ফরিদগঞ্জে ভুল তথ্য দিয়ে পোষ্য কোটায় চাকরির আবেদন : দু’জনকে শোকজ

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি  : যেখানে চাকুরির হচ্ছে সোনার হরিণ তাও হচ্ছে আবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারি শিক্ষক পদে চাকুরি। সেখানে ভুল তথ্য দিয়ে করা করা হয়েছে চাকরির আবেদন। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলায় জানা গেছে,উপজেলার খাজুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছলেমান পাটওয়ারী বড় মেয়ে শারমিন আক্তারের জন্য পোষ্য সনদ নং-১৩ কোটায় আবেদন করেন। এই ধরনের আরো দুটি ঘটনার সন্ধান মিলেছে।

লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হওয়ার পর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানতে পারে শারমিন আক্তার বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জননী। বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে করা হয়েছে আবেদন। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেওয়া হয়েছে অবিবাহিত সনদ । তবে এই খবরে নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। ইতিমধ্যেই শোকজ করা হয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং খাজুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছলেমান পাটওয়ারীকে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কয়েকজন সিনিয়র নেতা অর্থের বিনিময়ে এই পোষ্য সনদ ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে খাজুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছলেমান পাটওয়ারী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে আমি শোকজ নোটিশের জবাব দিয়েছি এবং পরবর্তীতে এই বিষয় তারা ব্যবস্থা নিবেন।

এদিকে ইছাপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ আলম এর মেয়ে শামিমা আক্তার পোষ্য সনদ নং-১১। তার বিয়ে হলেও দেওয়া হয়েছে অবিবাহিত সনদ। যদিও তিনি বলছেন আবেদন করার পর তার মেয়ের বিয়ে হয়েছে।

অন্যদিকে ধানুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোহসেনা আক্তার মেয়ে মারজানা আক্তার পোষ্য সনদ নং-১২ দেওয়া হয়েছে অবিবাহিত সনদ। স্থানীয়রা জানান, মেয়ের বিয়ে হয়েছে ঢাকায়। মোহসেনা আক্তার জানান, তার মেয়ের বিয়ে হয়নি। মেয়ে ঢাকায় পড়াশোনা করে তাই ঢাকায় অবস্থান করছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারী বলেন, এই ধরনের ঘটনার সাথে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কোন নেতা জড়িত নয়। আর যদি জড়িত থাকে তা হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার আজিজুর রহমান বলেন, আমার অফিসকে ভ‚ল তথ্য দিয়ে পোষ্য সনদ যারা নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের দপ্তরকে অবহিত করা হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন বলেন, এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষা অফিসারকে শোকজ নোটিস দেয়া হয়েছে। তারা শোকজের জবাব দিয়েছে। বাকি কয়েকটির বিষয়ে আবগত না,অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রকাশিত : সোম বার,  ১০  জুন ২০২৪

স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?

ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

Loading

শেয়ার করুন