বন্ধ হচ্ছে এমএইচবি প্রকল্প : মতলব উত্তরে বেকার হচ্ছে ২৫২ জন কর্মজীবী

সফিকুল ইসলাম রানা :

কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প গত বছর জাতিসংঘে মডেল গৃহীত হয়েছে। ২০০০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পটি চালু করেন। পরবর্তীতে এই কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে চিকিৎসা সেবা পেতে শুরু করে মানুষ।

প্রতিদিন হাজারো মানুষ স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে থাকেন এই ক্লিনিকের মাধ্যমে। এই প্রকল্পের সাপোর্ট হিসেবে গত ২০১৯ সালে ‘মাল্টিপারপাস হেল্থ ভলান্টিয়ার’ (এমএইচবি) নামে একটি প্রকল্প চালু করেন সরকার। তবে এই বছরই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এমএইচবি প্রকল্পটি। এর ফলে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় প্রায় ২৫২ জন এমএইচবি কর্মজীবি বেকার হয়ে যাবেন।

জানা গেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ তারিখে মাল্টিপারপাস হেল্থ ভলান্টিয়ার প্রকল্পটি বন্ধ করা মর্মে একটি আদেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে বলা হয় ৩০ সেপ্টেম্বরের পর আর চালু থাকবে না প্রকল্পটি। যার ফলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এমএইচবি প্রকল্প। মতলব উত্তর উপজেলায় ৩৯ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে মোট ২৫২ জন শিক্ষিত বেকার কর্মরত আছেন এই পদে। দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে তাদের নিয়োগ করা হয়েছিল। যদিও সরকার ১ বছরের জন্য প্রকল্পটি চালু করেছিল, কিন্তু পরবর্তীতে তা ৪ বছর ধরে চলছে।

মাল্টিপারপাস হেল্থ ভলান্টিয়ারদের কারণে ডোর টু ডোর মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পেত খুবই সহজে। কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীদের ব্যবস্থাপনা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং প্রাথমিক চিকিৎসায় এমএইচবি’দের কার্যক্রম ছিল চমৎকার। একাধিক এমএইচবি এর সাথে কথা হলে তারা বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের সাপোর্ট কাজের জন্য সরকার আমাদের নিয়োগ দিয়েছিলেন। আমরা আন্তরিক ভাবে আমাদের কাজ করেছি। কিন্তু এখন এই প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে গেলে আমরা বেকার হয়ে যাব।

কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা বিভিন্ন মানুষ জানান, অনেক সময় ক্লিনিকে এসে রোগীদের চাপ দেখা যায়। ওই সময় এমএইচবি’রা আমাদের সহযোগীতা করেন। তাদের মাধ্যমেও আমরা অনেক সেবা পাই। যেকোন স্বাস্থ্যসেবার ব্যাপারে আমরা এমএইচবি’দের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে থাকি। এমএইচবি প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেলে এই সুবিধা আর পাবো না।

এ ব্যাপারে কথা হয় মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডাঃ আসাদুজ্জামান জুয়েল এর সাথে। তিনি বলেন, ‘মাল্টিপারপাস হেল্থ ভলান্টিয়ার’ (এমএইচবি) প্রকল্পটি সরকার এক বছরের জন্য চালু করলেও তা চার বছর ধরে চলছে। এই প্রকল্পটি বন্ধের ব্যাপারে গত কয়েকদিন আগে চিঠি পেয়েছি। সরকারের সিদ্ধান্তু অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Loading

শেয়ার করুন