বাগবাড়ী-জীবগাঁও ব্রিজ যেন মরণ ফাঁদ!
সফিকুল ইসলাম রানা :
মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার বাগবাড়ী ও জীবগাঁও জেনারেল হক হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের সীমানায় খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটি ভেঙে পড়ে মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বড় কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটতেই ব্রিজটি মেরামতের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, এই খালের ওপর দিয়ে ২০১০-১১ অর্থবছরে ছেংগারচর পৌরসভার অর্থায়নে ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ব্রিজটি নির্মাণের সময় নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে খাল খনন করার সময় ব্রিজের উইন ওয়াল গাইডের দুই পাশে মাটি সরে যাওয়ায় এবং পানির স্রোতে ব্রিজটি ভেঙে যায়। ফলে ব্রিজটি দিয়ে চলাচলকারী স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ আশাপাশের কছেশ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া ব্রিজটি পার হতে গিয়ে অনেকেই নিচে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন।
ডেঙ্গুরভিটি গ্রামের বাসিন্দা রাফ রাফিন বলেন, ৫ বছর ধরে এই ব্রিজটা ভেঙে পড়ে আছে। এই গ্রামের মানুষ যাতায়াতে অনেক কষ্ট হয়, আমরা বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে যাতায়াত করতে পারি না। অনেককেই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বলেছি, কিন্তু কোনো সমাধান আসছে না।
একই গ্রামের সাজেদা বেগম বলেন, বাতাসে নাকি এই ব্রিজটা ভাইঙ্গে থুইয়ে যায়। আমরা মেয়র-কাউন্সিলর সবাইরে জানাইছি, কিন্তু কেউ কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। এই ব্রিজটির ওপর দিয়ে স্কুল-কলেজের বাচ্চারা যাতায়াত করে।
বাগবাড়ী গ্রামের সেরু বেপারী বলেন, প্রায় ৫ বছর ধইরে ভাইঙ্গে এই ব্রিজটা অকেজো হয়ে রইছে, আমরা যে কি কষ্টে যাতায়াত করতিছি। আমাগো এই যে তিনডে-চাইরডে গ্রামের লোকজনের এইডাই পথ একটা। অনেক মানুষ এই জাগাতে পইরে হাত-পাও ভাঙ্গিছে।
জীবগাঁও জেনারেল হক হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলী হোসেন জানান, ব্রিজের এ অবস্থা থাকায় শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা শিকার হচ্ছে। এটি দ্রুত সংস্কার করা দরকার।
ছেংগারচর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিল আনোয়ার হোসেন প্রধান বলেন, আমারা মাত্র কয়েদিন হলো শপথ গ্রহণ করেছি৷ এই ব্রিজটি আমার নজরে এসেছে, শিগগিরই পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মহোদয়ের সাথে কথা বলে একটা ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।