দরজায় রমজান, চোখ রাঙাচ্ছে বেগুন-লেবু-শসা

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রকাশিত: ০৫:৩৩ পিএম, ২২ মার্চ ২০২৩
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বা পরের দিন শুক্রবার থেকে রোজা। এ কারণে আজ (বুধবার) অন্যান্য নিত্যপণ্যের সঙ্গে ক্রেতার নজর বেগুন, লেবু, শসা ও ধনেপাতার দিকে। ফলে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য। দরজায় রমজান আসতেই বেগুনের কেজি ১০০ টাকায় আর লেবুর হালি ঠেকেছে ৮০ টাকায়।

বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি গোল বেগুন এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লম্বা বেগুনের দামও মান ভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। প্রতি হালি বড় আকারের লেবু ৬০ থেকে ৮০ টাকা এবং ছোট লেবু ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি কেজি শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ও শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে । অন্যদিকে প্রতি কেজি ধনেপাতা ১২০ থেকে ২০০ টাকা, পুদিনাপাতা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রামপুরা কাঁচাবাজারে প্রতি আঁটি ধনেপাতার দাম ১৫ টাকা, যা দুদিন আগে ছিল ১০ টাকা। এ তথ্য জানিয়ে বিক্রেতা সোহাগ বলেন, এখন খুব চাহিদা। এজন্য দাম সামান্য বেশি। সবাই নিচ্ছে, সরবরাহও কম।

মালিবাগের সবজি বিক্রেতা ইসরাফিল হোসেন বলেন, এক-দুদিনে পাইকারিতে নতুন করে এসব পণ্যের দাম বাড়েনি। কিন্তু বাড়তি চাহিদার কারণে ৫/১০ টাকা দামে হেরফের হচ্ছে। শুধু ধনেপাতার দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা।

তিনি বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে থেকেই বেগুনের দাম বেশি। লেবুরও একই অবস্থা।

খালেক নামের আরেক সবজি বিক্রেতা বলেন, রোজার প্রথম দিকেও বাজার এমনই থাকবে। হুট করে খুব বেশি দাম বাড়ার আশঙ্কা কম। যা বাড়ার, আগেই বেড়েছে। আবার শেষ দিকে দাম কমে আসবে।

তিনি বলেন, পচনশীল পণ্য হওয়ায় সবজির বাজারে বড় ধরনের কারসাজির সুযোগ কম। এখন এসব পণ্যের চাহিদা বেশি। দু-তিনদিন পরে ধীরে ধীরে কমে আসবে।

এদিকে রোজা আসার বেশ আগেই এবার মাছ-মাংসের বাজার চড়েছে। শেষ পর্যন্ত বেড়ে ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা দরে। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৩৯০ টাকা কেজি। প্রতি ডজন ডিম ১৪০ টাকা। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মুদি বাজারে অতি প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে চাল, ডাল, চিনি ও সয়াবিন তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম চড়া। এখন বাজারে মোটা চাল খুচরায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। মাঝারি মানের চালের দাম পড়ছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬২ টাকা। আর সরু চাল (মিনিকেট ও নাজিরশাইল) কিনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে।

মান ভেদে মশুর ডালের দাম প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, বাজারে প্যাকেটজাত চিনি নেই বললেই চলে। বোতলজাত সয়াবিনের দাম প্রতি কেজি ১৯০ টাকার মধ্যে।

Loading

শেয়ার করুন