শ্বেতী রোগ হলে কি করবেন জেনে নিন

দেশ বিদেশে হাজার হাজার মানুষ এ রোগে ভুগছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ কেউ এক বছর থেকে দশ-পনেরো বছর পর্যন্ত বয়ে চলছেন অসুখটি। কিন্তু অনেক সময় অনেক চিকিৎসা করেও সঠিক চিকিৎসার অভাবে এবং এ বিষয়ে সঠিক জ্ঞান ও প্রয়োগের অভাবে রোগ থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছেন না।

এই নিবন্ধে আমরা চেষ্টা করেছি সেই সঠিক তথ্যাদি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে, যাতে আপনারা বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।  শ্বেতী রোগ আক্রান্তদের মনের কষ্ট বুঝতে পেরে তাদের সহযোগিতায় আমাদের এ ছোট্ট নিবেদন। এই প্রবন্ধের শেষের দিকে কিছু ইংরেজি আর্টিকেল সংগ্রহ করে দেয়া হয়েছে। সেখানেও এ রোগ থেকে আরোগ্য লাভের নানা পন্থা সম্পর্কে বর্ণনা রয়েছে। আপনারা এ রোগ থেকে মুক্ত হন, এটাই আমাদের কামনা। –

শ্বেতী – বড় অদ্ভুত একটি রোগ, তবে ভয়াবহ নয় মোটেও! শুধুমাত্র রোগটি সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে শ্বেতী রোগীকে দেখলে আঁতকে ওঠেন অনেকেই। অনেকেই ভ্রূ কুঞ্চিত করেন ভাবনায়, ছোঁয়াচে নয়তো! একবারও কি ভেবে দেখেছেন, আপনার এই অভিব্যক্তি দেখে শ্বেতী রোগীর মনে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়? কেউ হয়তো অপমানিতবোধ করেন, কেউ বা পান কষ্ট!

যাদের শ্বেতীরোগ আছে Recap নামের ঔষধটি ব্যবহারে তারা চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন৷ এটা একটা ভাল মানের চিকিৎসা সেবা। তবে এই শ্বেতীরোগ চিকিৎসায় ভাল হতে একটু সময় লাগে ৷কারো কারো দেড় দুই বছর সময় লাগে ৷ কারো কারো কম সময়ে ভাল হয়৷ তবে শ্বেতীরোগের পরিমানের উপর সময় কম বা বেশী লাগে ৷ তবে ২-৩ মাস পর থেকে ভাল কাযকারিতা পেতে থাকবেন ৷ নিরাশ না হয়ে চিকিৎসা সেবা নিলে ভাল ফল পাবেন।

বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের নিরলস সাধনায় অনেকটা নিরাময়যোগ্য ওষুধের আবিষ্কার হয়েছে। কীভাবে বুঝবেন শ্বেতী হয়েছে¬ এই রোগে আক্রান্ত রোগীর চর্ম সাদা হয়ে যায়। এতে সর্বপ্রথম সাদা বিন্দুর দাগ পড়ে এবং ধীরে ধীরে অধিক স্থানজুড়ে সাদা হয়ে পড়ে।

করণীয় :প্রাথমিক পর্যায় হলে সম্প্রতি আবিষ্কৃত Recapনামের ঔষধটি ব্যবহারে এর সফল চিকিৎসা আছে। রোগের বয়স দীর্ঘ বা ক্রনিক হলে দীর্ঘ দিন ওষুধ সেবন করতে হয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসক ও রোগী দু’জনকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হয়। অনেকেই আমাদের কাছে ফোন করেন। জানতে চান এ ঔষধের গ্যারান্টি বা এ ঔষধে প্রকৃতপক্ষে কাজ হবে কি-না। এ বিষয়ে জানা দরকার। যাদের এ রোগটি শুরুর সাথে সাথেই চিকিৎসা শুরু করা যায় অর্থাৎ ঔষধ প্রয়োগ করা যায় এবং নিম্নে বর্ণিত খাবার বিধি-নিষেধের বিষয়ে সচেতন হওয়া যায়। তাদের এ রোগ সহজেই নির্মূল হয়। আর এ রোগটি দু’তিন বছর যারা লালন পালন করছেন।

 

খাবার দাবার বিধি-নিষেধমতো গ্রহণ করছেন না, ঔষধ প্রয়োগ করছেন না তাদের সুস্থ হতে তিন, চার বা ছয়মাস এমনকি দু’এক বছর সময় লাগতে পারে। তবে ঔষধ প্রয়োগের বিষয়ে ধৈর্য হারাবেন না। ঔষধ ব্যবহার করতে হবে এবং খাবার-দাবারের বিষয়ে নিম্নে বর্ণিত বিধি নিষেধগুলো মেনে চলতে হবে। কোনো ডাক্তার আপনার রোগ আরোগ্যের বিষয়ে গ্যারান্টি দিতে পারবে না। আর গ্যারান্টি দিয়েই বা কী হবে, যদি আপনি ঠিকমতো ঔষধ প্রয়োগ এবং খাবার দাবারের বিষয়ে বিধি নিষেধগুলো মেনে না চলেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দোষ থাকলে দূর করতে হবে। দুধ, ছানা, মাখন, স্নেহজাতীয়, ফলের রস ও অন্যান্য পুষ্টির খাদ্য হিতকর। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা ভালো।

 

যা বেশি বেশি খাবেন :

খুরমা খেজুর, সবুজ মটরশুটি, শালগম, পালং শাক, এপ্রিকট, মেথি, ডুমুর, সবুজ শাকশবজি, আম, পেয়াজ, পেস্তা, আলু, পিউর ঘি, মুলা, লাল মরিচ, শাকসবজি, আখরোট, গম

যা নিষেধ :

ধূমপান, এলকোহল সেবন, উগ্রমশলাযুক্ত খাবার বর্জনীয়। তবে কেউ কেউ বলে থাকেন- সাদাজাতীয় খাবার খাবেন না। যেমন- দুধ, ডিম, ছানা ইত্যাদি, তা সম্পূর্ণ কুসংস্কার।

 

যা একদম খাবেন না :

জাম, অরেঞ্জ, ব্লু বেরিজ, অ্যালকোহল, মাখন, কাজুবাদাম, চকোলেট, মাছ, রসুন, আঙ্গুর, পেয়ারা, লেবু, সামুদ্রিক তৈলজাত খাবার, পেপে, নাশপাতি, বরই, গরুর গোস্ত,  সোডা জাতীয় যে কোনো কোমল পানীয় (যেমন পেপসি, কোকাকোলা, সেভেন আপ ইত্যাদি) , টমেটো, তরমুজ।

ব্যবহার করবেন :

আক্রান্ত স্থানে নারকেল তেল, আদার রস, তামার পাত্রে সারারাত পানি রেখে সেই পানি সকালে খাবেন, লাল মাটি, নিম পাতা বেটে ঘোলের সাথে মিশিয়ে লাগাতে হবে।

ওপরে বর্ণিত বিষয়গুলো মেনে চললে এবং শ্বেতি রোগের সম্প্রতি আবিষ্কৃত Recap নামের ঔষধটি ব্যবহার করতে পারলে আপনার এ রোগ চলে যাবে চিরতরে। এটি  একটি যুগান্তকারী ঔষধ।

ঔষধের প্যাকেটে ব্যবহার বিধি ও নির্দেশনা দেয়া থাকবে। সে অনুযায়ী আপনি ঔষধ ব্যবহার করতে পারবেন। একজন শ্বেতী রোগীকে কমপক্ষে তিনটি Recap প্রয়োগ করা হতে পারে। তিনটি Recap তিন ধরনের।

প্রাথমিক অবস্থায় রোগটি হলে এক বা দু’মাস চিকিৎসায় ভালো হয়ে যায়। তবে যাদের দু’তিন বছর বা তারও বেশি সময় ধরে শ্বেতী, তাদেরকে 3-6 মাস এমনকি 2-3 বছর পর্যন্ত এ চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়।

Recap সাবধানে ক্রিম প্রয়োগ এবং নাক, মুখ, চোখ সঙ্গে যোগাযোগ এড়ানো নিশ্চিত করুন। দৈনন্দিন (সকাল ও সন্ধ্যা) শরীরের আক্রান্ত এলাকায় Recap ব্যবহার করুন।

 

Recap ব্যবহার করার পদ্ধতি
Recap একটি সাময়িক মলম বা ক্রিম এবং আক্রান্ত ত্বক এলাকায় বাহ্যিকভাবে প্রয়োগ করা হয়। এই চিকিৎসা ব্যবহার করে পরে হাত ধোয়া নিশ্চিত করুন। একটি পাতলা স্তর প্রয়োগ এবং আলতো করে ঘষে পর্যন্ত এটা চামড়ার মধ্যে প্রয়োগ করুন।

এছাড়াও Recap ব্যবহারের আগে সকাল বেলা প্যাকেটের ভেতর দেয়া নির্দেশিত অতিরিক্ত একটি মিশ্রণ ব্যবহার করলে সুফল পাবেন গায়ের বর্ণ আগের মতো ফিরে পাবেন এবং শ্বেতী রোগ চলে যাবে ক্রমে ক্রমে।

শ্বেতি শরীরের কোন অংশে হয় :

মুখমণ্ডল, কনুই, বক্ষদেশ এসব জায়গাতেই প্রথমে শ্বেতী হতে শুরু করে। কখনো কখনো শ্বেতী চোখের পাশ দিয়ে, নাকের দুপাশে বা ঠোঁটের কোণ বা উপর দিয়েও শুরু হয়। কিছু ক্ষেত্রে শ্বেতী খুব একটা ছড়ায় না, একটা বিশেষ জায়গাতেই থাকে। আবার কখনো এমনভাবে মুখে, বুকে, হাতে, পায়ে ছড়িয়ে পড়ে যে বোঝাই না এক সময় গায়ের রং আসলে কী ছিল! দ্বিতীয় ধরনের শ্বেতীর দাগই মানুষকে শ্রীহীন করে তোলে।

 

কোন বয়সে হয় :

সদ্যোজাত শিশুর শ্বেতী একেবারেই ধরা পড়ে না। ৫০ শতাংশ শ্বেতী ধরা পড়ে বয়স বছর দশেক হলে। বাকিদের শ্বেতী হয় বয়স দশ বছর পার হয়ে জীবনের যেকোনো সময়ে।

চিকিৎসা :

ছোট আকৃতির শ্বেতী মলম বা ওষুধে সেরে যেতে পারে। চিকিত্‍সকের পরামর্শ অনুযায়ী Recap মলম লাগানো বা ওষুধ সেবনের পাশাপাশি সকালবেলার রোদ লাগাতে হবে শ্বেতী-আক্রান্ত স্থানে। বড় আকারের শ্বেতী হলে Recape মলম আর ওষুধে কাজ হতে প্রায় দু বছরও লাগতে পারে।

ওষুধপর্বে কাজ না হলে এর পরে রয়েছে অপারেশন পর্ব। শ্বেতী চিকিত্‍সায় অপারেশনের নাম পাঞ্চ গ্রাফটিং। এ চিকিত্‍সা স্থিতিশীল শ্বেতী সারাতে করা হয়। অর্থাৎ যে শ্বেতী বছর দুয়েক মোটামুটি একই জায়গায় অবস্থান করে সেটাই স্থিতিশীল শ্বেতী।

লক্ষ্য করুন :

– যত অল্প বয়সে শ্বেতীর চিকিত্‍সা করা যায় তত ভালো।
– শরীরের যেকোনো জায়গায় সাদা দাগ দেখা দিলে দ্রুত চিকিত্‍সকের সাথে যোগাযোগ করুন।
– ডায়াবেটিস, হাইপার থাইরয়েড – এসব যাদের আছে তাদের শ্বেতী হবার প্রবণতা বেশি থাকে।

রোগীর অবস্থা শুনে ও দেখে সারাদেশের যে কোনো জেলায় বিশ্বস্ততার সাথে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম মোহাম্মদ মিজানুর রহমান কোরাইশী
বি. এস. এস., ডি. ইউ. এম. এস.)
হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : »

(চিকিৎসক) :  01762-240650 (ইমো/হোয়াটস অ্যাপ)

অফিস : 01960-288007 (বাংলালিংক)

 (সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : মেহ-প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের প্রতিকার

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

Loading

শেয়ার করুন

Leave a Reply