শিক্ষার্থীদের অবরোধের মুখে স্ট্রোক করলেন শিক্ষক

নিউজ ডেস্ক : নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের অবরোধের মুখে স্ট্রোক করেছেন এক শিক্ষক। গত বুধবার নওগাঁ হাঁপানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ এ ঘটনা ঘটে। কলেজটির অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম অসুস্থ অবস্থায় এখন রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে হাঁপানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে গত রোববার থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছিল। বুধবার সকাল ১০টার অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এলে শিক্ষার্থীরা তাকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। অবরুদ্ধ অবস্থায় বিকেল ৩টার দিকে অধ্যক্ষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান।

পরে তাকে ২৫০ বিশিষ্ট নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বিকেল ৪টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাকলী হক বলেন, ‘বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জ্ঞান হারানো অবস্থায় একজন শিক্ষককে হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উনার জ্ঞান ফিরে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে উনি স্ট্রোক করেছিলেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহীতে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

অধ্যক্ষ নুরুল ইসলামের বড় ভাই আবু নাছের আহম্মেদ বলেন, ‘নুরুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে গত রোববার থেকে তার প্রতিষ্ঠানের কতিপয় শিক্ষার্থী ও বহিরাগত লোকজন আন্দোলন করছিল। এ নিয়ে মঙ্গলবার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম রবীন শিষ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষক ও অধ্যক্ষকে নিয়ে সভা করেন এবং উভয়পক্ষের মধ্যে মীমাংসা করে দেন। বুধবার সকালে নুরুল ইসলাম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গেলে কিছু শিক্ষার্থী তাকে বিগত সময়ের কিছু বুঝে দিতে বলেন। নুরুল ইসলাম তার হিসাব-নিকাশ বুঝে দেওয়ার একপর্যায়ে দুপুর ২টার দিকে বহিরাগত কিছু লোকজন তার কার্যালয়ে ঢুকে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও তার শরীরে হাত দিয়ে টানাহেঁচড়া করতে থাকে। এভাবে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তাকে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে নুরুল ইসলাম সেখানে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাঁকে নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউএনও ও হাঁপানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এস এম রবীন শিষ বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই হাঁপানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে নিয়ে একটা অস্থিরতা চলছিল। বিষয়টি মঙ্গলবার উভয়পক্ষের সঙ্গে আমি সভাও করেছি। উভয়পক্ষের মধ্যে একটা সমঝোতার মধ্যে দিয়ে সভাটি শেষ হয়। কিন্তু রোববার আবারও ওই প্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা দেখা দেয়। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।’

ওই অধ্যক্ষের বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানেন উল্লেখ করে ইউএনও বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে চলমান অস্থিরতা বন্ধ করতে বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি সভা করেছি। যেখানে উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।’

এ ধরনের অস্থিরতা এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণেরও আশ্বাস দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাসপোর্ট থাকায় দেশ ছাড়তে পারেননি ১৪০ প্রভাবশালী!

নিউজ ডেস্ক :  তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে স্পেনে যাওয়ার কথা ছিলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের আমন্ত্রণে মাদ্রিদে বাংলাদেশের কোনো প্রধানমন্ত্রীর এটাই প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ায় ২১ জুলাইয়ের সফরটি পিছিয়ে যায়।

এর আগে, চীন সফরও সংক্ষিপ্ত করে দেশে চলে আসেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। কিন্তু স্পেন সফরে আর যাওয়া হলো না। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তবে দেশ ছাড়তে পারেননি শেখ হাসিনা সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রীসহ শতাধিক ব্যক্তি। কারণ তাদের সবার পাসপোর্ট স্পেন সফরের ভিসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেওয়া ছিলো। হঠাৎ সরকার পতন হওয়ায় পাসপোর্ট হাতে না পাওয়ায় প্রভাবশালী মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ীদের কেউই দেশ ছাড়তে পারেননি।

প্রভাবশালীরা দেশ ছাড়তে না পারার কারণ অনুসন্ধানে নেমে  সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছে।

সূত্র থেকে জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী হতে স্পেনে ভিসার জন্য পাসপোর্ট জমা দিয়েছিলেন ১৪০ জন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী।

এই তালিকায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব, কর্মকর্তা, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রভাবশালী বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও দেশের শীর্ষ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার পাসপোর্ট রয়েছে।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে গণভবন ছেড়ে সামরিক বাহিনীর সহায়তায় দেশ ছাড়ার তথ্য ছড়িয়ে পড়লে লাখ লাখ ছাত্র-জনতা ঢাকার রাস্তায় নেমে আসে। ক্ষোভে ফুসতে থাকা মানুষ হামলে পড়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেঙে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দুই স্থাপনার ভেতরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট চালানো হয়।

এই লুটপাটেই হারিয়ে গেছে প্রভাবশালীদের পাসপোর্ট। ফলে পাসপোর্ট না থাকায় অনেকেই আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ সেনাবাহিনীর কাছে আশ্রয় নেন। ক্যান্টনমেন্টে ছয় শতাধিক ব্যক্তি আশ্রয় নেওয়ার তথ্য কয়েকদিন আগেই জানিয়েছিলো আইএসপিআর।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাসপোর্ট না থাকায় অনেকেই দেশ ছাড়তে পারেননি। যার মধ্যে গ্রেফতার হওয়া সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, জুনায়েদ আহমেদ পলক, দীপু মনি অন্যতম।

পাসপোর্ট থাকলে এই সকল প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কখনো গ্রেফতার হতেন না। তারা যেকোন উপায়ে বর্ডার এলাকা দিয়ে আত্মগোপনে যেতেন। এমন কি আত্মগোপনে থাকা অনেকে এখনো চাইলেও দেশ ছাড়তে পারবে না কারণ তাদের পাসপোর্ট কোথায় আছে কেউ জানে না।তথ্য সূত্র : বার্তা২৪.কম

শুক্রবার, ৩০ আগস্ট ২০২৪

স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?

ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায়

Loading

শেয়ার করুন