মতলব উত্তরে শীত ও গ্রীষ্মকালীন খেলাধুলার নামে শিক্ষা অফিসের বাণিজ্যের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মতলব উত্তর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে গ্ৰীস্মকালীন ও শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে,৫২তম গ্ৰীস্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার নামে মতলব উত্তরের প্রতিটি হাইস্কুল,মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৪ হাজার টাকা করে চাঁদা নিয়েছে। গ্ৰীস্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা দায়সারা ভাবে হয়েছে। কিন্তু গ্ৰীস্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার কোনো পুরস্কার প্রতিযোগীদের দেওয়া হয়নি বলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও , শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।এ ক্ষেত্রে ৩৯টি হাইস্কুল ও ১২ টি মাদ্রাসা সহ ৫১টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৪ হাজার টাকা করে প্রায় ২ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে মতলব উত্তর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। কিন্তু গ্ৰীস্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়নি।

অপরদিকে ৫২তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা দায়সারা ভাবে আয়োজন করে। এবারও মতলব উত্তরের ওই ৩৯টি হাইস্কুল ও ১২ টি মাদ্রাসা সহ ৫১টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৪ হাজার টাকা করে প্রায় ২ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে মতলব উত্তর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।

২১জানুয়ারি মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ মাঠে ৫২তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান হয়েছে। সেখানে প্রধান শিক্ষক ও ক্রীড়া শিক্ষকদের নিন্ম মানের পুরস্কার দেওয়ায় মতলব উত্তর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে। তাদের অভিযোগ ৫২তম গ্ৰীস্মকালীন ও শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার নামে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ হাজার টাকা করে প্রায় ৪ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করে নিন্মমানের পুরস্কার দেবে কেন?

শিক্ষকদের দাবি যেহেতু গ্ৰীস্মকালীন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়নি। সেহেতু পুনরায় এতো টাকা চাঁদা আদায় না করতে পারতো।এতো টাকা চাঁদা দিলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা মানতে চায়না। তাদের দাবি কয়েকটি ইভেন্টের পুরস্কার দিতে কি এতো টাকা লাগে।

প্রতিটি প্রোগ্ৰামের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এতো টাকা চাঁদাবাজি করে। তাহলে তার খুঁটির জোর কোথায়?

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা সমিতির সভাপতি হলেন পদাধিকার বলে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। তাহলে তিনি কি এ ব্যাপারে নজর দেননা।

মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস মহোদয়ের মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।

মতলব উত্তর উপজেলা নিবার্হী অফিসার(ইউএনও)একি মিত্র চাকমা বলেন, আমি তো নতুন যোগদান করেছি।সব কিছু অবগত নই।তবে খোঁজ নিয়ে দেখবো। অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মতলব উত্তর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদুল্লাহ বলেন, গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা যখন অনুষ্ঠিত হয়েছে তখন আমি হজ্বে গিয়েছিলাম। দায়িত্বে ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার।কাজ গুলো করেছেন একাডেমিক সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম। গ্ৰীস্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়েছিল।তবে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়নি।আর ৪ হাজার টাকা করে চাঁদা নেওয়া এটা সত্য।কারন এটা আমি দায়িত্বে থাকার আগে থেকেই রেজুলেশন করা। তবে শীতকালীন সাথে গ্ৰীস্মকালীন পুরস্কার দেয়া হয়েছে। সহ ৫১টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৪ হাজার টাকা করে প্রায় ২ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে মতলব উত্তর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। সাথে কিছু প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক নেতা জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অপরদিকে ৫২তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা দায়সারা ভাবে আয়োজন করে। এবারও মতলব উত্তরের ওই ৩৯টি হাইস্কুল ও ১২ টি মাদ্রাসা সহ ৫১টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৪ হাজার টাকা করে প্রায় ২ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।

২১জানুয়ারি মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ মাঠে ৫২তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান হয়েছে। সেখানে প্রধান শিক্ষক ও ক্রীড়া শিক্ষকদের নিন্ম মানের পুরস্কার দেওয়ায় মতলব উত্তর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদুল্লার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে। তাদের অভিযোগ ৫২তম গ্ৰীস্মকালীন ও শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার নামে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ হাজার টাকা করে প্রায় ৪ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করে নিন্মমানের পুরস্কার দেবে কেন?

শিক্ষকদের দাবি যেহেতু গ্ৰীস্মকালীন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়নি। সেহেতু পুনরায় এতো টাকা চাঁদা আদায় না করলেও পারতো। এতো টাকা চাঁদা দিলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা মানতে চায়না। তাদের দাবি কয়েকটি ইভেন্টের পুরস্কার দিতে কি এতো টাকা লাগে।

প্রতিটি প্রোগ্রামের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এতো টাকা চাঁদাবাজি করে। তাহলে তার খুঁটির জোর কোথায়?

জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা সমিতির সভাপতি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস। তিনি সভাপতি থাকতে এতো বানিজ্য হয় কিভাবে, এ প্রশ্ন সচেতন মহলের।

Loading

শেয়ার করুন