কচুয়ায় পুলিশের হস্তক্ষেপে ৭ পরিবারের চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত হলো

কচুয়া প্রতিনিধি :
সম্পত্তিগত বিরোধের জেরধরে ৭টি পরিবারকে বেড়া দিয়ে আবদ্ধ করে রেখেছে সাবেক ইউপি সদস্য মো. রব প্রধানীয়া।

বুধবার ৯৯৯ এর কল পেয়ে কচুয়া থানার এসআই মো. আনোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে ওই পরিবারগুলোকে সাময়িকভাবে চলাচলের জন্য অবরুদ্ধ করা রাস্তাটি খুলে দেয়। এসময় পুলিশ বাড়িতে আটক থাকা অসুস্থ্য এক রোগীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোতালেব কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কড়ইয়া ইউনিয়নের পূর্বকালোচোঁ গ্রামের প্রধানীয়া বাড়ির বিবাদী মো. রব প্রধানীয়া সাথে দীর্ঘদিন ধরে একই বাড়ির মৃত আঃ রহমানের ছেলে মোতালেব গংদের সাথে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। প্রায়ই মো. রব প্রধানীয় কারণে অকারণে মোতালেব গংয়ের চলাচলের ২টি পথ কাঁটা ও বাঁশ দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় শালিস বৈঠক হলেও সমাধান হয়নি।

সরেজমিনে গেলে বাদী মোতালেব জানান, প্রধানীয়া বাড়িতে আমার দাদা হাবিব উল্লাহ তার জীবদশায় ৩ ছেলে ও ৪ মেয়ে রেখে মারা যান। বর্তমানে আমরা ৭টি পরিবার এই বাড়িতে বসবাস করছি। সাবেক ইউপি সদস্য মো. রব প্রধানীয়া আমার চাচা। প্রায় ১৭ বছর পূর্বে আমার বাবা মারা যান। তার মৃত্যুর কিছুদিন পর আমার চাচা মো. রব প্রধানীয়া আমাদের উপর সম্পত্তি নিয়ে জুলুম নির্যাতন চালায়। বিভিন্ন সময় কারনে অকারনে চলাচলের যৌথ পথ বন্ধসহ মামলা হামলা দিয়ে হয়রানী করার হুমকি ধমকি দেয়।

তিনি আমার অন্যান্য চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন হামলা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। তারা মো. রব প্রধানীয়ার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বাড়ির ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মো. রব প্রধানীয় আমাদের বাড়ির চলাচলের দু’টি পথ বাঁশ ও কাঁটা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে ৯৯৯ এর কল দিলে কচুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে বাড়ির চলাচলের ১টি পথ খুলে দেয়।

অভিযুক্ত মো. রব প্রধানীয়া জানান, বৃষ্টির কারনে রাস্তা ভেঙ্গে যায় বিধায় পথ বন্ধ করে দিয়েছি। বাড়ির লোকজন যে পথ ব্যবহার করে দু’টি পথই আমার সম্পত্তির উপর।

কচুয়া থানার এসআই মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ৯৯৯ এর কল পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে ভোক্তভোগীদের চলাচলের পথের অবরুদ্ধ বেড়া উঠিয়ে দিয়েছি। এবং অসুস্থ্য রোগীকে সাথে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি।

Loading

শেয়ার করুন