীর মোহনা। যে কারণে ভ্রমণে আসা লোকজনও ইলিশ কেনার জন্য এই ঘাটে ভিড় করেন।

ঢাকা থেকে ইলিশ কিনতে আসা ক্রেতা রবিন বলেন, ঢাকাতে যে ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হয় এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকায়, ওই সাইজের ইলিশ এখানে বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায়। কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা ইলিশের সরবরাহ কম বলে জানাচ্ছেন।

লাকসাম থেকে ইলিশ কিনতে এসেছেন জাহাঙ্গীর। বলেন, ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে ইলিশ পাবো আশায় এসেছি। কিন্তু এখানে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশই বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ১০০ টাকায়।

একই এলাকা থেকে আসা মজিবুর রহমান বলেন, তিন নদীর মোহনায় ঘুরতে এসেছি। কিন্তু যে দাম, তাতে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে।

জহিরুল ইসলাম নামে আরেক ক্রেতা বলেন, গত বছরও ঠিক এই সময়ে এই ঘাটে ইলিশ কিনতে এসেছিলাম। তখন এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকায়। কিন্তু এখন ওই সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি দুই হাজার টাকায়। আর এক কেজি ওজনের বেশি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার টাকায়। আগে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজী থাকায় ইলিশের দাম বৃদ্ধির অভিযোগ পাওয়া গেলেও এখন সেগুলো নেই। কিন্তু ইলিশের দাম কেন কমছে না সেই উত্তর কারো কাছে নেই।

একাধিক খুচরা ইলিশ বিক্রেতা বলেন, বেশি দামে ইলিশ কিনতে হচ্ছে। যে কারণে চড়া দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। আর গত বছর তুলনায় ইলিশের চাহিদা বেড়েছে। সেই হিসেবে সরবরাহ নেই।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার মানিক বলেন, ইলিশ পর্যায়ক্রমে প্রতিবছর উৎপাদন কমছে। সে হিসেবে চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু তুলনামূলক দাম বাড়েনি। কেনা দামের ওপর ভিত্তি করে আমাদের বিক্রি করতে হয়। তবে মৌসুমের শেষ সময়েও যদি সরবরাহ বাড়ে এবং নদীতে ইলিশ ধরা পড়ে তাহলে দাম কিছুটা হলেও কমবে। কিন্তু ক্রেতাদের অভিযোগে ইলিশের দাম কমানো যায় না।

তিনি জানান, এখন গড়ে প্রতিদিন ৪০০/৫০০ মণ ইলিশ আসছে। যদিও বিগত বছরের এই সময়ে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার মণ ইলিশ ধরা পড়তো।

এদিকে সংবাদ মাধ্যমগুলো তথ্য বলছে, দেশের বেশির ভাগ জায়গায় পাইকারি ও খুচরায় দামের ফারাক বেশ। ইলিশের পাইকারদের করা হচ্ছে জরিমানাও।

শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?

ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায় কি?

Loading

শেয়ার করুন