ফরিদগঞ্জে হামলায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে মাদ্রাসা ছাত্র
মো: আনিছুর রহমান সুজন:
ফরিদগঞ্জে উপজেলায় ফুটবল খেলায় কিশোরদের বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় এক মাদ্রাসাছাত্র গুরুতর আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজীপুর বাজারে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত সাজেদুল ইসলাম (১৭) ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার কেরোয়া গ্রামের মৃত মৃত আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে। সে গাজীপুর আহ্মাদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় ২ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত সাজেদুল ইসলামের বড় ভাই রিয়াজুল হাসান।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া উৎসবে অংশ নেওয়ার জন্য আমার মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিকেলে ফুটবল খেলছিল। স্থানীয় বাসিন্দা ইদ্রিস পাঠান দুলালের ছেলে রায়হান ইসলাম শাওনের সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বাগবিতÐা হয়। আমি মাদ্র্রাসার অফিস কক্ষে বসে ঘটনার বিষয়ে খবর পেয়ে উভয়ের পরিবারকে ডেকে এনে তাদের মুখ থেকে ঘটনার বিষয়ে জেনে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেই। তবে অভিযুক্ত রায়হান ইসলাম শাওন আমাদের মাদ্রাসার কেউ নয়, সে বহিরাগত। আহত ছাত্র সাজেদুল ইসলাম আমার মাদ্রাসার দশম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী, সাজেদুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে বহিরাগত ওই কিশোর রায়হান ইসলাম শাওন সংঘবদ্ধ একটি চক্র মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাজেদুলের বুকে আঘাত করে।
পরে স্থানীয়রা তাঁকে আহতবস্থায় উদ্ধার করে চাঁদপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়েগেলে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগের বাদী মো. রিয়াজুল হাসান জানান, তার ভাই সাজেদুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে বুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তিনে বিচার বিভাগের কাছে উপযুক্ত বিচার চান।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্যের জন্য বাড়িতে গেলে কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।
থানায় অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. সেলিম মিয়া জানান, আহত মাদ্রাসার শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন রয়েছে। তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ.কে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, খেলাধুলায় অংশ না নিতে পারলে নতুন প্রজন্ম শারীরিক ও মানষিকভাবে পিছিয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার পরিবেশ তৈরী করে দিতে হবে। শিক্ষার্থীর ওপর এমন হামলার ঘটনা দুঃখজনক। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।