যৌনাঙ্গপথে প্রদাহ ও শ্বেতপ্রদরের কারণ ও প্রতিকার
যৌনাঙ্গ পথে প্রদাহ, একটি যৌনবাহিত রোগ৷ স্বামী-স্ত্রী মিলনের ফলে অথবা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে অথবা অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতার কারণে স্ত্রীলোকের যোনিপথে প্রদাহ হয়ে থাকে৷
কারণ :
যোনিপথে দুটি কারণে প্রদাহ হতে পারে।
অসংক্রমিত প্রদাহ : যৌনি পথের স্রাব পরীক্ষা করলে কোনরকম জীবাণু পাওয়া যায় না৷ স্বামী-স্ত্রীর মিলন ছাড়া এ রোগ একদেহ হতে অন্য দেহে সংক্রমিত হয় না৷এ ধরনের প্রদাহের উৎস হচ্ছে :
* যৌনি পথের অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতা।
* চর্মরোগ।
* মূত্রতন্ত্রের সংক্রমন।
* পুষ্টির অভাবে।
* গর্ভাবস্থায়।
* অপরিষ্কার এবং আটসাট পায়জামা বা প্যান্ট ব্যবহার করলে।
* জন্ম নিয়ন্ত্রণে যৌনি পথে কোন জেলি বা কপার টি ব্যবহার করলে।
দুই. সংক্রমিত প্রদাহ :
যে প্রদাহ এক দেহ হতে অন্য দেহে সংক্রমিত হয় তাকে সংক্রমিত প্রদাহ বলে৷ এ প্রদাহকে আবার দুভাগে ভাগ করা যায়৷ ১. নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া দ্বারা গনোরিয়া, সিফিলিস ইত্যাদি৷ ২. নির্দিষ্ট ছত্রাক দ্বারা: ট্রাইকোমোনাল, মনিলিয়াল ইত্যাদি৷
লক্ষণ
* স্বামী সহবাসে যোনিপথে জ্বালা ও ব্যথা হতে পারে৷
* প্রস্রাবে জ্বালা-পোড়া থাকতে পারে৷
* জ্বর থাকতে পারে৷
* যোনিপথে দুর্গন্ধ যুক্ত পাতলা সাদাস্রাব থাকে৷
* যোনিপথে ফোলা ও লাল দেখা যেতে পারে৷
* যোনিপথের স্রাব পরীক্ষা করলে নির্দিষ্ট জীবাণু পাওয়া যাবে৷
চিকিৎসা : এ ধরনের রোগের চিকিৎসার জন্যে নিম্নোক্ত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনি যে জেলায়ই থাকুন না কেন, আপনার সমস্যা শুনে আপনার হাতের নাগালে ঔষধ পাঠিয়ে দেওয়া যাবে।
প্রতিরোধ :
* রোগীকে ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে৷
* পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে৷
* রোগীকে প্রচুর পানি খেতে হবে৷
* বিশ্রাম নিতে হবে৷
* রোগ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত স্বামী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে অথবা স্বামী সহবাসের সময় স্বামীকে কনডম ব্যবহার করতে হবে৷
* রোগীর কাপড় চোপড় যাতে অন্য কেউ ব্যবহার না করে সে বিষয়ে রোগীকে সতর্ক থাকতে হবে৷
মেয়েদের তলপেটের প্রদাহ রোগ
নারীদেহের প্রজনন তন্ত্রের বা তলপেটের মারাত্মক প্রদাহের মধ্যে পিআইডি বা পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ অন্যতম৷ অধিকাংশ মহিলাই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ দিন কষ্টে ভুগে থাকেন৷ এই প্রদাহ দুরকম হতে পারে :
- যৌন অঙ্গের নিচের দিকের প্রদাহ
- যৌন অঙ্গের উপরের দিকের প্রদাহ৷
লিউকোরিয়া বা শ্বেতপ্রদর কেন হয়, করণীয়
লিউকোরিয়া বা সাদাস্রাব নারীদের খুব সাধারণ একটি সমস্যা। একে শ্বেতপ্রদরও বলা হয়।
এটা আসলে রোগ নয়, উপসর্গ। আবার অনেক ক্ষেত্রেই এটা কোনো রোগ ছাড়া এমনিতেই হতে পারে। আবার বিশেষ কোনো রোগের কারণেও হতে পারে।
কী কারণে হয়?
• শুরুতেই বলেছি, সাদাস্রাব বা লিউকোরিয়া কারণ ছাড়াই হতে পারে। ডাক্তারি ভাষায় একে বলে ফিজিওলজিক্যাল। শরীরের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তনের কারণে লিউকোরিয়া হতে পারে। জন্মের পরপর কন্যাশিশুদের লিউকোরিয়া হতে পারে। এটা হয় মায়ের শরীর থেকে পাওয়া ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবে। প্রাপ্ত বয়সে ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণের সময়ও লিউকোরিয়া হতে পারে।
• দুর্বল স্বাস্থ্য, অপুষ্টি, ভিটামিন, প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের অভাব, রক্তশূন্যতা, কিডনির অসুখ, যক্ষ্মা, বিষণ্ণতা ইত্যাদি কারণেও লিউকোরিয়া হতে পারে।
• জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, কপারটির কারণেও লিউকোরিয়া হতে পারে।
• জীবাণুজনিত কারণে লিউকোরিয়া হতে পারে। ট্রাইকোমানাল ভ্যাজাইনালিস, ক্যানডিডা এলবিকানস, নাইসেরিয়া গনোরি (গনোরিয়ার জীবাণু) ইত্যাদি জীবাণু এ জাতীয় লিউকোরিয়ার কারণ হতে পারে।
• ডায়াবেটিস, অ্যান্টিবায়োটিকের দীর্ঘকালীন ব্যবহার, মেনোপজ এসব জীবাণুর সংক্রমণ ও প্রকোপ বাড়ায়।
লক্ষণ
ফিজিওলজিক্যাল লিউকোরিয়ার ক্ষেত্রে সাদা শ্লেষ্মার মতো রস নিঃসৃত হয়। পরিমাণে কম হয়।
ট্রাইকোমানাস ভ্যাজাইনালিস নামক জীবাণুর কারণে হলে স্রাবের পরিমাণ বেশি হয়। স্রাব কখনো সাদা দইয়ের মতো, কখনো কিছুটা ঘন সবুজাভ বা হলুদাভ ক্রিম রঙের হয়।
ক্যানডিডা এলবিকানসের কারণে হলে জননাঙ্গে ইচিং হয়।
গনোরিয়ার জীবাণু দ্বারা হলে স্রাবে দুর্গন্ধ হয়।
সব ক্ষেত্রেই তলপেটে, কোমরে বা পিঠে ব্যথা হতে পারে।
শরীর দুর্বল, মাথা ঘোরা, খাবারে অরুচি ইত্যাদি উপসর্গও থাকতে পারে।
ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ ও প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হতে পারে।
চিকিৎসা
প্রথমেই রোগের কারণটি বুঝতে হবে। যদি কোনো রোগ ছাড়াই হয়, মানে যদি ফিজিওলজিক্যাল লিউকোরিয়া হয়, তাহলে ঠিকভাবে বুঝিয়ে বলতে হবে এবং আশ্বস্ত করতে হবে। ঋতুস্রাবের সমস্যা, অন্যান্য সমস্যা দূর করতে হবে। প্রয়োজনে নিম্নে বর্ণিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে রোগ অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে।
জীবাণুঘটিত কারণে হলে ওষুধ খেতে হয়। অনেক সময় ট্যাবলেট ব্যবহার করতে দেওয়া হয়। ক্ষেত্রবিশেষে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। বিবাহিত হলে স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই চিকিৎসা নিতে হয়।
পরামর্শ
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে। নিয়মিত ধোয়া অন্তর্বাস পরতে হবে। ১০০ ভাগ সুতি অন্তর্বাস হতে হবে।
কুসুম গরম পানি ও কম ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করতে হবে।
কোনোরকম সুগন্ধি স্প্রে ব্যবহার করবেন না।
পুষ্টিকর খাবার ও পর্যাপ্ত পানি খাবেন। খাবার তালিকায় যেন রসালো ফল, শাকসবজি থাকে।
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।
ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :
হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)
হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।
মুঠোফোন : (চিকিৎসক) 01742-057854
(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)
ইমো/হোয়াটস অ্যাপ : (চিকিৎসক) 01762-240650
ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।
শ্বেতীরোগ, একজিমা, যৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।
আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
আরো পড়ুন : মেহ-প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের প্রতিকার
আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ
আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ
আরো পড়ুন : নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা
আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়
আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা