ফরিদগঞ্জ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর উপর হামলার মামলায় অন্যকে আসামি করায় সংবাদ সম্মেলন
আনিছুর রহমান সুজন :
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর উপর হামলার মামলায় অন্যকে আসামি করায় সংবাদ সম্মেলন করেছে মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাও মোঃ ছৈয়দ আহম্মদ, ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে আজ ২৬ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আপনারা সকলে অবগত আছেন গত ২২ আগস্ট মঙ্গলবার বিকলে গাজীপুর আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের দ্বন্ধ হয়।
একে কেন্দ্র করে গাজীপুর গ্রামের ইদ্রিস পাঠান দুলালের ছেলে রায়হান ওরফে শাওন মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাজেদুল হাসানকে বুকে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক জখম করে। বর্তমানে সাজেদুল চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে গত ২৩ আগস্ট, ২০২৩ তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একমাত্র আসামী শাওনের নাম উল্লেখপূর্বক লিখিত চিঠি প্রদান করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা গিয়াস উদ্দীন।
ঘটনার পরপর ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের কতিপয় চৌকস সাংবাদিকবৃন্দ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং সরেজমিন অনুসন্ধানপূর্বক নিউজ করেন। তাদের পরিবেশিত সংবাদ অনুসারেও আসামী হিসেবে কেবলমাত্র শাওনের নাম উঠে আসে। অথচ আহত সাজেদুলের ভাই রিয়াজুল হাসান কর্তৃক ফরিদগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলার এজহারে মো. জুয়েল পাঠান নামে অপর একজনকে আসামী হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। যা এলাকার ক্রিড়ামোদী মানুষজন সহ সকল শ্রেণীর মানুষকে আশাহত করেছে এবং ন্যায় বিচার প্রাপ্তির শংকা সৃষ্টি করেছে।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, প্রকৃত সত্য হচ্ছে মো. জুয়েল পাঠান একজন ইট-বালি ব্যবসায়ী এবং নিরীহ প্রকৃতির মানুষ। ঘটনার দিন জুয়েল খেলায় উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি তিনি দর্শকসারি কিংবা বাজারেও উপস্থিত ছিলেন না। এ ঘটনার সাথে তাঁর ন্যূনতম সম্পর্কও নেই। এমনকি মামলার সাক্ষীগণও তাঁকে আসামী করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে তাঁর সুনামহানি এবং তাঁকে হয়রানী করার উদ্দেশ্যেই সম্পূর্ন অন্যায়ভাবে তাঁর নাম মামলায় জড়ানো হয়েছে।
আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সাংবাদিকদের কল্যাণে অতীতে অনেক মানুষ অনেক হয়রানী হতে নিষ্কৃতি পেয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সমর্থ হয়েছেন।
আজও আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই আপনাদের দৃঢ় ভূমিকা এবং মজবুত লেখনীর মাধ্যমে মো. জুয়েল পাঠান এ অন্যায় মামলা থেকে নিষ্কৃতি পাবেন এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনে সমর্থ হবেন।
উপস্থিত ছিলেন সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল সাত্তার রাকিব হোসেন, সাগরসহ প্রমুখ।