কচুয়ায় সীমানা প্রাচীর দিয়ে জোরপূর্বক জায়গা দখলের চেষ্টার অভিযোগ

কচুয়া প্রতিনিধি  :
কচুয়া উপজেলার বিতারা গ্রামে ফজলুর রহমান নামে এক ব্যাক্তির পৈত্রিক ও দখলীয় জায়গায় ওয়ারিশ সূত্রে মালিক দাবী করে জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর দিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই বাড়ির প্রবাসী বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী লাকী বেগম ও তার বোন রোকেয়া বেগমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার বিতারা গ্রামের আবদুর রব মেম্বার বাড়ির অধিবাসী মৃত: আব্দুল আজিজের পুত্র মো. ফজলুর রহমান, তাদের তিন ওয়ারিশের পৈত্রিক সূত্রে ১ একর ৬২ শতাংশ জমির আন্দরে ৩ অংশের ১ ভাগ সম্পত্তিতে বাড়ি ঘর নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করে আসছে। সম্পৃতি প্রবাসী বিল্লাল হোসেন, তার মা মোহছেনা বেগম ও বোন রোকেয়া আক্তারের কাছ থেকে ১৪ শতাংশ ভূমি ক্রয় করে নিজের নামে ছাফকবলা করে নেন বলে অভিযোগ উঠে। ফজলুর রহমানের ঘর সংলগ্ন পশ্চিম পাশের্^র ভরাটকৃত জায়গায় প্রতিপক্ষরা জোরপূর্বক টিনের বেড়া দিয়ে সীমানা প্রাচীর দেয় এছাড়াও ফজলুর রহমান ও তার পরিবারের ব্যবহৃত পুরোনো সৌচাগারের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেয়। ফলে বিগত কয়েকদিন যাবৎ ফজলুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাকৃতিক কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।

ভূক্তোভূগী ফজলুর রহমান জানান, এ নিয়ে চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে রেকর্ড সংশোধন সংক্রান্ত দেওয়ানী ৩০৫/২৩ মামলা চলমান রয়েছে। ওই মামলা চলমান সর্ত্বেও প্রতিপক্ষ বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী লাকী বেগম আমার জায়গায় মঙ্গলবার টিনের বেড়া দিয়ে জোড়পূর্বক দখল চেষ্টা ও সৌচাগারে যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেয়। টিনের বেড়া দেয়ার সময় আমার স্ত্রী হোসনেআরা বেগম বাধাঁ দিলে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। প্রতিপক্ষের হামলায় হোসনেআরা বেগম বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া প্রতিপক্ষরা বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি, হুমকি-ধমকি ও গাল মন্দ করছেন বলেও ফজলুর রহমান জানান।

স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?

স্থানীয় অধিবাসী সাবেক ইউপি সদস্য আবদুর রব, ছাদেক হোসেনসহ আরো অনেকে জানান, ফজলুর রহমানের ঘর সংলগ্ন পশ্চিম পাশের্^র জায়গাটি পৈত্রিক সূত্রে মালিক হয়ে ফজলুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছে। অতি সম্প্রতি ফজলুর দখলীয় ওই জায়গার মালিক বিল্লাল হোসেনের ওয়ারিশদের কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে মালিক দাবী করে তার বোন রোকেয়া বেগম ও স্ত্রী লাকী বেগম সীমানা বেড়া সাটিয়ে দেয়। এতে করে উভয় পরিবারের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় যেকোনো সময় আইন শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান। দু পরিবারে সম্পত্তি বিরোধকে কেন্দ্র করে যাতে শান্তি ভঙ্গ বিনষ্ট না হয় সেদিকে নজর দিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন সচেতন এলাকাবাসী।

শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায়

এদিকে অভিযুক্ত লাকী বেগম ও তার ননদী রোকেয়া আক্তার জানান, বিজ্ঞ আদালতের রায় পেয়ে আমাদের জায়াগাতে আমরা সীমানা দিয়েছি। তবে রায় নাকি মামলা খারিজ হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কিছুই জানাতে পারেননি।

Loading

শেয়ার করুন