জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে অবৈধ দল গঠন করেছেন : ডা. দীপু মনি

সাহেদ হোসেন দিপু :

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে একটি অবৈধ দল গঠন করেছিলেন। ক্যান্টেনমেন্ট থেকে যে দল হয় সে দল তো আর গনতান্ত্রিক দল হয় না। এই দল তো সাধারণ মানুষের দুঃখ কস্ট লাগবের জন্য কাজ করে না। তারা নিজেদের আখের গোছানোর জন্য কাজ করেছে।

৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে-বীজ ও সার ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগী জেলেদের মাঝে বিকল্প কর্মসংস্থানের উপকরণ (বকনা বাছুর) ও বাংলাদেশ জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদ হতে প্রাপ্ত অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

চাঁদপুর-সদর-৩ আসনের এমপি বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, এক সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুৃর রহমান সারা বিশ্ব থেকে সাহায্য সহযোগীতা নিয়ে আসতে পেরেছিলেন, আমরা তখন ঘুরে দাড়িয়ে ছিলাম। তখন দেশে চাউলের দাম সবছেয়ে কম পর্যায়ে নেমে এসেছিল। ঐ সময়ে ১৯৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যাহারা অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় এসেছিল তারা শিক্ষা স্বাস্থ উন্নয়নের কোন সুযোগ সে ভাবে তৈরি করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু কন্যা যখন বঙ্গবন্ধুর হত্যার ছয় বছর পর দেশে ফিরে এসেছিলেন তিনি পনেরো বছর দেশে থেকে একটানা আন্দোলন সংগ্রাম করে ১৯৯৬ সালে প্রথম বার প্রধানমন্ত্রী হন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বাংলাদেশ স্বাধীনতার সেই চেতনায় ফিরে আসে। এই চেতনা কী ছিল? আমরা একটি অস¤প্রদায়িক গনতান্ত্রিক একটা শোষন বৈষম্যহীন একটা সমাজ তৈরি করবো। যেখানে মানুষ সুখে থাকবে শান্তিতে নিরাপদে থাকবে। মর্যাদা নিয়ে বসবাস করবে। বঙ্গবন্ধু তার অর্থনীতিটাকে খুব সহজ ভাষায় বলেছিলেন, আমি দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই।

একজন দুঃখী মানুষ কখন হাসে? যখন তার পেটে ভাত থাকে, গায়ে কাপড় থাকে, মাথা গোজার ঠাই থাকে, তার ছেলে মেয়ের লেখা পড়ার ব্যবস্থা থাকে, আয় রোজগারের ব্যবস্থা ও তার চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকে। তখনই সত্যিকার অর্থে দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফোটে ওঠতে পারে। কিন্তু তার পরে যারা সামরিক আধাসামরিক নানান চেহারার সৈরা শাষক এসেছে। সবাই নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত ছিল। আমরা কী দেখেছি এরশাদ, তার পরে বেগম জিয়ার আমলে হাওয়া ভবন, খোঁয়ার ভবন, দেখেছি লুটপাট। দেখেছি ৭৫ এর হত্যাকারিদের তারা পুরস্কার দিয়েছিল। জিয়াউর রহমনান ৭১ এর হত্যাকারিদের বিচার না করে ৩০ লাখ শহীদের সাথে বেঈমানি করে তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছিল। সারা দেশের সাথে স্বাধীনতার সাথে বেঈমানি করেছিল।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মো. মাহবুবর রশিদ এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জে আর ওয়াদুদ টিপু, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটোয়ারী।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহলা চৌধুরী, চাঁদপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ইয়াছিন আরাফাত। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির প্রধানীয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বেপারী, উপজেলা কৃষি অফিসার মোতাহার হোসেন, আলগী উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান পাটওয়ারী সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগন।

Loading

শেয়ার করুন