সংকট নিরসনে ইউএনও কক্ষে বৈঠক, এখনো নিরাপত্তাহীন ইউপি সদস্যরা

আনিছুর রহমান সুজন :
চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৪নং ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ পরিষদের চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসী। তার ভাড়াটিয়া বাহিনী কর্তৃক হামলার শিকার হওয়া পরিষদের সদস্যরা ভূগছে নিরাপত্তাহীনতায়।

সর্বশেষ গত (২৮ মার্চ)মঙ্গলবার উপজেলার ১৪নং ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিডি কার্ডের চাউল বিতরনে অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যানের ভাড়াটিয়া বাহিনী কর্তৃক হামলায় আহত হয়ে ফরিদগঞ্জে উপজেলা  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে হয়েছে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম । এই বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে পরিষদের পুরুষ মহিলাসহ ৯জন সদস্যের স্বাক্ষরিত অভিযোগে জানা যায়, চেয়ারম্যান ২০৩টি ভিজিডি কার্ড আনুপাতিক হারে সদস্যদের মাঝে বিতরনের কথা থাকলেও প্রতি সদস্যকে ১টি করে কার্ড দেওয়া হয়। বাকী কার্ডের অধিকাংশ, চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন রিপন নিজস্ব এবং টাকার বিনিময়ে স্বচ্ছল লোকদের মাঝে কার্ড বিক্রি করেন। চেয়ারম্যান রিপন উপজেলা পরিষদের মাসিক আইন শৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভায় অংশগ্রহন না করেও বহাল তবিয়তে পরিষদের আনুকুল্য পাচ্ছে। বিভিন্ন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে ইতিপূর্বেও তার বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের নিকট পরিষদের সদ্যরা অভিযোগ দিয়েছিল।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০মার্চ) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমুন্নেছা সকল সদস্য ও চেয়ারম্যানকে নিয়ে উপজেলা পরিষদে অভিযোগের ভিত্তিতে শালিশি বৈঠকের আয়োজন করেন। এ সময় নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বেশ কিছু বহিরাগতদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। যাদের দ্বারা ইউপি সদস্য আহত হয়েছে তাদেরকেও সে সময় সেখানে ঘুরাফেরা করতে দেখা যায়। সে সময় উপস্থিত সদস্যদের কেউ কেউ বলেন, আমরা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসেও নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি, কেননা চেয়ারম্যানের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা এখানেও উপস্থিত।

এই বিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমুন্নেছা জানান, উভয় পক্ষকে মিলে মিশে জনগনের কল্যাণে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছি। বহিরাগতের শাসিয়ে বলেছি, এখান থেকে চলে না গেলে এবং ইউনিয়ন পরিষদে যে অঘটন ঘটিয়েছে তার পুনরাবৃত্তি ঘটলে আইনের আওতায় আনতে বাধ্য হব। আরো এক প্রশ্নের জবাবে ইউএনও জানান, উপজেলা পরিষদের আগামী মাসিক সভাগুলি ও ইউনিয়ন পরিষদের নিয়মিত সভাগুলিতে উপস্থিত থেকে পরিষদকে সচল ও জনগনকে কাঙ্খিত সেবাদানের জন্য চেয়ারম্যান রিপনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে ইউপি সদস্যরা জানান, আমরা থানায় যে মামলা দিয়েছি এবং গত বুধবার চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের বরাবরে যে অভিযোগ দিয়েছি তাতে সুবিচার পাবো বলে বিশ^াস করছি।
উল্লেখ্য এর আগেও দুইবার চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন রিপনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের বরাবর তার অনিয়ম ও স্বেচ্ছচারিতার জন্য লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

Loading

শেয়ার করুন