চুমু খেলে চোখ বন্ধ হয় কেন?
লাইফস্টাইল ডেস্ক
চুমু হলো গভীর আবেগের বহিঃপ্রকাশ। অন্তরের ভালোবাসাই যখন বাহ্যিক রূপ পেতে চায়, তখন মানুষ অন্যতম মাধ্যম হিসেবে চুমুকে বেছে নেয়। কিন্তু চুমু খেতে গেলে চোখ বন্ধ হয়ে যায় কেন?
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, চুম্বনের সময়ে যে পরিমাণ উত্তেজনা তৈরি হয়, মস্তিষ্কের পক্ষে তা এককভাবে নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। অনুভূতিতে যে স্পর্শের অনুভব, তা নষ্ট হতে পারে চোখ খোলা রেখে চুম্বন করলে।
গবেষকরা বলছেন, নাচ বা চুম্বনের মতো ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক স্পর্শের অনুভূতি পেতে চায়। সেই মুহূর্তে শরীর অন্য কোনো অনুভূতি পেতে চায় না।
যাদের উপর গবেষণা চালানো হয়েছিল, তাদের সবাইকে বর্ণ সন্ধানের একটি কাজ দেওয়া হয়েছিল। তাদের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন বর্ণ খুঁজতে বলা হয়েছিল।
বর্ণ খুঁজে পাওয়ার সময়ে একহাতে লাগানো যন্ত্রের সাহায্যে মাপা হয়েছিল মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়া। এজন্য অত্যন্ত কম পরিমাণ ভাইব্রেশন হয়েছিল।
এর থেকে গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে,একটি বিশেষ জিনিসের উপরে স্পর্শের অনুভূতি বা সচেতনতা নির্ভর করে। যদি একইসঙ্গে দেখা এবং স্পর্শের কাজ করতে হয়, মস্তিষ্ক যে কোনো একটি বেছে নেয়। চুম্বনের ক্ষেত্রে চোখ বন্ধ হয়ে যায় সে কারণেই।
যে ৫ অভ্যাস কমিয়ে দিচ্ছে আপনার আইকিউ
আমাদের অজ্ঞতা বা উদাসীনতার কারণে ধীরে ধীরে মস্তিষ্ক তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ক্ষতিগ্রস্থ হয় আমাদের বুদ্ধিমত্তা। মানুষের বুদ্ধি মাপতে হলে হিসেব নেওয়া হয় তার আইকিউ বা Intelligence Quotient- এর ভিত্তিতে। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ ‘আইকিউ ওয়ার্ল্ড টেস্ট’-এ ১৩০-র (যা অত্যন্ত বুদ্ধিমান ব্যক্তির পক্ষেই পাওয়া সম্ভব) উপরে নম্বর পান।
কিন্তু আমরা এমনকিছু কাজ প্রায় প্রতিদিন করি যা আমাদের বুদ্ধিমত্তা কমিয়ে দেয়ার জন্য দায়ী। আসুন জেনে নেওয়া যাক, এমন কিছু অভ্যাস সম্পর্কে যেগুলো আমাদের অজান্তেই মস্তিষ্কের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে, ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় আমাদের বুদ্ধিমত্তা-
অনেকেই মনে করেন একসঙ্গে দুই বা তার বেশি কাজ করতে পারা দুর্দান্ত কোনো দক্ষতা। কিন্তু বিষয়টি আসলে উল্টোই! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি-র একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটিই কাজ করেন, তাদের চিন্তা করার ক্ষমতা অনেক বেশি। তুলনায় যারা একসঙ্গে অনেক কাজ করতে যান, চিন্তা করার ক্ষমতা অনেক কম।
অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস শুধুমাত্র মেদই বাড়ায় না, সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের উপর অত্যন্ত খারাপ প্রভাব ফেলে। টানা প্রায় ৬ সপ্তাহ চিনি জাতীয় খাবার খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, নতুন কোনোকিছু শেখার ক্ষমতাও নষ্ট হয়ে যায়। দুর্বল হয়ে পড়ে স্মৃতিশক্তি।
মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপ আমাদের মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ আলজেইমার রোগের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে লোপ পেতে থাকে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক মনে রাখার ক্ষমতা ও বুদ্ধিমত্তা।
অনেকেই ধূমপান না করেও পরোক্ষ ধূমপানের প্রভাবে আইকিউ হারাতে থাকেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেন্ট্রাল মিশিগান ইউনিভার্সিটি’-র একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, যেসব শিশু পরোক্ষ ধূমপানের শিকার, তাদের আইকিউ অন্যান্য শিশুর তুলনায় অনেকটাই কম।
স্থূলতার সঙ্গে শুধুমাত্র শারীরিক সমস্যাই জড়িত নয়, এর মারাত্মক খারাপ প্রভাব পড়ে আমাদের মস্তিষ্কের উপরেও। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাঝ বয়সের পর যারা মোটা হয়ে যান, তাদের চিন্তা করার ক্ষমতা হ্রাস পায়। সেইসঙ্গে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
প্রকাশিত: ০১:৫৯ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০১৯