মতলব উত্তরে স্ক্যাভেঞ্জিং প্রকল্পের শেড নির্মাণ করছে স্বাস্থ্য সহকারী শাহজালাল!

সফিকুল ইসলাম রানা :

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের বিরুদ্ধে স্ক্যাভেঞ্জিং প্রকল্পে ছাগল-ভেড়া ও মুরগী পালনের শেড তৈরিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ব ব্যাংকের দেওয়া অর্থায়নে এ উপজেলায় ছাগল-ভেড়া ও পোল্ট্রি পালনের জন্য ১২০ টি শেড নির্মাণ করে দেওয়া হবে মর্মে খামারিদের একাউন্টে টাকা পাঠান সরকার। শেড নির্মাণে নির্দিষ্ট ডিজাউন এবং পরিমাপও দেয়া হয়েছে খামারিদের। কিন্তু ওই শেড প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা নিয়মবর্হিভূত তার একজন নিকটাত্মীয়কে দিয়ে তৈরি করাচ্ছেন!

জানা গেছে, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা খামারিদের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চেকে স্বাক্ষর করিয়ে নিজেই ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেছেন। ১২০ টি শেড এর জন্য ২০ হাজার টাকা করে মোট ২৪ লাখ টাকা গ্রাহদের চেক দিয়ে ব্যাংক থেকে তুলে নেন তিনি। পরবর্তীতে তার পছন্দের দুই ব্যক্তিকে নিয়োগ করেন শেড তৈরির জন্য। নিয়ম বহির্ভূত শেড নির্মাণের জন্য দুই ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি করা হলেও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মুহাম্মদ জাকির হোসেনের নিকটাত্মীয় তৃতীয় শ্রেণীর সরকারি কর্মচারী ¯^াস্থ্য সহকারী মোঃ শাহজালালকে দিয়ে শেডগুলো তৈরি করেছেন। ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকালে উপজেলার লবাইরকান্দি গ্রামে শাহজালালের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে শেড তৈরির কাজ চলছে। অথচ শেড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন হয়ে গেছে গত ৪ সেপ্টেম্বর।

সুবিধাভোগী খামারিরা জানান, আমাদের কাছ থেকে জোড় করে চেকে স্বাক্ষর নিয়ে টাকা তুলেছে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জাকির হোসেন। তিনি তার পছন্দের দুইজন লোকের সাথে চুক্তি করেছেন শেড নির্মাণের জন্য। কিন্তু পরবর্তীতে শেড নির্মাণ করাচ্ছেন স্বাস্থ্য সহকারি শাহজালালকে দিয়ে। এতে করে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জাকির হোসেন ও স্বাস্থ্য সহকারি শাহজালাল লাভবান হচ্ছেন। তাদের এই দূর্নীর কারণে আমরা মানসম্মত শেড পাচ্ছি না। আমরা এই শেড কবে বুঝে পাবো তা জানি না।

এদিকে শাহজালালের বাড়িতে গেলে স্থানীয় লোকজন সাংবাদিকদের বলেন, বিগত কয়েকদিন ধরে দেখছি এই বাড়িতে এরকম শেড তৈরি করা হচ্ছে। কিছু শেড তৈরি হয়েছে, আরো কিছু তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। এগুলো কি? জানতে চাইলে শাহজালাল মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করেছেন বলেও একাধিক গ্রামবাসী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে শাহজালালের সাথে কথা বলতে চাইলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (অ.দা.) ডাঃ মুহাম্মদ জাকির হোসেন একই বক্তব্য দেন, যা আগে বলেছেন, এই প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংক অর্থ দিলেও আমাদের মাধ্যমে শেড তৈরি করার নিময় আছে। ঘর মানসম্মত করেই করা হয়েছে। প্রকল্পে কোন অনিয়ম হয়নি।

Loading

শেয়ার করুন