স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া বায়নাপত্র করে সুজন মল্লিকের জমি দখলের চেষ্টা
সফিকুল ইসলাম রানা
স্বাক্ষর জালকর, ভূয়া বায়নাপত্র করা এবং তা দিয়ে জমি দখল করা যেন তার কাজ।এমনই অভিযোগ উঠেছে ভূমি খেকু সুজন মল্লিকের বিরুদ্ধে। সে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ঠেটালিয়া গ্রামের শরৎ চন্দ্র মল্লিকের ছেলে সুজন মল্লিক।
জানা যায়, ঠেটালিয়া গ্রামের চিত্তরঞ্জন মল্লিকের স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া বায়নাপত্র দিয়ে তার জমি দখলের চেষ্টা করছে একই বাড়ির সুজন মল্লিক। এই চক্রের সাথে জড়িত সুজন মল্লিকের ভাই লক্ষ্মণ মল্লিক,কার্তিক মল্লিক, গণেশ মল্লিক ও চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের মৃত আমজাদ আলী প্রধানের ছেলে আবু সুফিয়ান। তারা জোর করে জমি দখলের চেষ্টা করলে চিত্তরঞ্জনের ছেলে গৌতম মল্লিক কুমিল্লা কোর্টে মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দাউদকান্দি উপজেলার ২০৬ নং ঠেটালিয়া মৌজার বিএস-১৪৪ নং খতিয়ানের বিভিন্ন দাগে চিত্তরঞ্জনের স্বাক্ষর জাল করে ৩০ শতাংশ জমি ভূয়া বায়নাপত্র করে ২০১৭ সালের ২১ মার্চ। ২০২১ সালের ৯ ফ্রেব্রুয়ারী চিত্তরঞ্জন মারা যাওয়ার প্রায় ৪ বছর পর ঐ ভূয়া বায়নাপত্র দিয়ে জমি দখলের পায়তারা করে সুজন মল্লিক।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গৌতম মল্লিক বলেন, আমার পিতার কোন ঋন ছিলনা। জমি বিক্রির জন্য কোন বায়নাপত্র করেনি। বাবার স্বাক্ষরের সাথে এই স্বাক্ষরের কোন মিল নেই। সুজন মল্লিক একজন ভূমি খেকু। সে অনেকের সাথে এ ধরনের প্রতারনা করেছে। জোর করে আমার জমি দখল করতে চাইছে।
২০২২ সালের ৭ জুন স্থানীয়দের নিয়ে মিমাংসার লক্ষে বসলে সেখানে সুজন মল্লিক বায়নাপত্রের সঠিক প্রমান দিতে পারেনি। পরে ক্ষমা চেয়েছেন। এজন্য কোর্টে ১৪৫ ধারা মামলা করি। পুলিশ তদন্ত করে যে রিপোর্ট দিয়েছে তা আমার পক্ষে আছে।
প্রতিবেশি নুরুজ্জামান বলেন, ঐ বায়নাপত্রে স্থানীয় কোন ব্যাক্তির স্বাক্ষর নেই। তারা মূল বায়নাপত্র না দেখিয়ে ফটোকপি দেখিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ মিয়া বলেন, বিষয়টি আমি জানি। আমরা মিমাংসার লক্ষে বসার পর বায়নাপত্রটি মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। তারপরও সুজন মল্লিক কেন এতো বারাবাড়ি করে আমার বুঝে আসে না।