চাঁদপুর জেলার ক’টি গ্রামে অগ্রিম ঈদ পালন
![](https://chandpurreport.com/wp-content/uploads/2024/02/2.gif)
নিউজ ডেস্ক :
![](https://chandpurreport.com/wp-content/uploads/2024/01/diabeties.jpg)
চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার ক’টি গ্রামে অগ্রিম ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৯টায় হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এ জামাতে ইমামতি করেন দরবার শরিফের পীর মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানি। অন্যদিকে সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে সকাল ১০টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরিফের পীর মাওলানা আরিফ চৌধুরী।
জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলীপুর, ভোলাচোঁ, ঝাকনি, সোনাচোঁ, প্রতাপপুর ও সুরঙ্গচাইল গ্রাম, ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুরঙ্গচাউল, কাইতাড়া, উভারামপুর, টোরামুন্সিরহাট, মতলব উত্তর উপজেলার পাঁচানী, বাহেরচর পাঁচানী, আইটাদি পাঁচানী, দেওয়ানকান্দিসহ কয়েকটি গ্রামের মুসল্লিরা অগ্রিম ঈদ উদযাপন করছেন।
জানা যায়, প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ১৯২৮ সালে আগাম রোজা রাখাসহ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালনের নিয়ম চালু করেন হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইসহাক (র.)। তার অনুসারীরা প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা রাখা ও ঈদ উদযাপন করে থাকেন। সেই থেকে বেশ কয়েকটি গ্রাম সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা ও ঈদ উদযাপন করে থাকে।
দরবার শরিফের খাদেম রাসেল জানান, প্রথম চন্দ্র দর্শনের ফলে ঈদ-রোজা পালন করি। সেই হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার কাতারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাঁদ দেখা গেছে। তার ভিত্তিতে আজ শুক্রবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়েছে আমাদের এখানে।
মতলব উত্তরের দেওয়ানকান্দি গ্রামের একজন বলেন, আমরা চট্টগ্রামের মির্জাখিল দরবার শরিফের অনুসারী। প্রতি বছর আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উদযাপন করে আসছি। এবারও এভাবে রোজা রাখছি। ঈদ উদযাপন করেছি।
হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফের পীর মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানি বলেন, আমরা কোরআন সুন্নাহের আলোকে সাদ্রা দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা পীর মাওলানা ইসহাক (র.)-এর নিয়ম অনুযায়ী প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছি। আমরা কোরআন সুন্নাহের ধর্মীয় উৎসবগুলো পালন করে আসছি।
হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফের পীর ও সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী জানান, আমরা ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলেই আমরা রোজা ও ঈদুল ফিতর পালন করছি। তবে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে কোরবানির ঈদ উদযাপন করি। বর্তমানে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর হয়ে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ঈদ উদযাপন করছে। চাঁদপুরসহ সারাদেশে এর সংখ্যা বেড়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, আজ জেলার বিভিন্ন স্থানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ নামাজ পড়াকে কেন্দ্রকে করে সেখানে যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মুসল্লিরা নিরাপদে ঈদের জামাত শেষ করেছেন।
![](https://chandpurreport.com/wp-content/uploads/2024/01/hakim-mizanur-rahman.jpg)
![](https://chandpurreport.com/wp-content/uploads/2024/02/3.gif)