তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে : তানভীর হুদা

সফিকুল ইসলাম রানা :  মতলব উত্তর উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকালে উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের রাঢ়ীকান্দী দারুচ্ছুন্নাত দাখিল মাদ্রাসা মাঠ প্রাঙ্গণে ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে টেলি কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন, সাবেক তথ্য ও সংস্থাপন প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নুরুল হুদার জ্যেষ্ঠ পুত্র, চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদা।

এসময় তানভীর হুদা বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বন্যার্ত মানুষের সব দুঃখ দুর্দশা মনিটরিং করছেন। কোথায় কী পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী দিতে হবে তার নির্দেশনা দিচ্ছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বন্যার্ত মানুষের খোঁজখবর রাখছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিএনপি মানুষের কল্যাণের রাজনীতি করে।

তিনি আরো বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফসল আজকের পরিবর্তন। ছাত্র জনতার আন্দোলন এবং আত্মদানের কারণে মাত্র কয়েকদিনের মাথায় সৈরাচারের পতন ঘটে। এই জালেম সরকার এতোই অত্যাচারী ছিলো যে ‘আয়নাঘর’ বানিয়ে বছরের পর বছর মানুষকে গুম করে রাখতো। শেখ হাসিনা কতটুকু অমানবিক হলে লোমহর্ষক আয়নাঘর বানাতে পারে। মানুষ কথা বলতে পারতো না। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই অত্যাচার নেমে আসতো। সাংবাদিক ভাইয়েরা তারাও স্বাধীনভাবে লিখতে পারতো না। টকশোতে কেউ সরকারের বিরুদ্ধে একটু কথা বললে রাতেই তার কাছে ফোন যেত। দুর্নীতির কথা আর কী বলবো, শেখ হাসিনার পিয়ন যদি ৪০০ কোটি টাকার মালিক হন, তাহলে তার বস কত কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে চিন্তা করে দেখেন।

উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন মজুমদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল মান্নান লস্কর, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ইয়াছিন মোল্লা, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবু সৈয়দ গোলাম রাব্বানী মামুন, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন আমু, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক হালিম সরকার রিংকু, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মানিক ফরাজী, উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুল আজিজ, উপজেলা মৎসজীবী দলের সভাপতি নুর মোহাম্মদ খান, গজরা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মামুন মনির, সাবেক যুগ্ন সম্পাদক বদিউজ্জামান সজিব, পৌর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন মোল্লা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা হান্নান লস্কর, বোরহান ফরাজী, নুরুল হুদা সরকার বাপ্পী, উপজেলা তাতীদলের সাধারন সম্পাদক হানিফ প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন, পৌর ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এইচ এম জমির হোসেন, ইসলামবাদ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আল আমিন, উপজেলা মৎসজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন কুটুম, পৌর তাতীদলের সভাপতি আবুল হোসেন, উপজেলা ছাত্রদল নেতা ঈসা খান, রাজিব, জিলানী খান, আরিফুল ইসলাম বাবু প্রধান, নাদিম ভুইয়া, সাইফুল ইসলাম, শরীফ হোসেনসহ উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

 

 

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাসপোর্ট থাকায় দেশ ছাড়তে পারেননি ১৪০ প্রভাবশালী!

নিউজ ডেস্ক :  তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে স্পেনে যাওয়ার কথা ছিলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের আমন্ত্রণে মাদ্রিদে বাংলাদেশের কোনো প্রধানমন্ত্রীর এটাই প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ায় ২১ জুলাইয়ের সফরটি পিছিয়ে যায়।

এর আগে, চীন সফরও সংক্ষিপ্ত করে দেশে চলে আসেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। কিন্তু স্পেন সফরে আর যাওয়া হলো না। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তবে দেশ ছাড়তে পারেননি শেখ হাসিনা সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রীসহ শতাধিক ব্যক্তি। কারণ তাদের সবার পাসপোর্ট স্পেন সফরের ভিসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেওয়া ছিলো। হঠাৎ সরকার পতন হওয়ায় পাসপোর্ট হাতে না পাওয়ায় প্রভাবশালী মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ীদের কেউই দেশ ছাড়তে পারেননি।

প্রভাবশালীরা দেশ ছাড়তে না পারার কারণ অনুসন্ধানে নেমে  সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছে।

সূত্র থেকে জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী হতে স্পেনে ভিসার জন্য পাসপোর্ট জমা দিয়েছিলেন ১৪০ জন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী।

এই তালিকায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব, কর্মকর্তা, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রভাবশালী বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও দেশের শীর্ষ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার পাসপোর্ট রয়েছে।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে গণভবন ছেড়ে সামরিক বাহিনীর সহায়তায় দেশ ছাড়ার তথ্য ছড়িয়ে পড়লে লাখ লাখ ছাত্র-জনতা ঢাকার রাস্তায় নেমে আসে। ক্ষোভে ফুসতে থাকা মানুষ হামলে পড়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেঙে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দুই স্থাপনার ভেতরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট চালানো হয়।

এই লুটপাটেই হারিয়ে গেছে প্রভাবশালীদের পাসপোর্ট। ফলে পাসপোর্ট না থাকায় অনেকেই আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ সেনাবাহিনীর কাছে আশ্রয় নেন। ক্যান্টনমেন্টে ছয় শতাধিক ব্যক্তি আশ্রয় নেওয়ার তথ্য কয়েকদিন আগেই জানিয়েছিলো আইএসপিআর।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাসপোর্ট না থাকায় অনেকেই দেশ ছাড়তে পারেননি। যার মধ্যে গ্রেফতার হওয়া সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, জুনায়েদ আহমেদ পলক, দীপু মনি অন্যতম।

পাসপোর্ট থাকলে এই সকল প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কখনো গ্রেফতার হতেন না। তারা যেকোন উপায়ে বর্ডার এলাকা দিয়ে আত্মগোপনে যেতেন। এমন কি আত্মগোপনে থাকা অনেকে এখনো চাইলেও দেশ ছাড়তে পারবে না কারণ তাদের পাসপোর্ট কোথায় আছে কেউ জানে না।তথ্য সূত্র : বার্তা২৪.কম

শুক্রবার, ৩০ আগস্ট ২০২৪

 

 

স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?

ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায়

Loading

শেয়ার করুন