সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় হাজীগঞ্জের যুবকের মৃত্যু, লাশ পেতে দূতাবাসে স্বজনদের আহাজারি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সৌদিআরব সড়ক দুর্ঘটনায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার এক যুবকের করুণ মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। লাশ ফিরে পেতে গত এক মাস ধরে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বজনদের আহাজারি। নিহত এ রেমিট্যান্স যোদ্ধা উপজেলার ৬ নং বড়কূল পূর্ব ইউনিয়নের দিগছাইল বেপারী বাড়ীর মৃত লোকমান হোসেনের ছেলে মো.মোরশেদ আলম (৩৫)।

জানাযায়, গত ২৩ রমজান ১৫ এপ্রিল শনিবার সৌদিআরবের নাজরান এলাকায় মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোরশেদ আলম মৃত্যুবরণ করেন। এ খবর শুনে তার স্ত্রী ও চার সন্তানসহ স্বজনদের আহাজারি যেন থামছে না। স্বজনদের শুরু থেকে একটাই আক্ষেপ তারা যেন মোরশেদ আলমের মরদেহ বাংলাদেশে নিজ পারিবারিক কবরের স্থানে মাটি দেওয়া হয়।

গ্রামের সাধারণ পরিবারের স্বজনরা ইতিপূর্বে কয়েকবার বাংলাদেশ দূতাবাসের সন্ধানে গিয়ে দালাল চক্রের সামনে পড়ে মোটা অংকের টাকা দাবির কাছে ফিরে আসে। সহযোগিতা করার মত যেন কাউকে খুঁজে পাচ্ছে না স্বজনরা। ঢাকা মিরপুর থানা পুলিশের কাছে গিয়েও সহযোগিতা না পেয়ে ফিরে আসতে হয়েছে।

এদিকে সৌদিআরবের হিমাগারে মৃত রেমিট্যান্স যোদ্ধা মোরশেদ আলমের লাশ প্রায় মাসের উপরে পড়ে আছে। সেখানকার ফোরম্যান কুমিল্লার সুমন সৌদিআরবের সকল কাগজপত্র ঠিক করে রাখলেও বাংলাদেশ থেকে কোন ক্লিয়ারেন্স না পাওয়া লাশ হস্তান্তর হচ্ছে না বলে জানাযায়।

এ বিষয়ে রেমিট্যান্স যোদ্ধা নিহত মোরশেদ আলমের ভাই আ. সামাদ বলেন, আমার ভাই প্রায় ৭ বছর আগে সৌদিতে যায়। গত ২৩ এপ্রিল শুনেছি সড়ক দুর্ঘটনায় সে মারা গেছে। লাশ ফিরে পেতে আমার ভাতিজা এমরান হোসেনকে নিয়ে কয়েকবার ঢাকা দূতাবাসের সন্ধানে যাই। অনেক হয়রানির পর সর্বশেষ এয়ারপোর্টে গিয়ে কাগপত্র আংশিক ঠিক করে সৌদি দূতাবাসে কাগজপত্র জমা দেই। কিন্তু পরবর্তী কি হবে তা আমাদের কিছুই বলেনি। আমরা নিহত মোরশেদ আলমের লাশ ফিরে পেতে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, নিহতের পরিবার আমার কাছে যে ভাবে সহযোগিতা চেয়েছেন আমি চেষ্টা করেছি সহযোগিতা করার কিন্তু পরবর্তীতে কি হয়েছে তা আমাকে জানায়নি। তারপরেও আমি প্রয়জনে স্থানীয় সাংসদের সাথে যোগাযোগ করে সহযোগিতা করবো।

Loading

শেয়ার করুন