ভয়ংকর বিষণ্ণতা থেকে বেরিয়ে আসার ৫টি মজার উপায় !

মানুষের মন এমন এক আজব জিনিস যেটা হুটহাট তার নিজের ডিরেকশন চেঞ্জ করে ফেলে । খুব ছোট ছোট কারণেই অনেক সময় আমরা বিষন্ন হয়ে পড়ি । কিছু ক্ষেত্রে তা হয়ে যায় বাড়াবাড়ি রকমের ।

আমরা প্রায়শই ভুগি বিষণ্ণতায় । নিজেদের কাছে নিজেরাই ছোট হয়ে থাকি, নিজেদের নিয়ে হতাশায় ভুগি । যার প্রভাব পড়ে আমাদের নিজেদের জীবনে কাজে । কিন্তু কীভাবে বের হবো আমরা এই বিষন্নতা থেকে ? আসুন জেনে নিই কিছু মজার কাজের কথা যা দিয়ে আমরা দূর করতে পারি আমাদের এই বিশাল সমস্যাটিকে ।

(১) খাবার
খাবার তো আমরা রোজই খাই । এ আবার নতুন কি ? এতে কীভাবে বিষন্নতা যায় ? এগুলোই ভাবছেন তো ? একবার ট্রাই করে দেখুনই না, মন খারাপের সময়টাতে নিজে ভিন্ন কিছু রান্না করুন অথবা চলে যান অপরিচিত কোন খাবারের দোকানে, তাদের স্পেশাল বা আপনার জন্য নতুন এমন কোন একটি আইটেম ট্রাই করে দেখুন । দেখবেন ভালো খাবার আপনাকে অনেকখানি প্রশান্তি দিচ্ছে ।

(২) চেঞ্জ অফ লুক
আপনি ছেলে হন বা মেয়ে, কিচ্ছু যায় আসে না । মন খারাপ! ভালো কোন স্যালন এ গিয়ে নিজের রেগুলার লুকটাকে কিছুটা চেঞ্জ করুন, হতে পারে সেটি হেয়ার কাট, হেয়ার কালার অথবা সেগুলো না চাইলে একটি ভালো ফেশিয়াল বা স্পা! অথবা চাইলে পরিবর্তন করতে পারেন পোষাকও । উজ্জ্বল রঙকে প্রাধান্য দিন, পছন্দের ড্রেসটিকেও ।

(৩) এড্রেনালিন রাশ
নিজেকে কোন রোমাঞ্চকর পরিবেশে নিয়ে যান । কোন কঠিন বৈরী পরিবেশে ঘুরতে যান, রোমাঞ্চকর কিছু করুন । দেখবেন যখন আপনি মজার কিছু নিয়ে উত্তেজিত থাকবেন, মন খারাপ দৌড়ে পালাবে! পাহাড় ভালোবাসেন ? ট্রেকিং করার সুযোগ থাকলে করে আসুন । আমাদের দেশেই অনেক জায়গা আছে , নিজেদের এতো সুন্দর দেশটাও ঘুরে আসুন না হয় এই ছুতোয় ।

একেবারেই সুযোগ বা সময় নেই দূরে কোথাও যাবার? কোন এমিউজমেন্ট পার্কেই না হয় কাটিয়ে আসুন সময় । রোলার কোস্টার রাইড খারাপ লাগবে না কোনভাবেই । (তবে যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে বা রয়েছে শ্বাসকষ্টের সমস্যা তাদের উচিৎ হবে না এই রাইড গুলোয় ওঠা)

(৪) ক্রাফটিং
নিজে কিছু বানান , প্রিয়জনের জন্য কার্ড , ঘর সাজানোর জিনিস , পোস্টার , অরিগ্যামি করুন । দেখবেন কষ্ট অনেক কম লাগবে । কাছের মানুষগুলোকে বাইরে থেকে কিনে না দিয়ে নিজেই কিছু বানিয়ে দিন । যাকে দেবেন তিনিও প্রচুর খুশি হবেন,আপনার বিষন্নতাও দূরে পালাবে ।

(৫) ছবি
ছবি তুলুন বা আঁকুন , এমন না যে আপনাকে খুব সুন্দর পারতেই হবে , কিন্তু সুন্দর করার চেষ্টা করতে থাকুন , ডিপ্রেশন কমবে । রঙ করুন , ছোটদের মত হাতে রঙ লাগিয়েই দেখুন,কি অদ্ভুত আনন্দ কাজ করে!

পরিসংখ্যানে দেখা যায় বিশ্বে আত্মহত্যার অন্যতম প্রধান কারণ এই বিষন্নতা । মনে রাখবেন,আপনার জীবনটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ । একটা ভুল সিদ্ধান্ত একটা পুরো পরিবারকে ওলটপালট করে দিতে পারে। ভাল থাকুন , অন্যকে ভালো রাখুন ।

Loading

শেয়ার করুন