হাইমচর চরভৈরবী মাছের আড়তে প্রকাশ্যে জাটকা ও পাঙ্গাশের পোনা বিক্রি

সাহেদ হোসেন দিপু :  জাতীয় সম্পদ ইলিশের বংশ বৃদ্ধি করার লক্ষে মার্চ এপ্রিল ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে মাছ ধরা শুরু করেছে জেলেরা। আড়তগুলোতেও মাছ বেচা কেনা শুরু হয়েছে।

বেচা-কেনার প্রথম দিন থেকে উপজেলা সবচেয়ে বড় চরভৈরবী মাছের আড়তে ইলিশের পোনা জাটকা ও পাঙ্গাসের পোনা বেচা কেনা শুরু করেছে আড়তদাররা। ইলিশের পোনা নিধন ও বিক্রির কারণে ২ মাসের অভিযানের সফলতা বিপলের পথে। অভিযানের সফলতা বজায় রাখতে ও ইলিস উৎপাদন বাড়াতে হলে এ ইলিশের পোনা জাটকা গুলোকে রক্ষা করতে হবে। আড়ত গুলোতে প্রশাসনের নজরদারি রাখার পাশাপাশি অভিযান অব্যাহত রাখার জোর দাবী জানান, সুধিমহল।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চরভৈরবী মাছের আড়তে মাছ বিক্রি শুরু হয় ভোর ৬ টায়। ভোর বেলা জেলেরা নদী থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিয়ে আসে আড়তে। আড়তে বেচা কেনার শুরুতেই ইলিশের পোনা জাটকা ও পাঙ্গাশের পোনা গুলো প্রকাশ্যে ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করে আড়তের সরকার। পাইকারগন এ জাটকা ও পাঙ্গাসের পোনা গুলো ক্রয় করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে। প্রকাশ্যে মাছ বিক্রি করতে পেরে জেলেরা উৎসাহিত হয়ে জাটকা ও পাঙ্গাসের পোনা নিধন করতে নদীতে ছুটে যায়। আড়তদার জেলেদের জাটকা ও পাঙ্গাসের পোনা নিধন করতে উৎসাহিত করে নদীতে পাঠায় মাছ নিধন করার জন্য।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলে ও জেলে প্রতিনিধি জানান, চরভৈরবী আড়তে যারা ব্যবসা করে এরা একটি প্রভাবশালী মহল। এদের কাছে দেশের সম্পদ ক্ষতি হলো কী হলো না তা বিষয় না, তাদের দরকার টাকা তারা টাকার জন্য সব করতে পারে। অভিযানের ২ মাস তারা ব্যবসা চালিয়েছে, অভিযান শেষে এখন ঘাটে জাটকাও পাঙ্গাসের পোনা বিক্রি করছে।

ইলিশ উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষমাত্রা বহাল রাখতে হলে ইলিশের পোনা জাটকা মাছকে ইলিশে রুপান্তরিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। আমাদের জেলে ও আড়তদাররা এ সুযোগ কখনো দেয়নি এবারও দিবে না। প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে, উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। চরভৈরবী আড়তে সকালে ভোর বেলা জাটকা ও পাঙ্গাসের পোনা বিক্রি হয়। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে মাছের দেখা মিলবে না। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এখনই পরিকল্পনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

চরভৈরবী মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাওলাদারের সাথে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাহবুবুর রহমান জানান, ২ মাসের অভায়াশ্রম শেষ হলেও ৯ ইঞ্চির ছোট মাছ ধরা সব সময়ই নিষিদ্ধ। যদি কেউ ছোট মাছ (পোনা) নিধন করে আড়তে বিক্রি করে থাকে অবশ্যই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

প্রকাশিত :    শুক্রবার,  ০৩  মে ২০২৪

স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?

ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

Loading

শেয়ার করুন