মুনতাসীর মামুন-ফাতেমা ট্রাস্ট্রের অর্থায়নে বেকার যুবকদের মাঝে রিকশা বিতরণ
ওমর ফারুক সাইম :
আমার পিতা আশেক আলী খান এই অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া ও কুসংস্কারছন্ন সমাজের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমরা তিন পুরুষ প্রায় ৩০ বছর যাবৎ কচুয়ার ভাগ্যেন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের পরিবারের বিভিন্ন ট্রাষ্টের মাধ্যমে প্রতি বছর ১ শত মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, অসহায় ও অস্বচ্ছল পরিবারকে আবাসনের ব্যবস্থা করে সহযোগীতা প্রদান করে আসছি।
আজ মুনতাসীর মামুন-ফাতেমা ট্রাষ্টের তরফ থেকে ২০ জন বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনের লক্ষে রিক্সা বিতরণ করা হয়। আমি আশা করি তারা ভবিষ্যতে স্বাবলম্বী হয়ে তাদের পরিবারের সদস্যরা যেনো এই পেশায় ফিরে না আসে। আমার বড় (সাবেক সাংসদ মিসবাহউদ্দীন খান) ভাইয়ের আদর্শ অনুসরন করে আমার ভাইপো মুনতাসীর মামুন নিঃশ^ার্থ সমাজপতি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে ।
কচুয়ার ১৬ হাজার যুবক প্রবাসে কর্মরত রয়েছে,২শত ৪৩ গ্রামে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়া হয়েছে। সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিল তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার দুপুরে উপজেলার আশেক আলী খান স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে মুনতাসীর মামুন-ফাতেমা ট্রাষ্টের অর্থায়নে প্রধান অতিথি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
ট্রাষ্টের সভাপতি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক একুশে পদক প্রাপ্ত ড. মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান, ট্রাষ্টের সদস্য সমাজকর্মী ফাতেমা মামুন, কচুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ, কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান নুরে-ই-আলম রিহাত, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আকতার হোসেন সোহেল ভুইয়া প্রমূখ। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দ উপজেলার ২০ জন বেকার যুবকদের মাঝে রিক্সা ও চাবি বিতরণ করেন।