হাজীগঞ্জে নিখোঁজ হাফেজের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ৩জন গ্রেফতার
হাজীগঞ্জে নিখোঁজের দুইদিন পর মো. আব্দুল্লাহ্ আল কাউছার নামের ১৭ বছর বয়সি এক কিশোর হাফেজের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসাবে তিনজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ। গ্রেফতারকৃতদের মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
তারা হলেন, উপজেলার হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বাউড়া গ্রামের হেলাল উল্যাহ্র ছেলে ও পৌরসভাধীন ৬নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ গ্রামের মাস্টার পাড়ার মুদি দোকানদার ফয়েজুল্লাহ্ ফয়েজ (২৪), পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ড রান্ধুনীমূড়া গ্রামের মো. মহিউদ্দিনের ছেলে শাহ্ মোহাম্মদ সিফাত (১৮) ও ৬নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ গ্রামের মো. জাকির হোসেন মোহনের ছেলে মো. মুনতাসির মামুন নিরব (১৭)।
এ ঘটনায় কাউছারের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত রোববার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৬নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ গ্রামের মাস্টার পাড়া প্রবাসী আব্দুল আজিজের নির্মাণাধীন ৬ তলা ভবনের নিচতলার লিফটের গর্ত থেকে ওই হাফেজের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
হত্যাকান্ডের শিকার মো. আব্দুল্লাহ আল কাউছার চাঁদপুর সদর উপজেলার পৌরসভাধীন পুরান বাজারের রামদাসাদী এলাকার ট্রাক ড্রাইভার মো. মোস্তফা কামালের ছেলে। সে তাঁর বাবা, মা, ভাই-বোনদের সাথে পৌরসভাধীন ৬নং ওয়ার্ডের মকিমাবাদ গ্রামের মাস্টার পাড়া মিলন মোল্লার বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, কাউছার রমজানে ফরিদগঞ্জের একটি বাড়িতে তারাবিহ’র নামাজ পড়াতো। সেখান থেকে চাঁদ রাতের দিন (গত শুক্রবার) বিকালে বাসায় এসে মায়ের কাছে তারাবিহ’র নামাজে পাওয়া সম্মানির টাকা ও এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন চার্জে দিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এরপর থেকে আর বাসায় ফিরে আসেনি।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, মো. আব্দুল্লাহ আল কাউছারের মরদেহ সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় এদিন রাতেই তার বাবা অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে এটি হত্যাকান্ড বলে প্রতিয়মান হচ্ছে। আমরা পরিবারের দেয়া বক্তব্য এবং বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে এনেছি। এর মধ্যে সন্দেহভাজন হিসাবে তিনজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ এবং অন্যদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি জানান, রহস্য উদঘাটনে তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে।