ভৃঙ্গরাজ বা ভীমরাজের ১৯টি উপকারিতা
হাকীম মিজানুর রহমান : এটি কাল মেঘের মতো ছোট গুল্মজাত গাছ। একে কেশরাজ বা কেশুর্তে বলে। চিকিৎসায় পাতা, ফল, ফুল ও মূল ব্যবহার হয়। এটি বেশি তিক্ত ও অল্প কষ বিশিষ্ট। এটি পিত্ত ও শ্লেষ্মা বিকার কফের উপর বেশ প্রভাব বিস্তার করে এবং এসব বিকারজনিত রোগে উপকার পাওয়া যায়।
এক. শিরো রোগে : মাথার দীর্ঘমেয়াদী যন্ত্রণায় ভৃঙ্গরাজের নস্য নিলে বা মাখলে উপকার পাওয়া যায়।
দুই. চুলপড়া রোধে : কেশ পতন বা চুলপড়া রোধে ভৃঙ্গরাজের তেল মাখলে চুল পড়া বন্ধ হবে ও নতুন চুল গজাবে। এতে একশত ভাগ উপকার পাওয়া যায়।
তিন. মাথার উকুন : ভৃঙ্গরাজের তেল মাথায় মাখলে বা পাতার রস মাখলে মাথার উকুন রোধ হয়।
চার. পোড়ার সাদা দাগে : ভৃঙ্গরাজের তেল পোড়ার সাদা দাগে মাখলে বা পাতার রস মাখলে উপকার পাওয়া যায়।
পাঁচ., চোখ উঠায় : পূঁজ পড়তে থাকলে ২০ থেকে ২৫ ফোটা ভৃঙ্গরাজ রস পানিতে মিশিয়ে ওই পানি দিয়ে চোখ ধৌত করলে উপকার পাওয়া যায়।
ছয়. পাইওরিয়ায় : ভৃঙ্গরাজের পাতা চূর্ণ করে মাজনের মতো ব্যবহার করলে পাইওরিয়া দূর হয়।
সাত. পেটের সমস্যায় : পেটের সমস্যায় বা অজীর্নে খুব উপকারী।
আট . পুরাতন আমাশায় : ভৃঙ্গরাজের পাতা রস প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ ফোঁটা ছাগলের দুধের সাথে মিশিয়ে পান করতে হয়।
নয়. শোথ : শরীরের ফোলা ফোলা ভাব বা শোধ দূর করে। ২০ থেকে ৩০ ফোঁটা দুধের সাথে মিশিয়ে পান করতে হয়।
দশ. রক্তে শ্বেত কণিকা বেড়ে গেলে : ভৃৃঙ্গরাজের রস ২০ থেকে ৩০ ফোঁটা দুধের সাথে মিশিয়ে পান করতে হয়।
এগারো : চুলপড়া বা কেশ পতনের বিশেষ ক্ষেত্রে : যে রমণী মা হয়েছেন, চুল পড়ে যাচ্ছে। তারা ভৃঙ্গরাজের পাতা সেদ্ধ করে সেই জলে দিনে দুইবার মাথা ধোবেন।
বারো : ক্রিমির উপদ্রবে : ভৃঙ্গরাজের পাতার রস এক চা চামচ পরিমাণ সিকি কাপ জলে মিশিয়ে পান করবেন।
তেরো : দাউদ : এ রোগে ভৃঙ্গরাজের পাতার রস দিয়ে প্রলেপ দিতে হবে।
চৌদ্দ : স্নায়ুবিক দুর্বলতায়। ভৃৃঙ্গরাজের রস ২৫ থেকে ৩০ ফোঁটা মধুর সাথে মিশিয়ে পান করতে হয়।
পনেরো : পাণ্ডুরোগে।
ষোল : পুরাতন জ্বর ও অজীর্ণে।
স তেরো : দাঁতের মাড়ির দুর্বলতায়।
আঠারো : মাড়িতে ঘা।
উনিশ : শ্বেত বা শ্বেতী রোগে।
এসব সমস্যায় ভৃঙ্গরাজের পাতার রস ব্যবহার করলে দারুন ফল পাওয়া যায়।
লেখক : হাকীম মো. মিজানুর রহমান, ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর। মুঠোফোন : 01742057854