হার্টের রক্তনালি ব্লক হলে

বিশ্বের এক নম্বর মরণব্যাধি হৃদরোগ। কোনোরকম পূর্বাভাস ছাড়াই যে কোনো সময় মানুষের জীবন কেড়ে নিতে পারে। প্রতিবছর লাখ লাখ লোকের হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে।

এদের মধ্যে ৩৫ ভাগের মৃত্যু হয় হাসপাতালে পৌঁছার আগেই। হার্ট অ্যাটাক হয়েও অনেক সময় বেঁচে থাকতে হয় নানা অক্ষমতা আর হঠাৎ মৃত্যুর ভয় নিয়ে।

আর্টারি একবার ব্লক হওয়া শুরু করলে বাইপাস সার্জারি কিংবা এনজিওপ্লাস্টি ছাড়া কোনো পথ নেই। এই কথার রক্ষণশীল চিন্তার মর্মমূলে ১৯৮৭ সালে প্রথম আঘাত হানেন আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. ডীন অরনিশ।

কার্ডিওমেট ও গ্যানো টনিক হার্বস নিয়মিত তিন চার মাস ব্যবহার করে কোনোরূপ সার্জারি ছাড়াই হার্টের ব্লক নির্মূল করা যায়। বিকল্প এ চিকিৎসায় অনেকেই এ রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বলা যায় হৃদরোগ চিকিৎসার মূলধারায় এর অন্তর্ভুক্তি ঘটেছে।

হার্ট ও শিরার ব্লকেজ দূর করতে ব্যবহার করুন- কার্ডিওমেট। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন : হাকীম মিজানুর রহমান, মুঠোফোন : 01762-240650

মার্কিন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ক্রিচটন দীর্ঘ গবেষণার পর দেখিয়েছেন যে, হৃদরোগের কারণ প্রধানত মানসিক। কোলেস্টেরল বা চর্বিজাতীয় পদার্থ জমে করোনারি আর্টারিকে প্রায় ব্লক করে ফেললেই যে হার্ট অ্যাটাক হবে এমন কোনো কথা নেই।

সানফ্রান্সিসকোর ডা. মেয়ার ফ্রেডম্যান এবং ডা. রে রোজেনম্যান দীর্ঘ গবেষণার পর দেখান যে, হৃদরোগের সঙ্গে অস্থিরচিত্ততা, বিদ্বেষ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি বা জীবন পদ্ধতির সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। রোগ ও অসুস্থতা থেকে মুক্তির জন্য প্রথম প্রয়োজন এই দৃষ্টিভঙ্গি বা জীবনদৃষ্টির পরিবর্তনের, আর এর সবচেয়ে সহজ পথ হল হলিস্টিক পদ্ধতি।

হলিস্টিক পদ্ধতিতে (ডায়েট ম্যানেজমেন্ট, স্ট্রেস ফ্রি টেকনিক, মেডিটেশন, যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম, নিউরোবিক, আকুপ্রেশার ও ইসিপি) চিকিৎসা হচ্ছে এখন উন্নত বিশ্বেও। হৃদরোগীদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে এবং নিয়মিতভাবে কিছু যোগব্যায়াম করালেও রোগের উন্নতি সাধিত হয়ে থাকে।

কার্ডিওমেট ও গ্যানো টনিক হার্বস ব্যবহার করলে নতুন করে রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটে না এবং ধমনীর ব্লক বা বাধা সরিয়ে হৃদপিণ্ডে বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালনের ব্যবস্থা করে থাকে। এটাকেই বলা হয় বিকল্প পদ্ধতি।

হলিস্টিক পদ্ধতি অনুসরণ করে কারা উপকৃত হবে-

* যার একবার বা একাধিকবার হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেছে

* যিনি এনজিওপ্লাস্টি বা বাইপাস সার্জারির জন্য অনুপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়েছেন, বিশেষত হার্টের পাম্পিং ক্ষমতা বেশি কমে গেলে (ER <30%, MPI <20%), বেশি বয়স, মাল্টিপল ব্লকেজ, কিডনির কার্যকরী ক্ষমতা কমে গেলে, হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে, পায়ের আর্টারিতে অত্যাধিক ব্লকেজ থাকলে, কেরোটিড আর্টারি ও কিডনি আর্টারিতে ব্লকেজ থাকলে।

* যাদের হার্টের রক্তনালিতে ব্লক আছে কিন্তু রক্তনালির গঠন বৈশিষ্ট্যের কারণে রিং বসানো বা বাইপাস সার্জারি করা যাচ্ছে না।

* রক্তনালি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে ক্যালসিয়াম জমে গেছে বিধায় যেখানে রিং বসানো সম্ভব হচ্ছে না।

* হার্টের রক্তনালিতে ব্লক আছে কিন্তু কিডনি ফেইলিউর বা ইতিপূর্বে ঘটে যাওয়া ব্রেন স্ট্রোকের কারণে বাইপাস সার্জারি করা যেখানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

* এনজিওপ্লাস্টি বা বাইপাস সার্জারির পর যার পুনরায় ব্লকেজ ধরা পড়েছে

* যিনি এর মধ্যে এনজিওপ্লাস্টি বা বাইপাস সার্জারি করেছেন এবং পুনরায় যাতে ব্লকেজ না হয়।

* অপারেশন বা এনজিওপ্লাস্টি করা দরকার কিন্তু রোগী ভয় পাচ্ছে

* যিনি উচ্চরক্তচাপে (হাইপার টেনশন) ভুগছেন

* যিনি অসম্ভব মুটিয়ে গেছেন

* যার হৃদরোগের দীর্ঘ পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে

* যার অস্বাভাবিক মাত্রায় রক্তে কোলেস্টরল বিদ্যমান

* যিনি ডায়াবেটিসে ভুগছেন, রক্তে শর্করার মাত্রা উঁচু

* সেসব কর্মজীবী যাদের অত্যন্ত চাপের মধ্যে কাজ করতে হয়

* হার্টের আর্টারি ব্লকেজ, ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ প্রতিরোধ করার জন্য।

হৃদরোগ চিকিৎসাতেই নয়, অসংক্রামক বহু রোগ বিশেষত উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, মাইগ্রেন রোগের চিকিৎসায় এ হলিস্টিক পদ্ধতির সাফল্য আজ পরীক্ষিত।

হৃদরোগের সমস্যা থাকলে ৩ থেকে ৪ মাস পরপর চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক চলতে হবে। ধূমপান ছাড়ুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। রক্তে চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন সাথে সাথে নিয়মিত চিকিৎসা নিন ও নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন মেনে চলুন।
কার্ডিওমেট একটি Reversal diet ফর্মূলায় প্রস্তুতকৃত। কার্ডিওমেট নিয়মিত সেবনের ফলে হার্টের ব্লকেজের রোগীদের Caronary Artery-তে রক্তনালীর প্রাচীর প্রসারিত হয়। ফলে Partial Blockage থাকলেও Blood Supply বেড়ে গিয়ে Cardiac tissue-তে অক্সিজেনের আধিক্য ঘটে এবং Cardiac Pain দূরীভূত হয় এবং ক্রমান্বয়ে ব্লকেজ কমতে থাকে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়।
1. কার্ডিওমেট সেবনবিধি :
সকাল : ১. একদম খালিপেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করবেন। ২. আধাঘণ্টা পর এক গ্লাস পানিতে ৪ (চার) চা চামচ কার্ডিওমেট পাউডার দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করবেন। আলসার আক্রান্ত রোগীরা লেবুর রসের পরিবর্তে চার চা চামচ টক দই মিশিয়ে নিন। ৩. এক ঘণ্টা পর এক চামচ ভাত বা দুইটি রুটি শাকসবজি দিয়ে খেতে পারবেন। তবে সেই সাথে সালাদ খাওয়া উত্তম। ৪. এক চা চামচ ফ্লাক্সসিড অয়েল পান করবেন। ৫. একটি নরমাটেনসিন ট্যাবলেট খাবেন। দুপুর : বাড়িতে তৈরি স্বাভাবিক খাবার যা অবশ্যই তেলমুক্ত অথবা কম তেলযুক্ত হতে হবে। খাদ্য তালিকায় অবশ্যই সালাদ থাকতে হবে। ২. মাংস বা বড় মাছ না খেয়ে ছোট মাস খাবেন। ৩. খাবারে লবণ এড়িয়ে চলুন। রাত : ১. একদম খালিপেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করবেন। ২. আধাঘণ্টা পর এক গ্লাস পানিতে ৪ (চার) চা চামচ কার্ডিওমেট পাউডার দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করবেন। আলসার আক্রান্ত রোগীরা লেবুর রসের পরিবর্তে চার চা চামচ টক দই মিশিয়ে নিন। ৩. এক ঘণ্টা পর সালাদ খাবেন। তবে কোনোভাবেই ভাত বা রুটি খাওয়া চলবে না। ৪. এক চা চামচ ফ্লাক্সসিড অয়েল পান করবেন। ৫. একটি নরমাটেনসিন ট্যাবলেট খাবেন। ৬. রাতের শেষ খাবার হিসেবে শুধুমাত্র এক গ্লাস কুসুম গরম পানি খেয়ে ঘুমাবেন। করণীয় : ১. সকালে খালি পেটে এবং রাতে খাবার পর ২০ মিনিট দ্রুত হাঁটবেন। ২. দৈনিক চার গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করবেন। ৩. ব্লাড প্রেসার এবং ডায়াবেটিস থাকলে নিয়মিত চেক করবেন। ৪. খাদ্য তালিকায় শসা, গাজর, টমেটো, কাঁচা পেঁপে, কাঁচা কলা ও সালাদ অধিক অন্তর্ভুক্ত করবেন। বর্জনীয় : ১. তেল-চর্বি জাতীয় খাদ্য এবং কোমল পানীয় বাদ দিতে হবে। ২. ধূমপান এবং অ্যালকোহল পরিহার করতে হবে। ৩. ফার্স্টফুড এবং চিনি জাতীয় খাদ্য নিষেধ। ৪. কাঁচা লবণ পরিহার করুন। হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসা নেওয়ার পর যেসব নিয়ম মেনে চলতে হবে : একবার হার্ট অ্যাটাক হলে পরবর্তীতে এ রোগের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত টেস্ট ও চেক-আপ করাতে হবে। একই সাথে ধূমপান পরিহার করতে হবে, খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে হবে ও নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় ঔষধ গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামেও অংশগ্রহণ করতে পারেন।
2. Gano Tonic Herbs সেবনবিধি

প্রতি সাচেট রাতে ৪ কাপ পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে মৃদু জালে ২ কাপ পরিমাণ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে ঠান্ডা করে অর্ধেক বা এক টুকরো লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে পান করতে হবে। পুনরায় উক্ত উপাদান ভিজিয়ে রেখে পূর্বের নিয়মে বিকেলে পান করে ফেলে দিতে হবে।

হার্ট অ্যাটাকের পর বুকে ব্যথা হলে : একবার হার্ট অ্যাটাকের পর অনেক রোগীরই এঞ্জাইনা বা বুকে ব্যথা সৃষ্টি হয়। তবে এ ব্যথা ঔষধ খেলে বা বিশ্রাম নিলে কিছুক্ষণ পর ভালো হয়ে যায়। হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে এ ব্যথা আরও তীব্র হয়ে ওঠে এবং তা সহজে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় না।
নিম্নলিখিত উপায়ে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করা সম্ভব : ১. ধূমপান পরিহার করুন। ২. কোলেস্টেরল, রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এজন্য সর্বপ্রথম ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে ও খাদ্যাভাস পরিবর্তন করতে হবে। ৩. নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এই বিকল্প চিকিৎসাকে হলিস্টিক চিকিৎসা বলা হয়। হলিস্টিক চিকিৎসা হলো আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রাচীনতম প্রাকৃতিক পদ্ধতির আশ্চর্য সমন্বয়। এ চিকিৎসার মূল চাবিকাঠি দু’টিÑ স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়াম।
বাংলাদেশের যে কোনো জেলায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমেও দু’ থেকে তিন দিনের মধ্যেই ঔষধ পেতে পারেন।
ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন : (সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ১টা এবং দুপুর ৪টা থেকে রাত ৮টা, নামাজের সময় ব্যতীত) 

হাকীম মুহাম্মদ মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)

ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, চাঁদপুর।
মুঠোফোন :
+88 01777988889
+88 01762240650

Loading

শেয়ার করুন