বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে মতলব উত্তরে আলোচনাসভা ও দোয়া

সফিকুল ইসলাম রানা : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্বরনে মতলব উত্তরে আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

৯ আগস্ট শুক্রবার বিকালে মতলব উত্তর উপজেলার কালিপুর বাজারে স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে মতলবের ছাত্র আন্দোলনের নেতা পাভেল হাসান রাব্বী ও পারভেজসহ ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্বরনে  আলোচনাসভা ও তাদের রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ-দোয়ার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড.  মফিজুল ইসলাম সরকার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কারামুক্ত ছাত্রনেতা ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান রাফি, ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন, হাবিবুর রহমান হাবিব, নাঈমুর রহমান শাহীন, রাকিবুল ইসলাম সৈকত, জিএম মানিক, ইমাদ হোসেন, আল আমিন, তুষার মিয়া।

স্থানীয় বিএনপির প্রবীন নেতা ছমির আলী মেম্বারের সভাপতিত্বে এবং কারা নির্যাতিত ছাত্রনেতা ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান রাফি’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্মআহবায়ক তৌফিকুন্নবী রেফেল, সমাজসেবক শাহ আলী হোসেন সোহেল, শাহ আলম ভুইয়া, সোহাগ মিয়া, আব্দুস সাত্তার, সাবেক ছাত্রনেতা সজিব আহমেদ, স্থানীয় বিএনপির প্রবীন নেতা গিয়াস উদ্দিন মুন্সি, ব্যবসায়ী দ্বীন মোহাম্মদ,ছাত্র আন্দোলনের কারামুক্ত ছাত্রনেতা যথাক্রমে ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন,নাঈমুর রহমান শাহীন,হাবিবুর রহমান হাবিব, রাকিবুল ইসলাম সৈকত, তুষার মিয়া।

এ সময় বক্তারা বলেন, আওয়ামীলীগের ১৭ বছরের দুঃশাসনে সরকার ও তাদের সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর মাধ্যমে অসংখ্য গুম-খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে যা আপনারা নিশ্চই জানেন।তারা আয়না ঘরের মাধ্যমে তাদের বিরোধী মতের গুরুত্বপূর্ন লোকদের আটকিয়ে রেখে নির্যাতন করার মাধ্যমে তাদের জীবন শেষ করে দিয়েছে। তারা পিলখানার বিডিআর বিদ্রোহের নামে স্বাধীন দেশে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে যা ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধেও হয়নি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিহত করতে গিয়ে এই জালিম সরকার কয়েক হাজার শিক্ষার্থীকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে। কিন্তু গুলি করে হাজার হাজার ছাত্র জনতা হত্যা করেও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। ছাত্র জনতার ভয়ে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। শেখ হাসিনার এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। আসুন, আমরা নিজ নিজ এলাকায় মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা দেই যাতে আমাদের বদনাম না হয়। মানুষের জান- মালের নিরাপত্তার পাশপাশি সরকারী, বেসরকারী ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষা করি। কেউ চাঁদাবাজি ও দখলবাজি করতে চাইলে ঐকবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করতে হবে।

Loading

শেয়ার করুন