হাইমচরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক ভিজিডি চাল ছিনতাই, অতঃপর উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার :

চাঁদপুরের হাইমচরে ভিডব্লিউবি কার্ডের চাল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে চাল ছিনতাই করে নিয়ে যায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান গাজী। অতঃপর চাল উদ্ধার করে ভুক্তভোগীদের নিকট হস্তান্তর করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

২৭ মার্চ দুপুরে হাইমচর উপজেলার লামচরী গুচ্ছ গ্রামে যাওয়ার পথে কাটাখালী ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। অসহায়, হতদরিদ্র মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাল ছিনতাই এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, আমরা মেঘনার চরে গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা। ১নং গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভিজিডি কার্ডের চাল উত্তোলন করে বাড়ি ফেরার পথে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান গাজী ও তার ছেলেরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। সাথে থাকা চাল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। আমরা আমাদের চাল ফেরত চাই এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।

জানা যায়, ফাহিমা আক্তার- পিতা হানিফ গাজী, হাওয়া বেগম- পিতা আলী বেপারী, রোজিনা আক্তার- পিতা সামসুল হক, রাবেয়া আক্তার- পিতা আহম্মদ উল্লা এরা ১নং গাজীপুর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সোমবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে ভিডব্লিউবি কার্ডের চাল উত্তোলন করে বাড়ি ফেরার পথে কাটাখালী ঘাটে গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান গাজী ও তাঁর ছেলেরা আটক করে। কিছু না বলেই মারধর শুরু করে। সাথে থাকা ভিজিডি কার্ডের চাল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তারা বলেন- আমরা চারজন একসঙ্গে অটোরিকশা ভাড়া করে ১২ বস্তা চাল নিয়ে কাটাখালী ঘাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে পথে তারা এ ঘটনা ঘটায়।

ভুক্তভোগী ফাহিমা আক্তার বলেন, আমরা অসহায় পরিবারের খেটে খাওয়া মানুষ। ভিজিডি কার্ডের চাল নিয়ে বাড়িতে গিয়ে সন্তান সন্ততি নিয়ে দুমুঠো ভাত খাবো। আর সেই চাল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান গাজী। তাঁর ধারণা আমরা এ নির্বাচনে তাকে ভোট দেইনি। তাই এমন গর্হিত কাজে লিপ্ত হয়েছেন তিনি। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কার্যকর প্রদক্ষেপ কামনা করছি।

ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সবুজ বলেন- আমি ভুক্তভোগীদের টিপসই রেখে চাউল বিতরণ করার কিছুক্ষণ পর চাল ছিনতাই এর সংবাদ পাই। সাথে সাথে তাদেরকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করতে বলি। তারা উপজেলায় যাওয়ার পর উদ্ধার হওয়া চাল তাদের মাঝে বুঝিয়ে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ যেন না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সজাগ দৃষ্টি কামনা করছি।

থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন জানান, চাল ছিনতাই বিষয়ে থানায় অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহলা চৌধুরী বলেন, ছিনতাই হওয়া চাল হাইমচর থানা পুলিশ উদ্ধার করলে চালের মালিকের কাছে চাল হস্তান্তর করার নির্দেশনা দিয়েছি থানা পুলিশকে। এ ধরনের কাজ যেন ভবিষ্যতে না হয়, সে ব্যাপরে সতর্ক করে দিয়েছি।

Loading

শেয়ার করুন