ভয়ঙ্কর যৌনবাহিত রোগের কারণ লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

যৌনবাহিত রোগ (sexually transmitted disease) হল সেসব রোগ যেগুলো সাধারণত মৈথুন, মুখমৈথুন, পায়ুমৈথুনসহ নানাবিধ যৌনসঙ্গমের মাধ্যমে ছড়ায়।

একে সংক্ষেপে এসটিডি (STD) হিসেবে লেখা হয়। এছাড়াও একে যৌনবাহিত সংক্রমণ (sexually transmitted infections বা STIs) অথবা যৌনব্যাধি-সংক্রান্ত রোগ (venereal diseases বা VD) নামেও ডাকা হয়।

মেডিসিনের বিখ্যাত বই ডেভিডসন অনুযায়ীঃ
“ “STIs are a group of contagious conditions whose principal mode of transmission is by intimate sexual activity involving the moist mucous membranes of the penis, vulva, vagina, cervix,anus, rectum,mouth and pharynx along with their adjacent skin surfaces.”

”উল্লেখযোগ্য কিছু যৌনবাহিত রোগের নাম হলো :

সিফিলিস (syphilis) বা ফিরিঙ্গি রোগ

গনোরিয়া (Gonorrhoea) বা বিষমেহ

ক্ল্যামাইডিয়ার জীবানু (Chlamydial infection)

ট্রাইকোমোনিয়াসিস (Trichomoniasis)

জেনিটাল হার্পিস (Genital herpes)

জেনিটাল ওয়ার্টস (Genital warts)

হেপাটাইটিস বি এবং সি (Hepatitis B & C)

এইডস (এইচ আইভির জীবাণু)

চ্যানক্রয়েড (Chancroid)

গ্রানুলোমা ইনগুইনাল (granuloma inguinale)

লিম্ফোগ্রানুলোমা ভেনেরিয়াম (lymphogranuloma venereum)

একে যৌন বহনযোগ্য রোগ বলা অধিক যুক্তিযুক্ত কারণ এসব রোগের কিছুসংখ্যক রোগ অন্যান্য প্রক্রিয়াতেও ছড়ায় (যেমন এইচআইভি)।

কিছু সাধারণ যৌনরোগের জীবানুর নাম
গনোরিয়া – Neisseria gonorrhoea.

সিফিলিস – Treponema pallidum.

জেনিটাল হার্পিস – Herpes simplex(type 2)

এইডস -HIV virus

দীর্ঘদিনের যকৃতের প্রদাহ -Hepatitis B & C virus

জেনিটাল ওয়ার্টস – Human pailloma virus.

সিফিলিস কী?

সিফিলিস ( বাংলায় ফিরিঙ্গি রোগ বা গর্মি রোগ বা উপদংশ) স্পিরোসেত ব্যাকটেরিয়া ট্রেপোনেমা পেলিডাম উপজাত পেলিডাম দ্বারা সৃষ্ট একটি যৌনবাহিত রোগ। সংক্রমণের প্রাথমিক পথ যৌন সংস্পর্শ;তাছাড়াও রক্ত পরিসঞ্চালন, চুম্বন,চামড়ার আঘাতপ্রাপ্তি এবং গর্ভাবস্থায় বা জন্মের সময় মায়ের কাছ থেকে ভ্রূণে সংক্রমিত হতে পারে (যাকে কনজেনিটাল সিফিলিস বলা হয়)।

সিফিলিসের লক্ষণ এবং উপসর্গের উপর নির্ভর করে একে চারটি পর্যায়ে ভাগ করা যায় (প্রাথমিক, দ্বিতীয়, সুপ্ত, এবং তৃতীয় পর্যায়)। প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণত একটি একক যৌনব্যাধিজনিত ক্ষত (একটি দৃঢ়, যন্ত্রণাহীন, চুলকানিবিহীন চামড়ার ক্ষত), দ্বিতীয় পর্যায়ের সিফিলিসে একটি বিকীর্ণ ফুসকুড়ি যা ঘন ঘন হাতের তালুতে এবং পায়ের পাতার নিচের অংশে, সুপ্ত সিফিলিসে সামান্য বা কোনো লক্ষণবিহীন অবস্থা, তৃতীয় পর্যায়ের সিফিলিসে গুমাস, স্নায়বিক বা হৃৎপিণ্ডঘটিত উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়। যাইহোক, এর ঘন ঘন এটিপিকাল উপস্থাপনা কারণে তা মহান অনুকারক হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেছে।

রোগের স্বাভাবিক গতি প্রকৃতিঃ

অনিরাপদ যৌন মিলন —> প্রাথমিক ক্ষত(chancre)

গঠন —> ২-৬ সপ্তাহের মধ্যে রোগী সেড়ে ওঠে —> প্রাথমিক ক্ষত হওয়ার ৬-৮ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় পর্যায়ের সিফিলিস হয় —> রোগী আবার সেড়ে ওঠে —> প্রাথমিক সুপ্তাবস্থা —> পরবর্তী সুপ্তাবস্থা(৩৩% ক্ষেত্রে) —> তৃতীয় পর্যায়ের সিফিলিস।

গনোরিয়া কী?

গনোরিয়া (ইংরেজি: Gonorrhea) হচ্ছে একটি যৌনবাহিত রোগ।

Neisseria gonorrhoeae (নিশেরিয়া গনোরি) নামক জীবাণু এই রোগের জন্য দায়ী। পুরুষের ক্ষেত্রে সাধারণত প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া (ডিজইউরিয়া) ও মূত্রনালি দিয়ে পূয বের হয়। স্ত্রীলোকের ক্ষেত্রে অনেক সময় কোনো লক্ষণ থাকে না আবার কারো ক্ষেত্রে যোনিপথে পূয বের হয় এবং তলপেটে ব্যথা হতে পারে। যদি সময়মত এই রোগের চিকিৎসা না করালে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই এই রোগ আশেপাশে ছড়িয়ে যেতে পারে এবং পুরুষের এপিডিডাইমিস ও মহিলার তলপেটে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। গনোরিয়া সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে, এমনকি এটি শরীরের অস্থিসন্ধিসমূহ ও হার্টের ভালবকেও আক্রান্ত করতে পারে।

২৫ বছরের নিচে যৌনকার্যে সক্রিয় সকল নারীদের প্রতিবছর এই রোগের পরীক্ষা করানো উচিত।  সমকামী পুরুষদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

যৌনমিলনের সময় কনডম ব্যবহার করে গনোরিয়া প্রতিরোধ করা যায়।

প্রতিবছর প্রায় ৪৪৮ মিলিওন লোক যৌনবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়, এর মধ্যে প্রায় ৭৮ থেকে ৮৮ মিলিওন গনোরিয়ার রোগী।  যুক্তরাজ্যে ২০০৫ সালে ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সী প্রতি এক লক্ষ পুরুষদের মধ্যে ১৯৬ জন এবং ১৬-১৯ বছর বয়সী প্রতি এক লক্ষ তরুণীর মধ্যে ১৩৩ জন গনোরিয়ায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়।

অল্পবয়স্কা তরুণীদের এই রোগে আক্রান্ত হবার হার সবচেয়ে বেশি। ২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী ৯০০ জন গনোরিয়ার রোগী মৃত্যু বরণ করে যেখানে ১৯৯০ সালে এই সংখ্যা ছিলো ১১০০ জন। এই রোগের সুপ্তিকাল হচ্ছে ২ -১৪ দিন তবে ৪ থেকে ৬ দিনের মধ্যেই লক্ষণসমূহ প্রকাশ পেতে শুরু করে। কোনো পুরুষ একবার গনোরিয়ায় আক্রান্ত হলে পরবর্তীতে তার প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

কারণ
Multiple views of a Neisseria gonorrhoeae bacterium, which causes gonorrhea.Neisseria gonorrhoeae নামক ব্যাক্টেরিয়ার মাধ্যমে গনোরিয়া রোগ হয়।

বিস্তার

যৌনমিলনের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে আরেকজনের দেহে এই রোগের জীবাণু ছড়ায়। এটা যোনিপথ, মুখগহ্বর বা পায়ুপথ যে কোনো পথেই ছড়াতে পারে। গনোরিয়ায় আক্রান্ত মহিলার সাথে একবার যৌনকর্ম করলে পুরুষলোকের এই রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ২০%, তবে সমকামী পুরুষের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরও অনেক বেশি। আক্রান্ত পুরুষের সাথে একবার যৌনমিলনে একজন মহিলার এই রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি প্রায় ৬০-৮০%।

বাচ্চা জন্মদানের সময় গনোরিয়ায় আক্রান্ত মায়ের শরীর থেকে এই রোগের জীবাণু বাচ্চাকে আক্রান্ত করতে পারে।এটি যখন বাচ্চার চোখকে আক্রান্ত করে তখন তাকে অফথালমিয়া নিওন্যাটোরাম বা নিওন্যাটাল কনজাংটিভাইটিস বলে।

If not treated gonococcal ophthalmia neonatorum will develop in 28% of infants born to women with gonorrhea. বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জীবাণু দ্বারা দূষিত বস্তুর মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। এই বস্তুগুলো হলো গোসল, কাপড়চোপড়, তোয়ালে প্রভৃতি। তবে এরকম ঘটনা খুবই বিরল।

প্রতিরোধ : বহুগামিতা পরিত্যাগ ও সঠিক পদ্ধতিতে কনডম ব্যবহারের মাধ্যমে এই রোগ সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

জেনিটাল হার্পিস কী?
জেনিটাল হার্পিস বা যৌনাংগের হার্পিস (ইংরেজি: Genital herpes) হল যৌন সংক্রামক একটি রোগ। এই রোগ হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস টাইপ-১ (HSV-1) ও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সিমপ্লেক্স ভাইরাস টাইপ-২ (HSV-2) সংক্রমণের ফলে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি জানতেই পারে না যে সে (HSV-1) বা (HSV-2) তে আক্রান্ত।

সংক্রমণ
যৌনাংগে HSV-1 বা HSV-2 র সংক্রমণ থাকা ব্যক্তির সাথে যৌনসংগম করলে এইরোগ সংক্রমণ হতে পারে। এই ক্ষেত্রে বাইরের থেকে উক্ত ব্যক্তির হার্পিস আছে এমন ধারণা করা সম্ভব হয় না ও আক্রান্ত ব্যক্তিও তাঁর রোগ সম্পর্কে জ্ঞাত না হতে পারে।

লক্ষণ ও উপসর্গ

জেনিটাল হার্পিস আক্রান্ত পুরুষ
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি জানতেই পারে না যে সে হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসতে আক্রান্ত।সাধারণত এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার দুসপ্তাহ পর শরীরের বাইরে এর প্রকাশ ঘটে। এর ঘাঁগুলি দুই থেকে চার সপ্তাহর ভিতর শরীরে ফুটে ওঠে। ঘাঁগুলি সাধারণত যৌনাংগ বা মলদ্বারের কাছে একটা বা একাধিক গুটির মতো দেখা দেয়। প্রথমে এই গুটিগুলি দেখা দেওয়ার পরে এইগুলি ফেটে গিয়ে স্পর্শকাঁতর ঘাঁ হয়ে যায়। এই ঘাঁগুলি ঠিক হতে ২ থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগে। এর কয়েক সপ্তাহ কয়েক মাস পর গুটিগুলি পুনরায় দেখা দেয়। অবশ্য পরেরবার ঘাঁগুলি আগের বারের চেয়ে কম ভয়াবহ হয় ও সময় মতো শুকায়। এই সংক্রমণ শরীরে অনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত থাকতে পারে। অবশ্য একবছরের ভিতর এই ঘাঁর পরিমাণ ধীরে ধীরে কমতে আরম্ভ করে। এর অন্যান্য উপসর্গ গুলি হ’ল- ফ্লুর মতো জ্বর, গ্রন্থি ফুলে ওঠা।

প্রতিরোধ
যেকোনো যৌন সংক্রমণ প্রতিরোধের উচিত উপায় হ’ল-যৌন সম্পর্ক না করা অথবা যৌন সংক্রামক রোগ না থাকা একজন ব্যক্তিকে যৌন সঙ্গী করে নেওয়া।

এসব রোগ থেকে মুক্তি পেতে যোগাযোগ করুন :

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : (চিকিৎসক) 01742-057854

(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)

ইমো/হোয়াটস অ্যাপ : (চিকিৎসক) 01762-240650

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : মেহ-প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের প্রতিকার

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

Loading

শেয়ার করুন

Leave a Reply