মামলা আতংকে ফরিদগঞ্জের এক প্রবাস ফেরত বৃদ্ধ

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি :

ঘটনার সাথে জড়িত না থাকলেও শুধুমাত্র জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় জেল ভোগ করেছেন।

একই ভাবে আরেকটি মামলাও তাকে আসামী করা হয়েছে। এভাবে একের পর এক মামলায় জড়িয়ে মামলা আতংকে ভুগছেন বাবুল মিয়া নামে এক প্রবাস ফেরত বৃদ্ধ। অন্যদিকে দিনমজুর হওয়া সত্তে¡ও আরেক ভাইকে অন্যত্র থাকতে হচ্ছে। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের ম্যানেজার বাড়ির।

জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের ম্যানেজার বাবুল মিয়া ও তার ভাইয়ের সাথে পৈত্রিক ও খরিদকৃত জমি নিয়ে বিরোধ চলছে একই বাড়ির জামাল গংদের সাথে। এই জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বাবুল মিয়া আদালতে ১৪৫ ধারায় দায়ের করলেও সেই মামলাটি নিষ্পত্তি হয়ে যায়।

বাবুল মিয়া জানান, বিগত রমজানের পূর্বে তার প্রতিপক্ষরা লুৎফা বেগম নামের একজনকে মামলা দায়ের করলে সেই মামলায় তাকে জেল ভোগ করতে হয়। অথচ আমি বিগত তিন বছরে ঐ লুৎফা বেগমকে চোখে দেখিনি। সে আমাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে এ মামলাগুলো করেছে।

সর্বশেষ গত ২৯ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঐ বাড়ীর তফুরের নেছার দোচালা একটি ঘর আগুণে পুড়ে যায়। ঘরে আগুণ ফরিদগঞ্জ ফরিদগঞ্জ লাগার সংবাদ পেয়ে তিনি স্থানীয় বাজার থেকে দ্রæত এসে আগুণ নিভাতে সহায়তা করেন। অথচ কয়েকদিন পর দায়েরকৃত মামলায় তাকে আসামী করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ঐদিন বিকেলে বাবুল মিয়া কালি বাজারে কাঁচা বাজারে করতে যায়। স্থানীয়দের কাছে খবর শুনে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীর সাথে বাড়ী এসে আগুন নেভাতে সহযোগিতা করে বাবুল মিয়া ।

স্থানীয় ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম মুঠো ফোনে জানান, আমাদের দোকানে তফুরের নেছা মাঝে মধ্যে আসে। তার নাতি ফয়েজের সাথে পারিবারিক বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে একাধিক বার। কিন্তু আগুণের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

ঘরে আগুণের ঘটনার মামলার বাদী তফুরের নেছা জানান, শনিবার আমার ঘরে আগুণ দেয়া হয়েছে। তবে ওই সময়ে বাবুল মিয়া সেখানে ছিলো না। পরে এসে আগুণ নিভিয়েছে। আমি আদালতে বিচার প্রার্থী আদালত বিচার করবে।

Loading

শেয়ার করুন