দাউদ থেকে পরিত্রাণ পাবার সাতটি ভেষজ উপায়

দাদ বা দাউদ ছত্রাক ঘটিত একটি চর্মরোগ। এটি ছোঁয়াছে এবং সব বয়সের মানুষেরই হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে ফাঙ্গাল ইনফেকশন বলে।
চর্মরোগ দাদ নিয়ে অনেক বয়সের মানুষই এক ধরনের অস্বস্তিতে ভোগেন।
দাদ বা রিংওয়ার্ম এর কারণ:
এক ধরনের ছত্রাকের কারণে দাদ হয়ে থাকে। সাধারণত ভেজা বা স্যাঁতস্যাঁতে জায়গা এবং ভালোভাবে আলোবাতাস পায় না এধরনের জায়গায় ছত্রাকের জন্ম হয়।
অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতা, আটসাট অন্তর্বাস ব্যবহার করলে, অপরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করলে।
সংক্রামক ব্যক্তির কাপড়, গামছা, তোয়ালে ব্যাবহার করলে দাদ হতে পারে।
মাথার চিরুনি দ্বারা ও পায়ের পুরনো মোজা দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে।
সাধারণত অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন শরীর, দীর্ঘ সময় ভেজা থাকে এমন শরীর, ত্বকে ক্ষত আছে এমন শরীরেই ছত্রাকগুলোর স্পোর দ্বারা আক্রান্ত হয়।
যারা বেশি ঘামেন এবং যাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। ঘাম এ রোগের জন্য দায়ী ফাঙ্গাসকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
লক্ষণ বা উপসর্গ :
দাদ হলে প্রথমে আক্রান্ত স্থানে ছোট লাল গোটা হয় এবং সামান্য চুলকায়। পরে আক্রান্ত স্থানে বাদামী বর্ণের আইশ হয় এবং স্থানটি বৃত্তাকারে বড় হতে থাকে। এটি দেখতে অনেকটা চাকার মতো যার কিনারাগুলো সামান্য উঁচু হয়।
যতই দিন যায় চাকার পরিধি বাড়তে থাকে আর কেন্দ্রের দিকে বা ভেতরের দিকে ভালো হয়ে যেতে থাকে। ক্ষত স্থান থেকে খুশকির মতো চামড়া ওঠে। কখনো কখনো পানি ভর্তি দানা ও পুঁজ ভর্তি দানা হয়। ক্ষত স্থান অত্যন্ত চুলকায়। মাথায় দাদ হলে আক্রান্ত স্থানের চুল পড়ে যায়। কোমরে বা কুঁচকিতে হলে চামড়া সাদা ও পুরু হয়ে যায়। নখে হলে অস্বচ্ছ ও ভঙুর হয়ে যায়। দাদ চুলকালে সেখানে জ্বালা হয় ও কষ পড়তে থাকে।
এই রোগ হলে ত্বকের বিভিন্ন স্থানে গোল ফুসকুড়ির মতো হয়। আক্রান্ত স্থানে প্রচণ্ড চুলকানি ও যন্ত্রণা হয়। দাদ হলে ওই স্থানের ত্বক বেশ মোটা হয়ে যায়। জীবাণু থাকে বলে শরীরের অন্য অংশেও হয়। কারো কারো সারা শরীরেও হয়, তবে কোমরে, হাতে, পাছায় ও কুঁচিকিতে বেশি হয়। মাথায় দাদ হয়, তবে কম হয়। কষের উপর মামড়ি পড়ে চুলকালে উঠে যায়।
ছোঁয়াচে এ চর্মরোগ শরীরের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। তাই প্রাথমিক অবস্থায় দাদ এর চিকিৎসা না হলে এটি শরীরে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এই রোগ হলে দ্রুত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এটি ঔষধ ছাড়া ভালো হয় না। পরবর্তীতে বিখাউজ (Eczema) হয়।
তবে চেষ্টা করলে পাশাপাশি কয়েকটি উপাদান ব্যবহার করে দ্রুত দাদ সারিয়ে তুলতে পারেন। দাদ নির্মূলের কার্যকরী ৭ ভেষজ উপায় রয়েছে, যা আপনি ব্যবহার করলে উপকার পেতে পারেন।
নিমপাতা :
নিমপাতা জীবাণু ধ্বংস করতে পারে। নিমপাতা বেটে দাদের উপর লাগালে খুব দ্রুত এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
নারকেল তেল :
দাদ যেহেতু একটি ফাঙ্গাল ইনফেকশন, তাই সংক্রমণ রোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে নারকেল তেল। কারণ এতে থাকে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। এছাড়া নারকেল তেল ত্বকের চুলকানি বা জ্বালা-পোড়া কমাতেও সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা :
অ্যালোভেরাও কিন্তু দাদ নির্মূল করতে সক্ষম। ভালো কোনো আয়ুর্বেদিক ব্র্যান্ডের অ্যালোভেরা জেল নিয়মিত সংক্রামিত জায়গায় লাগান। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই দাদ সেরে যাবে।
হলুদ :
অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণসমৃদ্ধ হলুদ ব্যবহারেও দাদ থেকে নিস্তার মিলবে। এজন্য হলুদ বাটা দাদের স্থানে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত হলুদ ব্যবহারে দ্রুত সারবে দাদ।
রসুন :
দাদ সারাতে রসুনও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এজন্য দুই কোয়া রসুন থেঁতো করে দাদের উপরে নিয়ম করে লাগান। রসুন যে কোনো ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর করতে পারে।
দাদ বা রিংওয়ার্ম প্রতিরোধে করণীয়:
ক্ষতস্থান শুকনো রাখার চেষ্টা করুন।
দাদ সংক্রমণ হলে সেই স্থানে যতটা সম্ভব তেল-সাবান না লাগানো ভালো।
সংক্রমণের জায়গাটা যতটা সম্ভব খোলা রাখতে হবে এবং গেঞ্জি, মোজা, আণ্ডারওয়্যার প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে।
উষ্ণ গরম পানি ও ভালো অ্যান্টিসেপ্টিক সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে, শুকিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহার করুন।
দাদ প্রতিরোধে উষ্ণ গরম পানিতে স্থানটি ধুয়ে শুকিয়ে ওষুধ ব্যবহার করুন।
এটি ছোঁয়াচে রোগ, তাই পরিবারে একজনের হলে তার কাপড় চোপড় আলাদা করে ফেলুন এবং ব্যবহার্য জিনিসপত্র নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
দাদ রোগে সবচাইতে বেশি আক্রান্ত হয় শিশুরা। তাই শিশুদের ব্যাক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে শিক্ষা দিন।
পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের চিরুণী, তোয়ালে, ব্রাশ আলাদা করুন।
অন্যের ব্যবহার করা সামগ্রী এড়িয়ে চলুন।
পোষ্য-প্রাণীর সংস্পর্শে আসার পর হাত ধুয়ে ফেলুন।
পৃথিবীর প্রায় সব দেশে দাদ এর প্রাদুর্ভাব থাকলেও আমাদের দেশের মতো গরম ও ঘর্মপ্রবণ দেশে বেশি দেখা দেয়। সব বয়সের মানুষই এতে আক্রান্ত হতে পারে এবং একবার আক্রান্ত হলে বারবার আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকে। একাধিকবার আক্রান্ত হলে ধৈর্য্যহারা না হয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা নিন।
মনে রাখবেন, এ রোগের চিকিৎসা খুবই সহজ এবং দ্রুত আরোগ্য সম্ভব, তবে দেরি করলে অনেক সময় জটিলতা সৃষ্টি হয়ে থাকে। কাজেই যথাসম্ভব দ্রুত চিকিৎসা নিন। নিজে ভালো থাকুন এবং পরিবারের সদস্যদেরও ভালো থাকতে সাহায্য করুন।
সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত চিকিৎসক।
গভ. রেজি নং ৩৫৪৬/ এ
হাকীম মো. মিজানুর রহমান
(বিএসএস, ডিইউএমএস)
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।
মুঠোফোন : »(ইমো/হোয়াটস অ্যাপ)
(চিকিৎসক) : 01762240650
মুঠোফোন : 01960288007
(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)
ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।
শ্বেতীরোগ, একজিমা, যৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।
আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
আরো পড়ুন : মেহ-প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের প্রতিকার
আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ
আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ
আরো পড়ুন : নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা
আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়
আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা
