ফরিদগঞ্জ’র পাইকপাড়ার জরাজীর্ণ সেতুই ভরসা পাঁচ গ্রামের

মোঃ  আনিছুর রহমান সুজন :
স্বাধীনতার ৫২ বছর পার গেলেও ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের পুর্ব ভাওয়ালবাসীসহ পাঁচ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হয়নি। একটি সেতুর অভাবে গ্রামের হাজারো মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অথচ প্রয়োজন না থাকলেও পাকা সেতুর নির্মাণ হয়েছে অনেকস্থানে, যেগুলো নির্মাণের পর থেকে কেউ ব্যবহার করছে না।

সরজমিনে জানা যায়, পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের পুর্ব ভাওয়াল গ্রামে খালের ওপর একটি পাকা সেতু নির্মাণের প্রয়োজন হলেও গত ৫২ বছরেও তা হয়নি। প্রতিবছর এলাকার লোকজন নিজেদের অর্থ দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে কাঠ বাঁশের সেতু তৈরি করে। কিন্তু প্রতিবছরই বর্ষার পর সেতুটির অবকাঠামো নষ্ট হয়ে যাওয়ায়, প্রতিবছরই সেতুটি মেরামত করতে হচ্ছে।

এলাকাবাসীরা জানান, জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ কাঠ-বাঁশের সেতু দিয়েই ঐ গ্রামের লোকজনকে চিকিৎসা সেবা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হয়। পুর্ব ভাওয়াল সরকারি প্রা: বিদ্যালয়, পুর্ব ভাওয়াল হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও কাঁশারা দাখিল মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদেরও ঐ ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে পারাপার হতে হয়। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের সেবা নিতে হলে শাহী বাজার, পাটওয়ারী বাজার,শোল্লা বাজার, মুন্সীরহাট, চৌরঙ্গী বাজারের এ অঞ্চলের মানুষ এই সেতুই ভরসা।

সাবেক প্রধান শিক্ষক মো: আনোয়ার হোসেন, পুর্ব ভাওয়াল তালুকদার বাড়ীর আবুল কালাম, সৈয়দ আহম্মদ তালুকদারসহ এলাকাবাসী জানান, স্বাধীনতার পর থেকেই আমরা এলাকাবাসী যাতায়তের জন্য এ খালের উপর নিজস্ব উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে ও নিজস্ব অর্থায়নে কাঠ-বাঁশ দিয়ে সেতু তৈরী করে পারাপার হচ্ছি। সাধারনত বর্ষার ভরা মৌসুমে কাঠ ও বাঁশ পানিতে পঁচে বিনষ্ট হয়ে যায় এতে অটোরিক্সা, সাইকেল, মোটরবাইক ও মানুষ চলাচলে প্রতিনিয়ত ঘটে ছোট বড় দুর্ঘটনা।

পুর্ব ভাওয়াল সরকারি প্রা: বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী আকলিমা বলেন, এই কাঠের সেতুটি দিয়ে খাল পেড়িয়ে স্কুলে যেতে হয় এবং জরাজীর্ণ সেতুতে প্রায় পা পিছলে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। তাই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহোদয়কে একটি পাকা সেতু তৈরি করে দেয়ার দাবী করছি।

পাইকপাড়া উত্তর ইউপি সদস্য শামীম ব্যাপারী বলেন, পুর্ব ভাওয়াল খালের উপর একটি পাকা সেতুর একান্ত প্রয়োজন।

পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আবু তাহের পাটওয়ারী বলেন, ভুক্তভোগী গ্রামবাসী সেতুর বিষয়টি আমাকে অবগত করার পর ইতিমধ্যে এলজিইডি’র উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলীকে অবগত করেছি। এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

Loading

শেয়ার করুন