হাজীগঞ্জের সওদাগর পাড়ায় এতিম শিশু ঘরের সামনে খোলা দোকান দিয়ে জীবিকা নির্ভর

মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড সওদাগর পাড়ায় প্রায় দুই হাজার মানুষের বসবাস। বেশীরভাগ নারী পুরুষ গ্রামের বাহিরে ফেরিওয়ালা কাজে নিয়জিত থাকে। তাদের শিশু সন্তানরা বেশীরভাগ পড়াশোনা না করে বাড়িতে খেলাধুলায় সময় কেটায়।

৮ অক্টোবর বুধবার সরেজমিনে এমন বাস্তব চিত্র দেখা যায় পৌর এলাকার সওদাগর পাড়ার মূল চলাচলের পথে বসত ঘরের সামনে বিস্কুট, চকলেট, আচার, খেলনা সামগ্রীসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে খোলা দোকানদারি করে আসছে নারী কিশোর কিশোরীরা।সেখানে ক্রেতা হিসেবে পাড়ার অন্যান্য শ্রমজীবী পরিবারের সদস্যরা একমাত্র।
কথা হয় মৃত ইমান হোসেনের স্ত্রী রেহেনা আক্তারের সাথে। তিনি বলেন, গত প্রায় ৪ বছর ধরে স্বামীর মৃত্যুর পর ৩ মেয়েকে নিয়ে বসতঘরের সামনে খোলা দোকানের আয় দিয়ে কোনরকম সংসার চালিয়ে আসছি শিশু মেয়েকে নিয়ে। দোকানে দৈনিক ১শ থেকে ২শ টাকা বিক্রি হয়। এই আয় উপার্জনের টাকা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি। বেঁচে নেই সংসারে দায়িত্বশীল পুরুষ।
স্থানীয় আলাউদ্দিন সওদাগর বলেন, ডাকাতিয়া নদীর তীরে আমাদের এ সওদাগর পাড়া অবস্থিত। এক সময় গ্রামে অনেক জেলে ছিল। জেলে পাড়া হিসাবেও অনেকের জেলে কার্ড থাকা সত্ত্বেও কোন বরাদ্দ পাচ্ছে না। এ সওদাগর পাড়ায় প্রায় ২ হাজার লোকের বসবাস। শিক্ষার হার তেমন নেই। ছেলে মেয়েদের বিয়ে হয় কম বয়সে।
আমিনার মা নামে পরিচিত, ৭০ বছরের বৃদ্ধা বলেন, আমাদের পুরুষের অধেক অংশ দৈনদিন নানা কাজে নিয়োজিত আর বেশীরভাগ নারীরা বিভিন্ন গ্রামে ফেরী করে বেড়ায়। তাদের সন্তানরা বাড়ীর পাশে নদীর পাড়ে বা খোলা মাঠে খেলতে খেলতে সময় কাটে আর এসব দোকানের খাবারে বেশী আসক্ত থাকে।
হাজীগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, পৌরসভার যেসব বরাদ্দ থাকে তা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সওদাগর পাড়ায় দেওয়া হবে। বাল্যবিবাহ রোধ এবং লেখাপড়ার মান উন্নতি করার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।
বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

