মতলব উত্তরে বিদ্যালয়ের জমি দখল করে ভবন নির্মাণ : বাউন্ডারি নির্মাণে জটিলতা
সফিকুল ইসলাম রানা
মতলব উত্তর উপজেলায় জোরপূর্বক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের ০৬নং লবাইরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়ের বাউন্ডারী নির্মান করতে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে এই স্কুলের অনুকুলে ৩৪ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেয় স্থানীয়রা। ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্যদের অংশীদার শাহজাহান ও তার ভাইয়েরা বিদ্যালয়ের জায়গা জোড়পূর্বক দখল করে ভবন নির্মাণ করে।
সম্প্রতি এই বিদ্যালয়ে বাউন্ডারির নির্মাণের কাজ আসে। ঠিকাদার কাজ করতে গিয়ে সিডিউল অনুযায়ী কাজ করতে পাড়ছেনা। প্রধান শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ের দক্ষিন পাশে শাহজাহানের ভবনের ভিতর ৩ ফুট জায়গা আছে বিদ্যালয়ের। এই ৩ ফুট ছাড়াও বিভিন্ন গাছ রোপন করে ও রান্নাঘর তৈরি করে আরো ৫ ফিট জায়গা দখল করে রেখেছে। এখন বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। শাহজাহান ও তার ভাইদ্বয় মিলে বিদ্যালয়ের জায়গা জোরপূর্বক দখল করায় বাউন্ডারি দিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে শাহজাহন জানান, বিদ্যালয়ের জায়গা আমরাই দান করেছি, এখন আমাদের প্রয়োজনে আমরা ব্যবহার করছি, গাছগুলো কেটে দিবো। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. শাহজালাল বলেন, বিদ্যালয়ের জায়গা মাপার সময় আমাকে জানানো হয়নি। তাই সীমানা কোথায় পড়েছে তা আমি জানি না। তারপরও প্রধান শিক্ষককে দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মতিন জানান, বিদ্যালয়ের জমির দখল ছাড়তে শাহজাহানকে বার বার বলার পরও তিনি দখল ছাড়েনি। পড়ে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবু হানিফকে জানালে তার পরামর্শ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল হাসান বলেন, বিষয়টি তদারকি করার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মতলব উত্তর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বেলায়েত হোসেন জানান, আমি ও ইঞ্জিনিয়ার ঘটনাস্থলে যাই। শাহজাহানকে তার গাছগুলো কাটার জন্য বলে দিয়েছি। গাছ না কাটলে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে গাছ কেটে বিদ্যালয়ের জায়গা পুনরুদ্ধার করা হবে।