মতলব উত্তরে এসএসসি পরীক্ষায় নকল না দেওয়ায়, ৪ শিক্ষার্থীকে মারধর
সফিকুল ইসলাম রানা :
এসএসসি পরীক্ষায় নকল করতে না দেওয়ায় অলিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে তার সহপাঠীরা। ঘটনাটি ঘটেছে মতলব উত্তর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর পরীক্ষা কেন্দ্রে।
আহতরা হলেন, অলিপুর উচ্চ বিদয়ালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী অলিপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন, মৃত আব্দুল্লা আখন্দের ছেলে শফিক আখন্দ,সোনাইর কান্দি গ্রামের মোকশেদ আলী দেওয়ানের ছেলে মো. রায়হান, মৃত আব্দুল্লাহর ছেলৈ শফিক প নিশ্চিন্তপুর গ্রামের জিশান আহাম্মদ শিকদারের ছেলে মিশন শিকদার।
এবিষয়ে আহত মিশন আহমদ শিকদারে মামা সোহেল রানা বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ১৮ মে নিশ্চিন্তপুর পরীক্ষা কেন্দ্রে বায়োলজি পরীক্ষা দিচ্ছে পরীক্ষার্থীর। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ঝিনাইয়া উচ্চ বিদয়ালয়ের শিক্ষার্থী তালতলী গ্রামের হান্নান খাঁনের ছেলে মিরাজ খান ইমাইল হোসেনের খাতা দেখে লেখতে চেয়েছিল। কিন্তু খাতা দেখে লেখতে না দেখায় মিরাজ ক্ষিপ্ত হয়। পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ঝিনাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিরাজ খান, তালতলী গ্রামের ইয়াছিন দর্জির ছেলে একান্ত, ছোট ঝিনাইয়া গ্রামের আমানত ইসলামসহ আরো ৫/৬ জন মিলে ইসমাইলের উপর অর্তকিত হামলা করে। এসময় ইসমাইলের সহপাঠী মিশন শিকদার,রায়হান ও শফিক আখন্দ এগিয়ে আসলে তারা তাদেরকেও মারধর করে।
এতে ৪ জন আহত হয়েছে। আহতরা মতলব উত্তর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ভুক্তভোগী ইসমাইল হোসেন বলেন, আমার খাতা দেখে দেকে লেকতে চেয়েছিল মিরাজ খাঁন। কিন্তু আমি খাতা দেখে লেখতে না দেওয়ায় তারা আমার উপর হামলা করে। আমার সহপাঠীরা আমাকে বাঁচাতে এলে তাদেরও মারদর করে।
এ বিষয়ে অলিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদির বলেন, বাচ্চারা লেখাপড়া করে মানুষের মত মানুষ হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। এধরনের অপৃতিকর ঘটনা কখনই তাদের কাছ থেকে কাম্য নয়। এর একটা সুষ্ঠু সমাধান হওয়া উচিত।
বিদ্যালয়ের সভাপতি রিয়াজুল হাসান রিয়াজ বলেন, শিক্ষার্থীদের এ ধরনের আচরন মোটেও ভালো লক্ষন নয়। এর সুষ্ঠু বিচার হওয়া উচিত। তাছাড়া ঝিনাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা হয়েছে। তারা কেউ দায়িত্ব নিতে চায়না তাদের সাথে পরামর্শ করে
আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদুল্লা বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।