মেথির ভেষজ গুণাগুণ

ইউনানী-আয়ূর্বেদিক ও লোকজ চিকিৎসায় মেথি

মেথিকে মসলা, খাবার, পথ্য- তিনটাই বলা যায়। এটি রান্নার পাঁচফোড়নে বেশি ব্যবহার করা হয়। তবে মেথিতে রয়েছে রক্তের চিনির মাত্রা কমানোর বিস্ময়কর শক্তি। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চিবিয়ে খেলে বা এক গøাস পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি খেলে শরীরের রোগ-জীবাণু দূর হয়। বিশেষ করে কৃমি এবং রক্তের চিনির মাত্রা কমে।

গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডায়াবেটিক রোগীরা নিয়মিত মেথি খেলে তাদের ডায়াবেটিসজনিত অসুখগুলো কম হয় এবং স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে কম থাকে। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যে মেথি হলো শ্রেষ্ঠ পথ্য। ইউনানী, আয়ূর্বেদিক ও লোকজ চিকিৎসায় বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে মেথির। শারীরিক সুস্থতা এবং রূপটানে মেথির উপকারিতা বহুবিধ।

এবার মেথির গুণাগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক :
ওজন হ্রাস : মেথি সেবনে শরীরের ওজন কমে। ২ গøাস পরিমাণ পানিতে রাতভর ভিজিয়ে রাখুন এক চা চামচ মেথিদানা। সকালে খালি পেটে ছেঁকে নিয়ে ওই পানি পান করুন। মেদ এবং ওজন কমবে।

বদহজম ও অ্যাসিডিটি দূর : অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ও ফাইবারে ভরা মেথি শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে। মেথি ভেজানো পানির পাশাপাশি রান্নাতেও মেথি দিন। পেটের সমস্যা দূর হবে।

কোলেস্টেরল কমায় : নিয়মিত মেথি খেলে শরীরের কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। মেথির প্রভাবে ক্ষুদ্রান্ত্র কোলেস্টেরল গ্রহণ করে না। ফলে দেহে এলডিএল কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগিøসারাইডের মাত্রা লাগামছাড়া হতে পারে না। গ্যালাক্টোম্যানান ছাড়াও মেথিতে আছে প্রচুর পটাসিয়াম। ফলে মেথি খেলে শরীরে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত থাকে। যার ফলে কমে হৃদরোগের ঝুঁকিও।

ডায়াবেটিসে কার্যকরী : মেথিতে থাকা গ্যালাক্টোম্যানানের প্রভাবে দেহে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে না। মেথির অ্যামাইনো অ্যাসিডের জন্য অগ্ন্যাশয় থেকে উৎপাদিত ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ে। তাই ডায়াবেটিক রোগীর ডায়েটে মেথি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ঋতুস্রাবের কষ্ট হ্রাস করে : ভেজানো মেথিদানা চিবিয়ে খেলে ঋতুস্রাবের সময় মহিলাদের যন্ত্রণায় উপশম হয়।

কিডনি ভালো রাখে : মেথিদানার প্রভাবে কিডনি ভালোভাবে কাজ করে। কিডনির কোষও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় : মেথির ভিটামিন ‘সি’ ত্বকের জন্য খুব উপকারি। এক চামচ মেথিবাটা বা মেথিগুড়াকে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে সেটিকে ফেসিয়াল মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়বে।

ত্বকের দাগ দূর করে : মেথির ভিটামিন ‘সি’ ও ভিটামিন ‘কে’ ত্বকের ছোপ ছোপ দাগ এবং বয়সের রেখা দূর করে। রাতে ভেজানো মেথি দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পরের দিন সকালে একটি মিশ্রণ বানিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। এতে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়বে।

চুলপড়া কমায় : রাতে ভেজানো মেথিদানার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণ বানতে হবে। তারপর ব্যবহার করতে হবে হেয়ারমাস্ক হিসেবে। এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারলে চুলপড়া কমে যাবে। নারিকেল তেলে ১০ দিন ধরে মেথিদানা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ওই তেল ছেঁকে নিয়ে মাথায় মালিশ করুন। এতেও খুশকি ও চুলপড়ার সমস্যা দূর হবে।

অকালপক্বতা রোধ করে : অকালে চুল পাকার হার কমাতেও মেথি খুব কার্যকর। ভেজানো মেথিদানায় মেশান আমলার রস। গোসলের এক ঘণ্টা আগে স্ক্যাল্প ও চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিন। তারপর হাল্কা শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এতে কমবে অকালপক্বতার হার।
মেথি শাক লিভার, ডায়াবেটিস, কিডনি এবং কোলেস্টেরলের ক্ষেত্রে বেশ উপকার করে।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : 01742057854, ইমো/হোয়াটস অ্যাপ : 01762240650

শ্বেতীরোগ, যৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

Loading

শেয়ার করুন