শ্বেতী রোগ বা Vitiligo : কারণ ও চিকিৎসা

যদিও শ্বেতী বা Vitiligo রোগ সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই খুব বিরুদ্ধ মানসিকতা পোষণ করি, তবে একথা সত্যি যে শ্বেতী সেই অর্থে কোনও ছোঁয়াচে রোগ নয়। না তো, এটি ক্যান্সারের মত ভয়ানক কিছু। শ্বেতী হল এমন একটি চর্মরোগ যাতে করে শরীরের স্বাভাবিক রং হারায় এবং শরীরের বেশ কিছু অংশ অত্যন্ত অস্বাভাবিক ভাবে সাদা হতে থাকে।

আমাদের ত্বকের স্বাভাবিক রং তৈরি হয় ‘মেলানসাইটিস’ Melanocytes নামের এক ধরনের কোষের অবদানে। তবে যাদের এই ভিটিলিগো হয় তাদের বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ত্বকের স্বভাবিক রং এর কোষ গুলি মশৃণ সাদা ইরেগুলার বর্ডার বা অসমান প্রান্ত সহ ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়। এই বিবর্ন ছোপ ছোপ দাগ শরীরের যেকোন একজায়গায় অথবা ৫০ ভাগ পর্যন্ত হতে পারে।

শরীরের কোন কোন স্থানে শ্বেতী হয় ও কি কারণ?

এই দাগ গুলি প্রধানতঃ শরীরের যেই অংশ গুলি সূর্যের আলো লাগে সেইখানেই দেখা যায়, যেমন হাত, মুখমন্ডল, বাহু ও পায়ের পাতা। তবে অনেক সময়, এই রোগের ছাপ, শরীরের নিম্নাঞ্চলে/যৌনাংগেও দেখা যেতে পারে। শ্বেতী প্রধানত বয়সকালেই হবার সম্ভাবনা দেখা দেয় কারণ, এই সময়েই ত্বকের সহ্যক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়। তবে সঙ্গত কারণেও অনেকের ত্বকে শ্বেতী খুব অল্প বয়সে বা জন্মকালের পর থেকেই দেখা দিতে পারে। সব থেকে খারাপ ব্যাপার এইটাই যে শ্বেতী রোগ সারে না, যদিও ত্বকের কোন বড়সড় ক্ষতিও করে না।


এইটা ছোঁয়াচে না, এর কোন ব্যথা বেদনা নেই, এটা প্রাণঘাতী কিছু না। মহিলা পুরুষ, এবং শরীরের স্বাভাবিক রং নির্বিশেষে, চামড়ার এই বর্ণহীনতা যে কারোরই হতে পারে। এই ধরনের ‘ডিপিগ্মেন্টেশন’ ফরসা ত্বকে অতটা বোঝা যায় না, কিন্তু যাদের ত্বকের স্বাভাবিক রং অনেকটা গাঢ়, তাদের ক্ষেত্রে শ্বেতী অনেক পরিষ্কার ভাবে বোঝা যায়।

ইংল্যান্ডের National Institute of Arthritis and Musculoskeletal and skin Diseases (NAIMS) এর মতে “ভিটিলিগো মূল কারণ এখনো জানা যায় নাই”। বিশেষজ্ঞ্যরা মনে করেন এইটা একটা ‘অটোইম্যুউন ডিজিজ’। তার মানে নিজ শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিজ শরীরের কোষ গুলিরেই আক্রমণ করে, এই ক্ষেত্রে তা আক্রমন করে শরীরের মেলাওসিটিস কোষ গুলিরে তাই তা স্বাভাবিক রং হারায়।

এইটা ছোঁয়াচে না হইলেও বংশানুক্রমিক, দেখা গেছে প্রায় ৩০% রোগীর পরিবারের কারো না কারো এই ভিটিলিগো ছিল। ভিটিলিগো বা স্বেতী র সাথে এ্যালোপিসিয়া এ্যরিয়াটা (Alopecia Areata) , হাইপারথায়রোডিজম (Hyperthyroidism) , এ্যাডিসন’স ডিজিজ (Addison’s Disease) জেনেটিক অসুস্থতা পারনিসিওয়াস এ্যানেমিয়া (Pernicious Anemia) র ভুগে যোগসূত্র দেখা গেছে।

শ্বেতী রোগের লক্ষণ

এই রোগের লক্ষন সমূহের প্রধান হল ত্বক স্থানে স্থানে তার স্বাভাবিক রং হারায়।
ফোকাল প্যাটার্ন অল্প কিছু অংশে ত্বক তার রং হারায়
সেগমেন্টাল প্যাটার্ন শরীরে একপাশে ডিপিগ্মেন্টেশন হয়

জেনারালাইজড প্যাটার্নে শরীরে দুই পাশের একই অঙ্গে এই মেলানিন হারায় আর তার মিলও থাকে প্যাটার্নে। এইটাই বেশী দেখা যায়। চেহারা, বাহু বগলতলা, পা হাত পায়ের পাতা, ঠোঁট ও কুচকি (যৌনাঙ্গসহ) আক্রান্ত হইতে পারে, মুখের তালুতে , মাথায় চাঁদিতে, কিছু চুল সহ, ভ্রূ চোখের পাঁপড়িতেও এর আক্রমন দেখা গেছে।

শ্বেতী রোগের চিকিৎসা

শ্বেতী চিকিৎসার উদ্দেশ্য হইল মেলানিন হারানো ত্বকে তার স্বাভাবিক রং ফিরিয়ে আনা, লম্বা সময় ধরে চলা এর চিকিৎসা, চিকিৎসার ফল দেখতে কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে। আসুন দেখে নেওয়া যাক কি কি ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি এই মুহূর্তে উপলব্ধ আছে।

এ রোগের চিকিসার প্রয়োজনে রোগীর বয়স, রোগের সময়কাল, রোগের স্থান এবং ব্যাপ্তিভেদে চিকিৎসা পদ্ধতি বাছাই করা হয়। সেক্ষেত্রে এ রোগ হলে প্রাথমিক অবস্থায়  Recap ক্রিম, Vitiligo Natural, Vitiligo Natural Harbs, Vitiligo Remover সহ চিকিৎসকের নির্দেশনামতে আরো কিছু ঔষধ কয়েক মাস এমনকি প্রয়োজনে কয়েক বছর ধরে নিয়মিতভাবে সেবন করতে হয়। এ চিকিৎসায় ধীরে ধীরে শ্বেতী থেকে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব এবং সারাদেশে প্রায় এক হাজারেরও বেশি রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন।

এ চিকিৎসার ক্ষেত্রে আপনি নিজে সরাসরি গিয়ে ঔষধ গ্রহণ করতে পারলে তা হবে পারফেক্ট। তবে যদি কোনো কারণে তা সম্ভব না হয় তবে বাংলাদেশের যে কোনো জেলায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমেও দু’ থেকে তিন দিনের মধ্যেই ঔষধ গ্রহণ করতে পারবেন।

 প্রবন্ধের শেষে হাকীম মিজানুর রহমান-এর সাথে যোগাযোগের নাম্বার দেয়া আছে। তাঁর সাথে যোগাযোগ করে ঔষধ গ্রহণ করতে পারেন।

রোগের বয়স দীর্ঘ বা ক্রনিক হলে দীর্ঘদিন ওষুধ সেবন করতে হয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসক ও রোগী দু’জনকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হয়। কারণ শ্বেতী একটি জটিল রোগ। এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে ধৈয্যের পরিচয় দিতে হয়। যাদের এ রোগটি শুরুর সাথে সাথেই চিকিৎসা শুরু করা যায় অর্থাৎ ঔষধ প্রয়োগ করা যায় এবং চিকিৎসক বর্ণিত খাবার বিধি-নিষেধের বিষয়ে সচেতন হওয়া যায়। তাদের এ রোগ সহজেই নির্মূল হয়।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : 01762-240650

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

Loading

শেয়ার করুন

Leave a Reply