‘বিএনপি জোট ভিসানীতির কারণ দেখিয়ে নির্বাচনকে প্রতিহত করতে চায়’
ওমর ফারুক সাইম :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেছেন- কচুয়ায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব অরাজনৈতিক ব্যক্তির কাছে জিম্মি ছিল। আপনাদের নিয়েই আমার রাজনীতি। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার দরুন এ দেশের সকল মানুষ নিরাপদে আছে। যারা আওয়ামী লীগ করে তারা সেক্রিফাইস করতে জানে। আওয়ামী লীগ বেঁচে আছে তৃণমূলের কর্মীদের কারণে।
কারণ, আপনাদের জীবন সেক্রিফাইস করে দেশের উন্নয়ন কাজ করছেন। আওয়ামী লীগের সাথে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের একটা মৌলিক পার্থক্য আছে। পার্থক্যটা এই, এই দলের হাত ধরেই বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনিই এই বাংলাদেশের ¯্রষ্টা। তিনি এই বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর দলই আওয়ামী লীগ। এই জন্য আমাদের সাথে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পার্থক্যটাই এই জায়গায়। আমরা নিজেরা ছেড়ে দিয়ে অন্যদের অধিকার প্রতিষ্ঠা দেই। অন্যদের অধিকারের জন্য আমরা নিজেরা সেক্রিফাইস করি। একের পর এক ষড়যন্ত্র চলছে।
সকল ষড়যন্ত্র জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা নৎসাত করেছে। বিএনপি বলছে, ভিসানীতির কারণে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিচলিত। আমরা বলতে চাই, কেউ বিচলিত নয়। কেবল আপনারাই বিচলিত। বিএনপি জোটরা ভিসানীতির কারণ দেখিয়ে নির্বাচনকে নৎসাত করতে চায়। তারা ষড় যন্ত্র করতে চায়। তাদেরকে পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই, এই বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বেঁচে থাকতে কোন ষড়যন্ত্র সফল হবে না। আজকের শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, তিনি আজকের একুশ শতকের বিশ^নেতা। আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীদের মনে রাখা উচিৎ, আমাদের কনফিডেন্স লেভেল, আমাদের মনোবল থাকবে আকাশচুম্বী। আমরা ক্ষমতায় আছি, থাকবো এবং আবার ক্ষমতায় আসবো। তিনি শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার প্রসন্নকাপ হাফেজিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগের আয়োজনে কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোহরাবা হোসেন সুমনের পরিচালনায় কর্মী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আইয়ুব আলী পাটওয়ারী, ঢাকা মহানগর শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জিএম আতিকুর রহমান, কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়া উর রহমান হাতেম, ইউপি চেয়ারম্যান এম. আখতার হুসাইন, ইসহাক শিকদার, আলী আক্কাস ও মনির হোসেন।