অদৃশ্য কারণে তদন্ত থমকে গেছে : মতলব উত্তরে খেলাধুলা সামগ্রী ক্রয়ে অনিয়ম

স্টাফ রিপোর্টার :

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে খেলাধুলায় আগ্রহী করতে বিদ্যালয়গুলোতে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করতে বরাদ্দ দেয় সরকার। মতলব উত্তর উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দের প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠে।

এ ব্যাপারে বিভিন্ন সংবাদপত্রে সংবাদ ছাপা হলে চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুর রেজ্জাক সিদ্দিকীকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

তদন্ত কমিটি মতলব উত্তর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ে সরজমিনে তদন্ত করেন। এছাড়াও ১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ডেকে নিয়ে তাদের বক্তব্য লিখিত ভাবে নেয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন থমকে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে শিশুদের ক্রীড়া সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ১৬টি বিদ্যালয়ের বিপরীতে ১লাখ ৫০ হাজার টাকা করে মোট ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর।

এসব কাজ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি (এসএমসি) ও প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে করার কথা থাকলেও কাজ করেছে সহকারী শিক্ষা অফিসার।

বরাদ্দকৃত ৭০ হাজার টাকা দিয়ে কন্ট্রাক্টর থেকে খেলনা সামগ্রী এনে ৭৮ থেকে ৯০ হাজার টাকা নিয়েছে অভিযুক্ত দুই অফিসার। আবার অফিস খরচ বাবদ নিয়েছে ১৭ হাজার করে। এভাবে করেক লাখ টাকা অনিয়ম করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকটি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ অন্যান্য সদস্যরা বরাদ্দের ব্যাপারে তেমন কিছু জানেন না।

এক সহকারী শিক্ষিক বলেন, আমি চাকরি করি তাই উর্ধতন কর্মকর্তার কথামতো চলতে হয়।
আরেক শিক্ষক বলেন, আমরা নিজেরা ক্রয় করলে এর চেয়ে আরো কম দামে এলাকা থেকেই ক্রয় করতে পারতাম।

এ বিষয়ে খেলনা সামগ্রী বিক্রেতা রবিউল জানান, আমি মতলব উত্তর উপজেলায় শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে ১৩টি বিদ্যালয়ে খেলনা সামগ্রী পৌছে দিয়েছি।

শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, বরাদ্দের টাকা শিক্ষা কর্মকর্তার সরকারি একাউন্টে আনার নিয়ম আছে। সেখান থেকে বিদ্যালয়গুলোর একাউন্টে দেয়া হচ্ছে। অফিস খরচ বাবদ ১৭ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষকই কাজ করেছে। এখানে কোনো অনিয়ম হওয়ার সুযোগ নেই।

সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুর রেজ্জাক সিদ্দিকী বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন খসড়া হয়েছে সহসাই জমা দেয়া হবে।

Loading

শেয়ার করুন