‘আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার আনার গুরুত্ব নিয়ে জনগণকে বুঝিয়ে নৌকার ভোট প্রার্থনা করছি’

সফিকুল ইসলাম রানা :

বাংলাদেশের স্বাধীনতা আনায়নকারী ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামীলীগের পতাকাতলে আশ্রয় নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জনসেবা করে যাচ্ছি। প্রচার করছি সরকারের উন্নয়নের চিত্র এবং আবারো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার আনার গুরুত্ব নিয়ে জনগণকে বুঝিয়ে নৌকার ভোট প্রার্থনা করছি।

আমার নির্বাচনের প্রধান অঙ্গীকার চাঁদপুর-২ আসনের সকল মামলার দ্রুত আইনি প্রক্রিয়ায় সমাপ্ত করে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী পরিবার এবং সকল জনগনের জন্য মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত শান্তির মতলব রচনা। আমার প্রিয় মতলববাসীর সহযোগিতায় আল্লাহর রহমতে আমরা সফল হব। ইনশাআল্লাহ।দলীয় মনোনয়ন কে পাবে আর কে পাবে না তা নির্ধারণ করবে দলীয় হাইকমান্ড ও প্রধানমন্ত্রী।

তবে দেশের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে ও গণতন্ত্রে রক্ষার্থে গণতান্ত্রিক উপায়ে আওয়ামীলীগকে সরকার গঠনে সহায়তা করা আমাদের নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব।তাই জনগণের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে সামনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট ও জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া কামনা করছি।কথাগুলো বলেন চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনের নৌকা প্রতীকের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (এসি মিজান)।

মিজানুর রহমান (এসি মিজান) আরো বলেন শেখ হাসিনা নির্দেশে আমি অসহায় মুমূর্ষ রোগীর্দের বিনা মূল্যে সেবা নিশ্চিতে করোনায় আক্রান্ত পরিবারকে বিনা টাকায় খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা, উপজেলার প্রত্যান্তাঞ্চলে অসহায়দের পরিবারকে সহায়তা, দরিদ্র পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ, দু:খী পরিবারের মাঝে খাবার বিতরণ, সরকারের সাফল্য নিয়ে উঠান বৈঠক, উন্নয়ন সমাবেশ, মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ, সরকারের উন্নয়ন চিত্র সংবলিত মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ’সহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছি।

এছাড়াও প্রতিবছরই বিভিন্ন মাহফিলের মাধ্যমে ঈদগাহ, মসজিদ, মাদ্রাসা ও কবরস্থানে অর্থ প্রদান, সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়েরর ধর্মীয় উৎসব, মন্দিরে সহায়তা প্রদান করেছি।

নৌকায় ভোট প্রার্থনা ও সরকারের উন্নয়নের চিত্র জনগনের মাঝে তুলে ধরতে মোটরসাইকেল শো-ডাউন, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে বিশাল জনসভা ও ১৫ আগস্ট জাতির পিতার শাহাদাৎবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগদান ও আর্থিক সহায়তাসহ দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি পালনে সহায়তা করে আসছি। নেত্রী আমাকে নৌকা প্রতীকে মনোনীত করলে আসনটি উপহার দিতে পারবো ইনশাল্লাহ। নির্বাচিত হতে পারলে মতলব উত্তর-মতলব দক্ষিণ উপজেলাকে মডেল উপজেলায় পরিণত করবো।

জানা গেছে, এসি মিজান ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় বেশ পরিচিত। এসি মিজান ১৯৬৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর মতলব উত্তরের সানকিভাঙ্গা গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৬ সালে হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজের ছাত্রলীগের ১ম যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়া ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তখন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে। সেই কঠিন মুহুর্তে তিনি সফলতার সাথে মতলব উত্তর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তখন তিনি বহুবার এলাকায় হামলার শিকার হন এবং একাধিক মামলায় হেনস্থা হন। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালে এলাকার মানুষদের মন জয় করেছিলেন। সে সময় তিনি এলাকায় অভূতপূর্ব কাজ করেছিলেন।

Loading

শেয়ার করুন