করোনা হলে আতঙ্কিত না হয়ে যা করবেন : জেনে নিন কাজে লাগবে ১০০ ভাগ

চাঁদপুর রিপোর্ট ডেস্ক :

? কোভিড-১৯ পজিটিভ হলে বা উপসর্গ থাকলে আতঙ্কিত হবেন না।

? হসপিটালে বেড পাবেন, সেই চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।

? জ্বর, মাথা ব্যথা, ঘাড় ব্যথা, চোখ লাল/ব্যথা, গলা ব্যথা, সর্দি বা কাশি, পেট ব্যথা, বমি, পেট খারাপ, পিঠে কোমরে ব্যথা, হাতে পায়ে মাংসপেশিতে ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, সারা শরীরে ব্যথা, খাবারে ভয়াবহ অরুচি, নাকে গন্ধ না পাওয়া, শারীরিক দুর্বলতা ইত্যাদি যেকোনো দুটো বা একটা সমস্যা থাকলে ধরে নিতে হবে আপনি কোভিড-১৯ সাসপেক্টেড।

? আমার সারাবছর ঠান্ডা লেগে থাকে, আমার যখন তখন শরীর ব্যথা হয়, বৃষ্টি হয়েছে বলে ঠান্ডা লেগেছে, ধুলার কারণে সর্দি হয়েছে…. দয়া করে মাতব্বরি করে এসব ভাববেন না। আমার কিছু হবেনা, আল্লাহ ভরসা… এভাবে ভাববেন না। তবে আল্লাহর কাছে যেভাবে সাহায্য চায়, পানাহ্ চায়, সেভাবে একাকী নামাজের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগে চাবেন।

? কোভিড-১৯ আপনার শরীরে ঢোকার পর সাথে সাথে আপনি ক্রিটিকাল হবেন না। সিম্পটম দেখা দেয়ার পর ৫/৬ দিন আপনি সময় পাবেন। শ্বাসকষ্ট হোক বা রক্ত জমাট বাঁধুক, তার আগে আপনি কয়েকদিন সময় পাবেন, যখন কিছু সতর্কতা আর কিছু মেডিসিনে ভাইরাসের লোড কমাতে পারবেন।

? ঐ ৫/৬ দিনকে যারা অবহেলা করেছে বা পাত্তা দেয়নি, ভেবেছে আমার করোনা হবেনা, বা এগুলো সাধারণ জ্বর/পেট খারাপ, তারা পরবর্তীতে critically ill হয়ে গেছেন।

? সিম্পটম দেখা দিলে টেস্ট করানোর চিন্তা বাদ দিন। করাতে পারলে অবশই করাবেন। পজিটিভ পেলেই কি, নেগেটিভ পেলেই বা কি! বরং আনুষঙ্গিক অন্যান্য টেস্টগুলো করিয়ে ফেলুন। যেমনঃ

– Xray chest
– CBC & ESR
– CRP
– SGPT
– S creatinine
– S. Electrolytes
– S. Ferritin
– D dimer
– PT INR
– Urine R/M/E
– CT scan of chest (সম্ভব হলে)

নারী-পুরুষের যে কোনোা যৌ*ন সমস্যার (যৌ*ন দুর্বলতা, সন্তান না হওয়া, সহ*বাসে ব্যর্থতা, দ্রুত বীর্য*পাত, মেহ-প্রমেহ) সমাধানে ‘নাইট কিং’ ও ‘নাইট কিং গোল্ড’ কার্যকরী। বাংলাদেশের যে কোনো জেলা বা উপজেলায় কুরিয়ার সার্ভিসযোগে ‘নাইট কিং’ পেতে যোগাযোগ করুন :
হাকীম মিজানুর রহমান
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, যোগাযোগ করুন : (সকাল ১০টা থেকে রাত ০৮ টা (নামাজের সময় ব্যতীত) 01762240650, 01834880825
এছাড়াও শ্বেতী রোগ, ডায়াবেটিস, অশ্ব (গেজ, পাইলস, ফিস্টুলা), ব্লকেজ, শ্বেতপ্রদর, রক্তপ্রদর ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়।

? এই টেস্টগুলোর মাধ্যমে আপনি আক্রান্ত কিনা বা আক্রান্ত হলেও তা কতদূর ভয়াবহ, তা বোঝা যাবে। যদি জ্বরযুক্ত উপসর্গ থাকে, তবে NS1 for Dengue টেস্ট করিয়ে নেবেন।

? যেকোনো উপসর্গ থাকুক, বা কোভিড-১৯ টেস্ট পজিটিভ থাকুক (উপসর্গ যুক্ত/ছাড়া), বাসায় থাকবেন। পরিচিত ডাক্তার বা টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে চিকিৎসা নিয়ে ঘরে চিকিৎসা করবেন। ফেইসবুকে ঘুরে বেড়ানো চিকিৎসা (মেডিসিন) নিজে নিজে চালাবেন না। আতঙ্কিত হবেন না ও হসপিটালে দৌড়াদৌড়ি করবেন না।

? গরম পানিকে ছাড়বেন না। অল্প অল্প চুমুকে গরম পানি খেতে ক্লান্ত হয়ে যাবেন। এতে দুটো কাজ হবে। শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দিয়ে রক্ত ঘন বা কিডনী ইনসাল্টেড হবেনা, এবং গলায় ক্রমাগত গরম শেঁক এনশিওর করা যাবে।

? ভোরবেলার রোদ কিছুটা গায়ে লাগাবেন।

? বেশীরভাগ ক্ষেত্রে জ্বর মেপে পাবেন না। বা ৯৮/৯৯ ডিগ্রি ফা. থাকবে। বা জ্বর জ্বর বোধ হবে। মাঝে মাঝে দু’এক বেলা বা দু’এক দিন জ্বর ফ্রি থাকতে পারেন। বিরতি দিয়ে জ্বর বারবার আসতে পারে। কারো কারো জ্বর ১০২ ডিগ্রি ফা. এর উপর যেতে পারে। ১০/১১ দিন যাবত হালকা জ্বর থেকে যেতে পারে।

? পরিবারের ৫/৭/১০ জনের বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। প্রত্যেকের উপসর্গ আলাদা আলাদা হতে পারে। কারো জ্বর, তো কারো পেট খারাপ, ইত্যাদি। এতজনের কোভিড-১৯ টেস্ট করানো হয়রানিসাধ্য ও ব্যয়সাধ্য। সম্ভব না। সে ক্ষেত্রে বয়স্ক জন এবং উপসর্গ বেশি এমন জনের টেস্ট করাতে পারেন। তারা পজিটিভ হলে বাকিরাও পজিটিভ ধরে নিবেন।

? পালস্ অক্সিমিটার কিনে রাখুন বাসায়। অক্সিজেন স্যাচুরেশন দেখার জন্য। চাইনিজটার দাম ২৫০০ টাকা থেকে শুরু। চাইলে একটু বেশি দামে জার্মানিরটাও কিনতে পারেন। গ্লুকোমিটারের চেয়েও ছোট একটা মেশিন এটা।

? উপসর্গ দেখা দেয়ার পর বা পজিটিভ হওয়ার পর ৫/৬ দিন যাবত বাসায় বসে অক্সিজেন স্যাচুরেশন দেখবেন। স্যাচুরেশন ৯৪-৯৩% কমে গেলে হসপিটালের কথা ভাববেন, তার আগে না।

? সামান্য শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা (অক্সিজেন স্যাচুরেশন না কমলে) বাসায় বসেই করা সম্ভব। তাই ভয় পেয়ে হসপিটালে ঘুরে হয়রান হতে যাবেন না। বাসায় অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে নিবেন বা ভাড়া নিবেন। অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।

? অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে গেলে যখন হসপিটালের প্রয়োজন দেখা দিবে, তখন রোগীকে নিয়ে হসপিটালে হসপিটালে ঘুরবেন না। রোগীর অক্সিজেন চলতে থাকবে বাসায়। এবং আপনি সিট খুঁজতে থাকবেন হসপিটালে। নাহলে আতঙ্কিত রোগীর শ্বাসকষ্ট আরো বেড়ে যাবে।

? বাসায় টেলিমেডিসিনের চিকিৎসায় আপনার ভাইরাসের লোড কমে যাবে ইনশাআল্লাহ। ভাইরাল লোড বেশি হলে রোগী ক্রিটিকাল হয়ে যায়। আল্লাহ যদি আয়ু ফুরানোর ডিসিশন নেন, একমাত্র তখন যেকোনো ব্যবস্হা গ্রহণ করার পরও আপনি ডিটোরিওরেইট করবেন।

? পালস্ অক্সিমিটার ও অক্সিজেন সিলিন্ডার ম্যানেজ করার মতো ২০/২৫ হাজার টাকা আপনি বা পরিবারের সবাই মিলে ম্যানেজ করা হয়তো সম্ভব। তাই অযথা কেনাকাটা করে ও বাহুল্য খেয়ে টাকা নষ্ট করবেন না। ক্যাশ টাকা রেডি করে এখনই হাতে রাখুন।

? কোভিড-১৯ টেস্টের জন্য সিরিয়াল দিয়ে রাখুন। সিরিয়াল অনেক পরে পাবেন। স্যাম্পল দেয়ার পর রেজাল্ট পেতে আরো দেরি হবে। ততদিনে আপনি হয়তো সুস্হ হয়ে যাবেন।

? যারা বাইরে বের হচ্ছেন না, বাসায় থাকছেন, তারাও ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধোবেন। যারা তিনমাস বাসায় বন্দী থাকার পরও আক্রান্ত হচ্ছেন, কেয়ারটেকার বা দারোয়ানের মাধ্যমে বা অনলাইনে বাজার করছেন, তারা বাজারের ব্যাগের মাধ্যমে ভাইরাস পাচ্ছেন। কাজেই ব্যাগ বা পণ্য পরিস্কার করার এটিকেট মেনে চলুন।

? বাসায় সন্দেহভাজন রোগী থাকলে মাস্ক পরুন এবং যতটা পারা যায় তাকে ও তার কেয়ারগিভারকে আলাদা রাখুন।

? আল্লাহর সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্হাপন করুন। নামাজের মাধ্যমে। তিনি আপনার ঘাড়ের রগের চেয়েও কাছে থাকেন।

Courtesy: Dr. MJ Shapla
সিনিয়র কনসালটেন্ট ও বিভাগীয় প্রধান
ল্যাব মেডিসিন বিভাগ
সেন্ট্রাল পুলিশ হাসপাতাল

Loading

শেয়ার করুন
Verified by MonsterInsights